আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের নীচে গোপন টানেলের সন্ধান পেলো আসাম পুলিশ

0
571

বঙ্গদেশ ডেস্ক: সোমবার আসাম পুলিশ, রাজ্যটির করিমগঞ্জ জেলায় ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্তকারী ২০০ মিটার দীর্ঘ একটি গোপন টানেল এর সন্ধান পেয়েছে। দক্ষিণ আসামে অবস্থিত করিমগঞ্জ, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাথে ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করে যে গোপন টানেলটির অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

একটি অপহরণের মামলার তদন্তকালে এই সুড়ঙ্গটি আবিষ্কৃত হয়। করিমগঞ্জ পুলিশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ঠিক নীচে করিমগঞ্জের বালিয়া গ্রামের নিকটবর্তী কোকরাঝাড় শহরে একটি ঘন জঙ্গলে কাঁটাতারের বেড়ার নীচে এই প্যাসেজওয়েটি খুঁজে পেয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর নীলমবাজার থানায় একটি FIR দায়েরের পরে এই তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। তাতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে দিলোয়ার হুসেন নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবককে অপহরণ করে বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয়েছিল। এই মামলার সাথে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যা শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নীচে লুকানো টানেলের দিকে নিয়ে যায়।

করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) ময়ঙ্ক কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তদন্তকারীদেরকে টানেলের হদিশ দেয় যা অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। ময়ঙ্ক কুমার বলেন, সুড়ঙ্গটি জল নিষ্কাশনের জন্য সীমান্তের বেড়ার নীচে রাখা একটি কংক্রিটের টিউব এবং এটি সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (BSF) ব্যবহার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রকাশ করেছেন যে তারা কয়েকবার সীমান্ত পেরোনোর ​​জন্য এই ভূগর্ভস্থ টিউবটিকে প্যাসেজওয়ে ব্যবহার করেছেন।

পুলিশের এই চমকপ্রদ আবিষ্কারের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, সমস্ত অসম ছাত্র ইউনিয়ন (AASU) এবং উত্তর-পূর্ব ছাত্র ইউনিয়ন (NESO) এর প্রধান উপদেষ্টা ড. সমুজ্জল ভট্টাচার্য বলেন, গোপন টানেলটি রাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের “উদাসীনতা” কে তুলে ধরে তিনি অসম চুক্তি অনুসারে সীমান্তটি সম্পূর্ণ সিল করার দাবী জানান।


২০১৩ সালের মে মাসে গবাদিপশু পাচারের মামলার তদন্তের সময় আসামের করিমগঞ্জ জেলায় অনুরূপ একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছিল।