কমিউনিস্ট চীনের পর ভিয়েতনামও ভাতের জন্যে ভারতের শরণাপন্ন

0
936

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ভিয়েতনাম বেশ কয়েক দশক পরে প্রথমবার ভারত থেকে ধান কেনার অর্ডার করেছে বলে রয়টার্স তাদের খবরে জানিয়েছে। এই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ হিসেবেই পরিচিত।

উক্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ভিয়েতনামে গত নয় বছরে স্থানীয় বাজারে চলের দাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। তার পরেই তারা ভারত থেকে চাল আমদানি করতে বাধ্য হয়।ভিয়েতনাম থেকে ফিলিপিন্স নিজের দেশে চাল সরবরাহের জন্যে প্রচুর শস্য ক্রয় করে নেয়, এই কারণে তাদের সমস্যা আরও তীব্রতর হয়। ফলত, চালের দাম সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোয় ভিয়েতনাম সস্তায় চাল আমদানির রাস্তা সন্ধান করতে বাধ্য হয়।

ভিয়েতনামের চাল রফতানির উচ্চমূল্য সাব-সাহারান দেশগুলিকেও উদ্বেগে ফেলেছে, কারণ বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এসব দেশ থেকেই তারা চাল আমদানি করে থাকে। সমস্যাটি আরও বেড়েছে কারণ করোনা ভাইরাস মহামারী সরবরাহ চেইনগুলিকে ব্যাহত করায় বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য, ভিয়েতনাম এর আগে ঘোষণা করেছিল যে তারা ২৭০,০০০ টন চাল মজুদ করবে। অবশ্য-উল্লেখ্য, ২০২০ সালে তাদের দেশে ধানের ফলন ১.৮৬% থেকে কমে ৪২.৬৯ মিলিয়ন টনে দাঁড়ায়।

প্রবল খাদ্য সংকটের মধ্যে, ভিয়েতনাম জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে ৭০,০০০ টন ভাঙা চাল ক্রয় করার অর্ডার দেয়। শিল্প আধিকারিকরা জানান যে এই চালানটি ফ্রি-অন-বোর্ড (F.O.B) -এর ভিত্তিতে টন প্রতি ৩১০ ডলারে সরবরাহ করা হবে। তুলনামূলকভাবে, ভিয়েতনামের ৫% ভাঙা চাল কিনতে প্রতি টনে প্রায় ৫০০ ডলার থেকে ৫০৫ ডলার খরচ হয়।

এর আগে ভারত, চীনেও খাদ্য সরবরাহ করেছে। চীনও আগে ভারত থেকে ধান কিনত না, সাধারণত ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সই ছিল তাদের পছন্দের দেশ। তবে এবছর ওইসব দেশে ভাঙা চালের দাম বাড়ায় এবং উৎপাদন অপর্যাপ্ত হওয়ায় নিজদের চাহিদা মেটাতে চীনও ভারতের দিকেই তাকাতে বাধ্য হয়।