বাঙ্গালী পরিচয়ে মহারাষ্ট্রের তরুণীকে বিয়ে বাংলাদেশি যুবকের, তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপে নারাজ হাইকোর্ট

0
543

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বাংলাদেশী পরিচয় গোপন করে দীর্ঘ বছর ধরে রয়েছেন ভারতবর্ষে, এমন খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি, কলকাতায় পাওয়া গিয়েছে এক অভিনব খবর। এক বাংলাদেশি ব্যক্তি,জিয়া শরিফ হোসেন নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করেন এবং ধর্ম‌ ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ‌ও করেছেন কিন্তু সমস্ত সরকারি নথিপত্রের নিজের পূর্ব নাম ব্যবহার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ওনার বাবা-মা মুসলমান এবং থাকেন বাংলাদেশে। কিন্তু জিয়া শরিফ হোসেন থাকেন ভারতে। প্রায় এক দশক আগে বিয়ের জন্য তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন। পরিবর্তন করেন হয়েছিল নামও, তার নতুন নাম তুষার সুভাষ রায়। কিন্তু এখন নাগরিকত্বের প্রশ্ন উঠেছে মুম্বইয়ের বাসিন্দা তুষার সুভাষ রায়ের‌ বিরুদ্ধে।

পরিচয়পত্রে গরমিল থাকায় জেলে যেতে হয়েছে তাকে। সেই পরিচয়পত্র ফিরে পাওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তুষার। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ওই বিষয়টি ভেবে দেখবেন। তাদের অফিসিয়াল কাজে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।

জিয়া শরিফ হোসেন ২০০৮ সালে বিয়ে করেন মুম্বইয়ের এক তরুণীকে। সূত্রের খবর, বিয়ের কারণেই তিনি মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু হন। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে পাসপোর্টে তাঁর আগের নামই রয়ে গিয়েছে। ২০০৬ সালের পর ২০১৬ সালে পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণের (রিনিউ) সময় নতুন নাম ব্যবহার করেননি তিনি। আধার কার্ডেও রয়েছে আগের নাম। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী অমাজিত দে হাই কোর্টকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি আদপে কোন দেশের বাসিন্দা তা নিয়ে বেশ দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ তিনি মাঝে মাঝে বাংলাদেশে যান। এমনকি বছর দুয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে প্রবেশের সময়েও পরিচয়পত্রে গরমিল লক্ষ করা গিয়েছে। তার পরেই তুষারের পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সে বিষয়ে এখন যাচাইয়ের কাজ চলছে।

হাই কোর্টে তুষার দাবি করেছেন, তিনি ভারতে জন্মেছেন যদিও বাবা-মা বাংলাদেশে থাকেন। কলকাতা পুরসভা থেকে তাকে জন্ম সার্টিফিকেট‌ও দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, এ দেশের নাগরিক হিসাবে তার পাসপোর্ট ও আধার কার্ড হস্তান্তর করা হোক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অবশ্য সে বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি মন্তব্য করেছেন, মামলাকারী কোন দেশের নাগরিক তা আগে জানা দরকার। পুরো বিষয়টি নিয়েই জলঘোলা রয়েছে। এখন পরিচয়পত্র যাচাইয়ের কাজ পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষই করুক। আদালত এ বিষয়ে নাক গলাবে না। এর পরেই মামলাটি খারিজ করে আদালত।