প্রয়াত বাঙ্গালী গবেষকের অমূল্য আবিষ্কারে মুক্তি মিলবে সোরিয়াসিসে

0
1190

বঙ্গদেশ ডেস্ক:শীঘ্রই বাজারে আসবে প্রয়াত বাঙ্গালী গবেষক ড. অসীমা চট্টোপাধ্যায়ের আবিষ্কৃত অসীমা সরেন আয়ুর্বেদিক তেল ৷ এই তেলের ব্যবহারে সেরে যাবে সোরিয়াসিস (Psoriasis) নামে একটি ভয়াবহ চামড়ার অসুখ (Skin Disease) ৷

প্রয়াত বাঙ্গালী গবেষকের স্বপ্ন পূরণ করেছেন তাঁর আটজন সহকারী ৷ সেই দলে যুক্ত রয়েছেন প্রয়াত গবেষকের মেয়েও ৷ তিনি ড. অসীমা চট্টোপাধ্যায় ৷ গবেষণামূলক বিভিন্ন কাজের জন্য পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছিলেন তিনি ৷ সোরিয়াসিস (Psoriasis) নামে একটি ভয়াবহ চামড়ার অসুখ (Skin Disease) থেকে মানুষকে রক্ষা করতে একটি আয়ুর্বেদিক তেল (Ayurvedic Oil) আবিষ্কার করেছেন তিনি ৷ কিন্তু সেই অব্যর্থ তেল সর্বজনীন করতে পারেননি ড. অসীমা চট্টোপাধ্যায় ৷ বাকি রয়ে গিয়েছে শেষ পর্যায়ের কিছু গবেষণা এবং সেটিকে বাজারজাত করার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া ৷

অসীমার অবর্তমানে সেই কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁরই মেয়ে, পেশায় চিকিৎসক জুলি বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত আটজন চিকিৎসক-গবেষকের দল অবশেষে ওষুধটি ব্যবহারের জন্য খোলা বাজারে আনার কাজ সম্পন্ন করেছেন।

2004 সাল থেকে অসীমা সরেন আয়ুর্বেদিক তেল-এর কাজ শুরু করেন ৷ এই প্রক্রিয়ার অন্যতম সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ গবেষণা সংস্থার (Central Research Institute of Ayurveda) প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা শুভ্রা মণ্ডল ৷ তিনি বলেছেন, 2006 সালে ড. চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় ৷ পরবর্তীকালে তাঁর মেয়ে জুলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই তেল বাজারে আনার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ওষুধের ব্যবহার অত্যন্ত সহজ ৷ ত্বকের আক্রান্ত অংশটুকু ভালো করে পরিষ্কার নিতে হবে তারপর সেখানে মালিশ করতে হয় অসীমা সরেন আয়ুর্বেদিক তেল ৷ টানা বেশ কিছুদিন এই প্রক্রিয়া চললে সম্পূর্ণ সেরে যায় সোরিয়াসিস ৷

তিনি জানিয়েছেন, সোরিয়াসিস অত্যন্ত বাজে একটি অসুখ ৷ একবার এই রোগ দেখা দিলে প্রচলিত চিকিৎসায় সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্তি কার্যত অসম্ভব। কিন্তু, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন অসীমা সরেন আয়ুর্বেদিক তেল ৷ ইতিমধ্যেই এই তেল প্রয়োগকারীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোরিয়াসিসে আক্রান্ত হলে রোগীর চামড়ায় চুলকানি হয় ৷ আক্রান্ত অংশটুকু শুকিয়ে গিয়ে আঁশের আকার ধারণ করে ৷ চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই চামড়ার এই অসুখ হয় ৷ সংক্রমণ, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং ঠান্ডাও এই অসুখের অন্যতম কারণ ৷ প্রাথমিকভাবে চামড়ায় শুধুমাত্র ‘ব়্যাশ’ বের হয় ৷ তারপর তা বাড়তে শুরু করে ৷ পরে সেই অংশের চামড়া শুকিয়ে যায় ৷