বঙ্গদেশ ডেস্ক – ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক পাকিস্তানী মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিবাহ দেওয়া হয় এবং ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয় জনৈক হিন্দু মেয়েকে। সেই হিন্দু কিশোরীর হৃদয় বিদারক একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে এবং সেটি ভাইরালও হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে, হিন্দু মেয়েটি একটি বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল, কাঁদছিল এবং লোকেদের তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছিল। মেয়েটি বলে সে আর সহ্য করতে পারছে না এবং সে তার ঘরে ফিরে যেতে চায়। ভিডিওটিতে আরও কিছু মহিলার কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়, যারা মেয়েটিকে বিন্দুমাত্র সহায়তা দেয়নি।
On 13 February, Hindu girl Reena Meghwar was abducted from Keriogjar, Badin, converted to Islam, and then married to man.
The family had lodged FIR — the police failed to recover girl, yet. pic.twitter.com/JY9r4pMDOc— The Rise News (@Therisenews_) February 25, 2021
রীনা মেঘাওয়ার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপহৃত হয়েছিল।
Those refuse to accept bitter truth of #ForcedConversion and named it love-marriage. They must watch video 👇🏽 that’s proof of converting Non-Muslim girls to Islam. Sindh government and activists must #ProtectReenaMeghwar https://t.co/Wr95PbWovv
— Veengas (@VeengasJ) April 27, 2021
এই ভিডিওতে তিনি কান্নাকাটি করছেন এবং তার নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছেন। সিন্ধ সরকারকে অবশ্যই এই মামলার তদন্ত করতে হবে এবং এমন একটি মেয়েকে বাঁচাতে হবে, যার সাহায্যের দরকার আছে।
– ভেনগাস (@ ভিনগাসজে) এর একাউন্ট থেকে টুইট করা হয় (এপ্রিল ২৬, ২০২১)
ভিডিওতে দেখা যাওয়া মেয়েটির নাম রীনা মেঘওয়ার, যাকে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি বদরের কেরিয়গজার থেকে অপহরণ করে ইসলাম গ্রহণ করানো হয় এবং পরে এক মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিবাহ দেওয়া হয়। মেয়ের পরিবার এফআইআর দায়ের করেছিল, কিন্তু পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অপহরণ, হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা প্রভৃতি পাকিস্তানের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের হিন্দুরা প্রতিনিয়ত নিপীড়নের শিকার এবং ভয়ের আবহে সেই দেশে বাস করে। হিন্দুদের উপর আক্রমণ, হিন্দু কন্যাদের অপহরণ এবং তাদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিষয়টি পাকিস্তানে খুব সাধারণ ঘটনা। ইমরান নিয়াজির সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্যে প্রায় কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।