মাথা থেঁতলে খুন করা হল বৃদ্ধ দম্পতিকে

0
487

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ঘর থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূম জেলার লাভপুরের কীর্ণাহারে। কীর্ণাহারের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা ওই বয়স্ক দম্পতিকে ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা। কারণ তাঁদের ঘর থেকে কিছু খোয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বেশ ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্নার। শুক্রবার বেলা বাড়লেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের। তাই প্রতিবেশী এক মহিলা সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ দরজা ধাক্কা দেন। তবে ডাকাডাকিতেও সাড়া মেলেনি তাঁর। তিনি আশেপাশের আরও লোকজনকে খবর দেন।

খবর পাওয়ামাত্রই এলাকারই বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার এক যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনিই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাইরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। দেখেন ভিতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন চট্টোপাধ্যায় দম্পতি।

গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পুলিশ বুঝতে পারে দু’জনেই মারা গিয়েছেন। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। দেহ দু’টির পাশ থেকে ভারী ধাতব বস্তু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেই তাঁদের খুন করা হয়েছে।

পুলিশ কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান বাড়ির মূল দরজা নয়, ছাদ দিয়ে আততায়ীরা বাড়িতে ঢুকেছিল। প্রথম অবস্থায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় খুন বলে মনে করা হলেও পরে দেখা যায় কোনও মূল্যবান জিনিসেই হাত দেয়নি দুষ্কৃতীরা। তাই রহস্য গাঢ় হয়েছে আরও।

কী কারণে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করা হল তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ। ওই দম্পতির ছেলে কল্লোল চট্টোপাধ্যায় আসানসোলে গাড়ির ব্যবসা করেন। সেখানেই থাকেন তিনি। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। ওই দম্পতির প্রতিবেশী ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে খুনের কিনারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।