করোনা সন্দেহে ফেরালো সরকারী হাসপাতাল, মৃত্যু হল রোগীর

0
417

বঙ্গদেশ ডেস্ক : একদিকে গোটা পৃথিবীতে যেমন ডাক্তারদের নি:স্বার্থ সেবা পৃথিবীর মানুষের নজর কেড়েছে তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীদের অমানবিক মুখও প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে রোগীর সঙ্গে অমানবিক আচরন করা যেন অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছে সরকারী হাসপাতালগুলি। করোনা হয়েছে শুনলে বা করোনার রোগলক্ষন প্রকাশ পেলে শুরু হচ্ছে রোগীদের ফিরিয়ে দেবার চিন্তাভাবনা।
গতকাল এমনই দুটি অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা।

২৬ বছর বয়সী অশোক রুইদাস জয়নগরের বাসিন্দা। রোগীর জ্বর আসায় রোগীকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। কিন্তু রোগীর পরিবার জানাচ্ছে রোগীকে এসএসকেএম ও শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। পরে কলকাতা মেডিকেলে নিয়ে যাবার পথে মৃত্যু হয়।

অন্য আরেকটি ঘটনায় ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির বাসিন্দা লক্ষী সাউকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল কলেজে। জ্বর থাকায় সন্দেহ করা হয় করোনা হয়েছে। জরুরী বিভাগের সামনে আউটডোরে চিকিৎসা হলেও ভর্তি নেওয়া হয়নি হাসপাতালে। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেবার আগেই রোগী নিস্তেজ হয়ে যায়।পরে রোগীকে মৃত ঘোষনা করেন ডাক্তারবাবুরা।

একইরকমভাবে ৫২ বছর বয়সী নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা শিপ্রা পাল কোভিড পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও NRS, বেলেঘাটা আইডি, CMC ও সাগরদত্ত হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা পাননা। বাড়ি ফিরলে পরের দিন ভোর চারটের সময়ে মৃত্যু হয় তার।

এই সমস্ত ঘটনায় জনগনের তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে প্রশাসন ও হাসপাতালের ওপর। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না তা সত্ত্বেও কেন আপৎকালীন ভাবে বেডের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই।