কোভিডের ভবিষ্যতকথন, বা ভারত বিরোধিতার আরেকটি মঞ্চ

0
958

-ডঃ মোহিত রায়

ভবিষ্যদ্বাণী না মিললে কি শাস্তি হয়? উত্তরটা সাধারণতঃ না। শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে জ্যোতিষীদের এত বড় লাভজনক ব্যবসাটাই উঠে যেত। কিন্তু ব্যাপারটা যে জ্যোতিষের বাইরে সবসময় এমন নয়। ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল মধ্য ইতালির আব্রুজো (Abruzzo) অঞ্চলে একটি সাম্প্রতিক সময়ের বড়সড় ভূমিকম্প হয়। এই ভূমিকম্পের আগে কয়েকটি মৃদু ভূকম্পন হয়েছিল। অধিবাসীদের ভীতি কাটাতে এর ছয় দিন আগে ৩১ মার্চ, ইতালির বড় বিপদ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা দেবার জন্য কমিশনের ৬ জন ভূকম্প বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী ও একজন সরকারি প্রতিনিধি একটি বিবৃতিতে জানায় যে এই মৃদু ভূকম্প থেকে ভয় পাবার কিছু নেই এবং এখনই কোন বড় ভূকম্প হবে না। তারপরেই ঘটে এই ভূমিকম্প যাতে তিন শতাধিক লোক মারা যায়। এই বিজ্ঞানীদের ও সরকারি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য মামলা হয় এবং ২০১২ সালে সবাইকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আবেদন করলে ২০১৪তে বিজ্ঞানীদের মুক্তি দেওয়া হয় কিন্তু সরকারি প্রতিনিধির শাস্তি কমিয়ে কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।

মারণ চীনা ভাইরাস কোভিড ১৯ নিয়ে এখন ভবিষ্যদ্বাণীর একটি বিশেষ ঢেউ উঠেছে। ভারতে কোভিড জনিত রোগী মিলতে শুরু করল ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও ইউরোপে এই রোগের যথেষ্ট প্রসার ঘটেছে। ১৭ই মার্চ ২০২০, বিবিসি একজন বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে যে ভারতে কোভিড রোগের সুনামি ঘটতে চলেছে এবং সেখানে অন্ততঃ ৩ কোটি লোক আক্রান্ত হবেন। ২৭শে মার্চ ২০২০, নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে যে ভারতে ২০২০র জুলাইয়ের মধ্যে ৩ কোটি থেকে ৫ কোটি মানুষ আক্রান্ত হবেন। এরপর ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর তথ্য বলছে ভারতে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮০৬। এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি কি উদ্দেশ্যজনক? অনেক গবেষকের মতে ভারতে রোগী পরীক্ষার সংখ্যা কম ও মৃতের নথীকরণ সবসময় ঠিক হয় না ফলে সংখ্যা দেড় থেকে দুগুণ হতে পারে। তা সত্‌বেও এইসব পশ্চিমী ভবিষ্যদ্বাণীগুলি আরো অনেক বেশী সংখ্যা বলে যাচ্ছে।ভারত সরকার যদি বিশ্বের অত্যন্ত মান্য দুটি সংবাদমাধ্যমের বিশেষজ্ঞের মতামতকে গুরুত্ব দিত তাহলে দেশের স্‌বাস্থ ব্যবস্থার যে চূড়ান্ত সর্বনাশ ঘটত তাতে সন্দেহ নেই। এদের কি আদালতে তোলা যায় না?

কেউ যদি বলেন এসব দুএকটা ভুল হয়েই থাকে তাহলে মনে করিয়ে দিতে হয় যে এটা ভুল নয়, এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের অস্তিত্বের প্রতি পশ্চিমী তথাকথিত উদার ও বামমনষ্কদের দীর্ঘদিনের লালিত প্রতিক্রিয়া। যেটা আগে পশ্চিমে ছিল রাজনৈতিক স্তরে এখন তা প্রসারিত প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলি থেকে প্রধান শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। প্রখ্যাত চিকিৎসা পত্রিকা, ল্যান্সেট (Lancet) যখন কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্পাদকীয় নিবন্ধ (১৭ আগস্ট, ২০১৯) লেখে তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় কি ভীষণ ভারত বিরোধিতায় পশ্চিমী শিক্ষা মহল দূষিত হয়েছে। ২০২০র অক্টোবর থেকে ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে এবং ভারতকে একটি কোভিড মোকাবিলায় সফল দেশ বলে ধরা হতে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব নিয়ে ৭৮টি দেশে ভারত ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়। এরপর মার্চ থেকে আবার কোভিড ভাইরাসের এক নতুন স্ট্রেইন ভারতে আক্রমণ চালায় যাকে বলা হয় দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে আমেরিকায় এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে কোভিড ভাইরাসের আক্রমণের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ পৌঁছে গেছে। আমেরিকায় দ্বিতীয় ঢেউউএর থেকে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের দৈনিক বৃদ্ধি ছিল অনেক বেশী, ইতালিতে দ্বিতীয় ঢেউটিই ছিল মারাত্মক। সুতরাং ভারতেও যে দ্বিতীয় ঢেউ আসবে এর জন্য বিশেষ আগাম ঘোষণার দরকার ছিল না এবং এর তীব্রতা বা প্রকৃতি জানারও কোন বিজ্ঞান ছিল না। অতএব ভারতে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এবার ঝাঁপিয়ে পড়ে ল্যান্সেট (Lancet) পত্রিকা,  তার ৮ মে, ২০২১এর সংখ্যার সম্পাদকীয়তে জানাচ্ছে যে ১ আগস্ট ২০২১এর মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে ১০ লক্ষ লোকের মৃত্যু হবে। ৩১ মে ২০২১এর তথ্য অনুযায়ী ভারতে মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১২৭। অর্থাৎ আগামি দুমাসে প্রায় ৭ লক্ষ লোকের মৃত্যু হলেই এই ভবিষ্যদ্বাণী ফলতে পারে যা অসম্ভব। ইতিমধ্যেই অসুস্থ ও মৃতের সংখ্যা যথেষ্ট কমতে শুরু করেছে। সম্পাদকীয়তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড মোকাবিলার সমালোচনা রয়েছে যা থাকতেই পারে কিন্তু একটি একাডেমিক পত্রিকার সম্পূর্ণ মান ধ্বংস করে নিম্নরুচির ভাষায় একটি বাক্যে লেখা হয়েছে – “সমালোচনা ও মুক্ত আলোচনা রুদ্ধ করার জন্য মোদীর কার্যকলাপ ক্ষমার অযোগ্য”। পিছিয়ে নেই নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৫মে ২০২১-এ তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৪২ লক্ষে পৌঁছতে পারে। এদের কি আদালতে তোলা যায় না?

শুধু পত্রিকার লেখালেখি নয়, দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত যে মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠেছে তা বোঝাতে বারবার পশ্চিমী টেলিভিশন চ্যানেলগুলি দিল্লীর শ্মশানে পাশাপাশি অনেকগুলি শবদাহের ছবি দেখিয়েছে। শবদাহের ছবি গড় ভারতীয়ের কাছে কোন বিশেষ দৃশ্য নয়, কিন্তু পশ্চিমী জনতার কাছে এক বীভৎসতার ছবি। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ স্টিভেন লেভিট তাঁর জনপ্রিয় বই ফ্রিকোনিমিক্সে (Freakonomics) বলছেন আমেরিকায় যদিও একটি শিশুর বাড়ির সুইমিং পুলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িতে রাখা বন্দুকের গুলিতে মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে ১০০ গুণ বেশী তবু বাবা মায়েরা তাদের সন্তানকে বন্দুকওলা বাড়িতে পাঠাতে বেশী ভয় পান। কারণ জলে ডুবে শীতল মৃত্যুর থেকে বন্দুকের গুলিতে রক্তাক্ত মৃত্যুর খবরে হৈচৈ অনেক বেশী হয়। ঠিক সেই কারণেই জ্বলন্ত শবের ছবি দেখিয়ে ভারতকে একটি মধ্যযুগীয় পৃথিবীতে পাঠাতে চাইছে পশ্চিমী প্রচার মাধ্যম। অভিযোগ তুলছে এইসব হাস্যকর ভবিষ্যদ্বাণী করা সত্‌বেও ভারত সরকার কেন কিছু করে নি।

আসলে কোভিড ভাইরাস নিয়ে এখনও আমাদের জ্ঞান সীমিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে চীন থেকে এই রোগের উৎপত্তি সেখান থেকে তথ্য প্রায় নেই বললেই চলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – হু – প্রদত্ত চীনের তথ্য হাস্যকর রকমের কম। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় বলা হয়েছিল কোন ছোঁয়াছুয়ি নয়, কোন কিছুতে হাত দিলেই হাত সাবানে ধোও বা স্যানেটাইজার লাগাও, নইলেই করোনা হতে পারে। কোটি কোটি টাকার সাবান স্যানেটাইজার বিক্রী হয়ে গেল কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে আসলে সংক্রমণ ঘটে বায়ুর মাধ্যমে। নেচার (Nature) পত্রিকা (২৯ জানুয়ারী ২০২১) জানিয়ে দিল যে স্পর্শের মাধ্যমে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাব্যতা অত্যন্ত কম। একইভাবে গত দেড় বছরে কোভিড সারাতে ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন থেকে একেবারে জীবনদায়ী দামী রেমডেসিভিয়ার, কোন ওষুধই আর মান্যতা পাচ্ছে না। এমনকি লকডাউনের প্রভাব নিয়েও ভিন্ন মত রয়েছে। ইউরোপে সুইডেন তেমন কিছু বাধানিষেধ আরোপ করে নি অথচ সুইডেনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ব্রিটেন ফ্রান্সের মতনই। এসবে আশ্চর্যের কিছু নেই এভাবেই জানতে জানতে বিজ্ঞান এগোয়।  যেমন ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে যে সব দেশী বিদেশী গনৎকার হুঁশিয়ারী দিয়েছিলেন তাঁরা কেউ বলেন নি যে এবারের কোভিডের আক্রান্তরা অনেক বেশী শ্বাসকষ্টে ভুগবেন, অক্সিজেনের চাহিদা বাড়বে, কমবয়সীরা অনেক বেশী আক্রান্ত হবেন ইত্যাদি। সুতরাং প্রাথমিকভাবে এই দ্বিতীয় আক্রমণে কেন্দ্র রাজ্য সব সরকারই দিশেহারা হয়েছেন। কেউ নিদান দিয়েছেন যে নির্বাচনী ভীড় আর কুম্ভমেলাই দায়ী অথচ সবচেয়ে আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রে ও দিল্লীতে কোনটাই ঘটে নি। আরেকটি আক্রমণের লক্ষ উত্তরপ্রদেশ সরকার। অথচ সংখ্যাতত্‌ব  দেখাচ্ছে যে উত্তরপ্রদেশে প্রতি দশ লক্ষ মানুষে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক প্রদেশের থেকে কম ও ভারতের গড়ের অনেক নীচে।

৩১ মে, ২০২১

দেশ মোট আক্রান্ত প্রতি ১০ লক্ষে আক্রান্ত মোট মৃত্যু প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যু
আমেরিকা ৩,৪০,৪৩০,৬৮ ১,০২,৩০২ ৬,০৯,৫৪৪ ১,৮৩২
ব্রিটেন ৪৪,৮৪,০৫৬ ৬৫,৭৩৮ ১,২৭,৭৮১ ১,৮৭৩
ফ্রান্স ৫৬,৬৬,১১৩ ৮৬,৬৩১ ১,০৯,৪০২ ১,৬৭৩
সুইডেন ১০,৬৮,৪৭৩ ১,০৫,২০০ ১৪,৪১৩ ১,৪১৯
ভারত ২,৮০,৪৭,৫৩৪ ২০,১৪৪ ৩,২৯,১২৭ ২৩৬
উত্তর প্রদেশ ১৬,২৮,৪৫৬ ৮১২৬ ২০,৩৪৬ ১০১
চীন ৯১,০৯৯ ৬৩ ৪,৬৩৬

 

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতীয় বাম সেকুলারদের সঙ্গে ভারতীয় বা হিন্দু সংস্কৃতি বিরোধী পশ্চিমী উদারবাদী বুদ্ধিজীবীদের সখ্য ঘনীভূত হয়েছে। যা কিছু ভারতীয় বা হিন্দু তাই নিন্দনীয় যা পশ্চিমী মূর্তি পূজা বিরোধী সংস্কৃতির সঙ্গে  বেশ মানানসই। ভারত কথাটাই এত অসহ্য যে পশ্চিমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভারত চর্চা (ইন্ডিয়ান স্টাডিজ) বিভাগগুলি নাম পাল্টে হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া চর্চা বিভাগ। যদি কেউ প্রশ্ন করে অগণতান্ত্রিক চীনের নাম বাদ দিতে চীন চর্চা বিভাগের নাম তবে উত্তর এশিয়া বা তাইওয়ান চর্চা রাখা উচিত হবে না কি? অবশ্যই ভারতীয় সংস্কৃতির এই অপমানে ভারতীয় বাম সেকুলারদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। গত কয়েক দশকে ভারতকে টুকরো টুকরো করার প্রস্তুতিতে বাম সেকুলার ও ইসলামী শক্তির যোগাযোগে পশ্চিমী অর্থ যোগান চলছে হরেক রকম মানবাধিকার, আইনী লড়াই ইত্যাদি এনজিওর মাধ্যমে। যেমন ধনকুবের জর্জ সোরেসের সংস্থা ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন গত কুড়ি বছর ধরে ভারতে এই ধরণের এনজিওদের টাকা দিয়ে যাচ্ছে। এই সংস্থার ২০২০ সালের বাজেট ছিল ১০০ কোটি ডলার। সোরেস নিজেই ২০২০ সালের সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে তার বিশেষ লড়াই জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে বিশেষতঃ হিন্দু জাতীয়তাবাদী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে।

কোভিড অতিমারী ভারত বিরোধীদের এক হবার একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির দায়িত্বহীন ভবিষ্যদ্বাণী থেকে সংবাদমাধ্যমের একাংশের একতফা অপপ্রচার এখন তুঙ্গে। যেসব চিকিতসকদের সঙ্গে ভাইরাস বিদ্যার কোন সম্পর্ক নেই তাঁরাও টিভিতে দর্শকদের হাজারো জ্ঞান বিতরণ করছেন, প্রাইভেট হাসপাতালে অদরকারী পরীক্ষানিরীক্ষা অপারেশন করিয়ে রোগীদের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটের ডাক্তারও টিভিতে এসে জনগণের প্রেমে ভেসে সরকারকে তুলোধোনা করছেন। এই সময়ে মনে পড়ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রক্ষণশীল দলের মারগারেট থ্যাচারের কথা। ১৯৮১ সালে ব্রিটেনের বিধ্বস্ত অর্থনীতি মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে রসায়নের ছাত্রী মারগারেট থ্যাচার পেশ করলেন তাঁর বাজেট। অমনি হৈহৈ পড়ে গেল অর্থনীতির শিক্ষা প্রাঙ্গণে। ব্রিটেনের ৩৬৪ জন অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত অধ্যাপক, নোবেল বিজয়ী সহ, এই দক্ষিণপন্থী বাজেটের বিরুদ্ধে টাইমস পত্রিকায় চিঠি দিলেন। থ্যাচার পাত্তা না দিয়ে নিজের পথে ব্রিটেনের অরথনীতিকে চাঙ্গা করে তুললেন, মাথা হেঁট হলো বিশেষজ্ঞদের। আজকেও ভারতের নেতৃবৃন্দকে ভারতবিরোধী দেশী ও পশ্চিমী জোটের ভয়ের প্রচারকে উপেক্ষা করে নিজেদের পথেই চীনা ভাইরাস কোভিডকে জয় করতে হবে।