বঙ্গদেশ ডেস্ক: তৃণমূল আর বিজেপিকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য জোট বেঁধেছে বাম আর কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। কিন্তু তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেয়ে নিজেদের মধ্যেই বেশি লড়াই করতে হচ্ছে সংযুক্ত মোর্চাকে। কারণ জোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ফাটলের চিত্র ধরা পড়ছে এখানে ওখানে।
সম্প্রতি সেই ফাটলের চিত্র ধরা পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। সেখানে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে অবাক কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দেখেন ওনার আগেই ওই কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সুদীপ্ত বাগচি। সংযুক্ত মোর্চার তরফে থেকে ওই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের জন্য ছাড়া হয়েছিল, কিন্তু কংগ্রেসের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই সিপিএম নেতা নিজের নামে মনোনয়ন জমা দিয়েছে সেখানে।
ইতিমধ্যে কাটোয়া কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সুদীপ্ত বাগচির হয়ে দেওয়াল লিখন এবং প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, বামেরা অবিলম্বে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনাকে ব্যঙ্গ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীরবাবু জানান, ‘সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে আমার নাম মনোনীত করা হয়েছে, আশাকরি সিপিএম প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবে। এই কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী থাকব।” অন্যদিকে, সিপিএমের হয়ে কাটোয়া কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়া সুদীপ্ত বাগচি জানান, আমার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নেতৃত্ব। আমার কিছু বলার নেই। তবে দিনের শেষে আমরা একসঙ্গে লড়ব।”
অন্যদিকে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলে প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘সিপিএম কংগ্রেসের উপর ভরসা করতে পারছে না বলেই নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিয়েছে।” উল্লেখ্য, আগামী ২২ এপ্রিল কাটোয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন আর ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ সময়। তার আগে সিপিএম না কংগ্রেস কোন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।