দিল্লিতে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গার মূল ষড়যন্ত্রকারী খালিদ-তাহির, বলছে আদালত

0
685

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ, বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেন এবং অন্যরা গত বছর উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা বাধানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল বলে তদন্তে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। মঙ্গলবার আদালতে দায়ের করা একটি অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এমনই কথায় শুনিয়েছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দীনেশ কুমার।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাজুরি খাস এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় খালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার মতো উপাদন এই মুহূর্তে হাতে রয়েছে। আদালত বলেছে, এক সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে উঠে এসেছে তাহির হুসেনের প্রসঙ্গ। ষড়যন্ত্রকারীদের মাথা হিসাবে তিনি হিন্দু বিরোধী দাঙ্গার জন্য অর্থ ব্যয় করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ করা হয়েছে যে, খালিদ দিল্লির বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কে দেওয়ার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উস্কানিতে প্রলোভিত হয়ে একদল জনতা জড়ো হয়েছিল, যে ব্যক্তিরা ছিনতাই করেছিল এবং ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সম্পত্তি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছি। শুধু তাই নয়, তারা সরকারী সম্পত্তিও ধ্বংস করে দিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে অভিযোগপত্রে।

আদালতে কাসানা অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত হুসেন নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে সংঘটিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থ বিতরণ করেছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি হুসেনকে শাহিনবাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে তিনি একটি অফিসে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে তিনি খালিদ সাইফির সঙ্গে উমর খালিদকে অফিসের ভিতরে ঢুকতেও দেখেছিলেন।

আদালত জানিয়েছে, এক-দেড় ঘন্টা পরে তাহির হুসেন অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। সাক্ষীর বক্তব্য প্রমাণ হয় যে, ওই সময়ে উমর খালিদ তাহির হুসেনের সংস্পর্শে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য মজুত যা থেকে প্রমাণ হয় তিনিই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন এবং হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা বাধানোর জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন এবং ব্যক্তিদের ছিনতাই করতে এবং সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য রীতিমতো পরিকল্পনা করে উস্কানি দিয়েছিল।