“F-35 তেমন কাজের নয়” মার্কিন সেনা স্বীকারোক্তি! প্রয়োজন মেটাতে পারবে তেজস?

0
655

বঙ্গদেশ ডেস্ক – মার্কিন বিমান বাহিনীর একজন শীর্ষ আধিকারিক ঠাণ্ডা যুদ্ধের অতি পুরানো এফ -16 এর জায়গায় সাশ্রয়ী এবং বিশ্বস্ত, লাইটওয়েট, ‘স্টিলথ’ যুদ্ধ বিমানের একটি ছোট বহর তৈরি করার জন্যে সওয়াল করেছেন। এয়ার ফোর্সের চিফ অফ স্টাফ জেনারেল চার্লস ব্রাউন জুনিয়র বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।

ব্যয়বহুল “পঞ্চম প্রজন্ম”র এফ -22 এবং এফ -35 এর সঙ্গে শস্তার কিন্তু কর্মঠ কিছু জেটের ‘হাই-লো’ মিশ্রণ থাকবে এই ‘ফ্লীটে’। যদি এই পরিকল্পনাটি পরিচিত শোনায় তার কারণ, মার্কিন এয়ার ফোর্স কয়েক শতাব্দী আগেই ঠাণ্ডা যুদ্ধ কালীন ভিনটেজ এফ -16 এর জায়গায় প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিল। অদূর ভবিষ্যতের পরিপূরক হিসেবে একটি সাশ্রয়ী মূল্যের, হালকা ওজনের যোদ্ধা বিমাণ তৈরিও শুরু হয়। তবে কুড়ি বছরের প্রচেষ্টার পরেও ‘লকহিড মার্টিন’ তাদের কথামত বিমান তৈরিতে সক্ষম হয়নি।

২৫ টন ওজনের ‘স্টেলথ ফাইটার’ এফ – 35 এখন মার্কিনীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে, একজন আমেরিকান সুরক্ষাকর্মীকে উদ্ধৃত করে ফোর্বস নিউজ জানিয়েছে। একেকটি প্লেনের মূল্য ১০০ মিলিয়ান ডলার, অত্যন্ত হাই মেন্টেনেন্স খরচ, এছাড়া সফটওয়ার সমস্যাও আছে।

অন্যদিকে ভারত ইতিমধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ‘তেজস’ বিমান তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগেই হ্যাল’কে ৮৩ টি বিমানের অর্ডারও দেওয়া হয়। বিমানের মূল্য কম, মেন্টেনেন্স খরচও সাধ্যের মধ্যে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও সুলভে উপলব্ধ। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশ এই যুদ্ধ বিমানটি পেতেও চেয়েছি। এমতাবস্থায় এই তেজস বিমানগুলি আমেরিকার ক্ষয়িষ্ণু বিমান বাহিনীর কাছে একটি সুলভে পাওয়া, দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যার সমাধান হতে পারে। ডলার-টাকা মূল্যের অনুপাতে ডীলটি আমেরিকার জন্যে সুবিধাজনক হবে। অন্যদিকে নয়াদিল্লী ও ওয়াশিংটনের সম্বন্ধকেও জোরদার করবে।