ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের অভিযোগে গ্রেফতার মৃতার বাবা-দুই দাদা

0
714

বঙ্গদেশ ডেস্ক: সুকুমার রায় তার ‘একুশে আইন’ কবিতাটিতে লিখেছিলেন, “শিবঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে”। তবে ওনার লেখা কবিতার এই পঙক্তিটি একদিন বাস্তবে পরিণত হোক, এমনটা দুঃস্বপ্নেও চাননি তিনি। আর ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটল চোপড়ায় কিশোরীর খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে।

চোপড়া ‘কিশোরীর ধর্ষণ ও খুন’ কাণ্ডে গতকালই উদ্ধার হয়েছিল অভিযুক্ত সংখ্যালঘু যুবকের মৃতদেহ। রবিবার সকালে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হওয়ার ঠিক একদিন বাদে একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহটি। এরপরেই যুবকের পরিবারের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয় কিশোরীর পরিবারের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়।

যুবকের কাকা জানান যে রবিবার রাতেই তার ভাইপোকে খুন করেছে কিশোরীর পরিবার। যুবকের মা বলেন, ‘‘রাত ১১টা নাগাদ ওকে একজন ফোন করে বাইরে ডেকে নেয়। পরে ও ফোন করে বলে যে তিনজনের সঙ্গে রয়েছে। তারপরে আর বাড়ি ফেরেনি ও।’’

এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মৃত কিশোরীর দুই দাদা এবং বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার সচিন মক্কর জানান যে মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই কিশোরীর বাবা ও দুই দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের এই পদক্ষেপের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সাধারণ মানুষেরই এক বড় অংশ প্রশ্ন তুলছেন, ‘‘ওই যুবক যদি বাড়িতেই থেকে থাকেন, তবে কিশোরীর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে তাকে কেন গ্রেফতার করা হল না? যদি প্রমাণের অভাবে সেই যুবককে গ্রেফতার না করতে পারে পুলিশ, তবে কোন প্রমাণের ভিত্তিতে কিশোরীর বাবা, দাদাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে?’’

স্পষ্টতই এই ঘটনায় পুলিশের সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশের মতে, পুলিশকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে শাসকদল। অভিযুক্ত মেয়েটি বিজেপি নেত্রীর বোন হওয়ায় এবং অভিযুক্ত যুবক সংখ্যালঘু হওয়ায় পুলিশ, প্রশাসন এইরূপ আচরণ করছে৷