পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে আশার আলো দেখালেন বাঙ্গলার পাঁচ গবেষক

বঙ্গদেশ ডেস্ক:দেশের গবেষণা মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে কলকাতার পাঁচ তরুণ গবেষক। দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা আবিষ্কার করেছেন পুরুষের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ। একই সঙ্গে বের করেছেন মুক্তির উপায়। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, বন্ধ্যাত্বের শিকার হলেও ভবিষ্যতে মুক্তি পেতে পারে কোনও পুরুষ। সেই জন্য অন্যের শুক্রাণুর ওপর নির্ভর করতে হবে না।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিতত্ত্বের অধ্যাপক সুজয় ঘোষ ও তাঁর তিন সহযোগী ও দুই চিকিৎসকের গবেষণাপত্র নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে। শুরু হয়েছে আলোচনা।

আইসিএমআর সূত্রের খবর, মানবদেহে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল হবে খুব শিগগিরিই। অধ্যাপক সুজয় ঘোষ প্রমাণ করেছেন, যে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের (ইনফার্টলিটি) জন্য দায়ী TAF7 নামে একটি বিশেষ প্রোটিন। এই প্রোটিন তৈরি হয় TAF7 জিনের মধ্যে। অধ্যাপক সুজয় ঘোষের বলেছেন, মানুষ ও ইঁদুরের প্রজনন প্রক্রিয়ার মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। যে সব ইঁদুরের মধ্যে TAF7 প্রোটিন নেই, তাদের অণ্ডকোষের মধ্যে যদি এই প্রোটিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তবে সেগুলি প্রজননক্ষম হয়। এটাই এই পরীক্ষার মূল বিষয়। সুজয় ঘোষ ও তাঁর সহযোগীরা এই পদ্ধতির নামকরণ করেছেন ‘মাউস মডেল’।

পুরুষ বন্ধ্যাত্বের কারণ খুঁজতে গিয়ে এই শহরের প্রায় ১,২০০ জনকে বেছে নিয়েছেন এই গবেষকদলটি। যাদের ২০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে ওয়াই ক্রোমোজম আংশিক ভাঙা। ওয়াই ক্রোমোজোম পিতা হওয়ার জন্য প্রথম ও প্রধানতম শর্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫০ শতাংশ পুরুষ এই বন্ধ্যাত্বের শিকার।