ফরাসি সেনার এয়ার স্ট্রাইক, আফ্রিকার সেন্ট্রাল মালিতে ৫০ জন আল-কায়েদা জঙ্গি নিহত

0
588

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ফরাসি সেনা আফ্রিকার সেন্ট্রাল মালিতে (Mali) এয়ার স্ট্রাইককের মাধ্যমে আল-কায়দার মোট ৫০ জন জিহাদিকে শেষ করেছে। বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার সীমান্তের পাশে এক এলাকায় শুক্রবার এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি মালি সরকারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের পর তিনি জানান, আমাদের সেনা ইসলামিক বিদ্রোহীদের নিকেশ করার জন্য লড়াই করেছে, আর এই এয়ার স্ট্রাইক তারই অংশ। এছাড়াও ফ্রান্সে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত আল-কায়েদা জঙ্গিদের কার্যক্রমকে শেষ করার সাথে এই এয়ার স্ট্রাইক সম্পর্কযুক্ত।

ফ্লোরেন্স আরও জানান ” গত ৩০ অক্টোবর মালির বরখানে টিম একটি এয়ার স্ট্রাইক অভিযান চালায়। অভিযানে সর্বমোট ৫০ এর বেশি জিহাদিকে নিকেশ করা হয়েছে। ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন অ্যান্টি-জিহাদি অভিযান অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে হাতিয়ার আর প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ” ঘটনাস্থলে প্রায় ৩০ টি মোটরবাইক ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই মোটরবাইকগুলো বিভিন্ন আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহারের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।

পার্লি এর আগে নাইজারের রাষ্ট্রপতি (Mahamadou) মহামাদৌ ইসসৌফৌ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কারিদিও মহামাদৌ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। মূলত ড্রোনের মাধ্যমে তিনটি সীমান্ত এলাকায় বিশাল বাইক বাহিনীর খবর পাওয়ার গেছিল। তারপরেই এই এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে।

জিহাদিরা গাছের আড়াল ব্যবহার করে নিজেদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। ফরাসি বায়ুসেনা দুটি মিরাজ বিমানের মাধ্যমে টার্গেট লোকশনে মিসাইল ফায়ার করে এবং একটি ড্রোন পাঠায়। ফ্রান্সের এই এয়ার স্ট্রাইকে ৫০ জন জিহাদির মৃত্যু হয়েছে বলে ফ্রান্স 24 ইংলিশ এর সূত্রে জানা গেছে।

সেনা মুখপাত্র বলেন, ” হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে আরও চার জিহাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু সুইসাইড বম্বিং ভেস্ট ও প্রচুর বিস্ফোরক সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে সেনা আরও জানায়, জিহাদিরা সেখানকার সেনার উপর আক্রমণ করার প্ল্যান করছিল।

সারা পৃথিবী যখন কট্টর ইসলামিক আগ্রাসনের ফলে ভুগছে তখন একা হাতে ফ্রান্স বিশ্বকে দিশা দেখাচ্ছে কীভাবে জঙ্গিবাদ মুক্ত পৃথিবীর জন্য যুদ্ধ করতে হয়। শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি শেষ করাই নয়, এদের পুরো নেটওয়ার্কটাকেই শেষ করতে হবে সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত ও তাদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থে। অন্যদিকে ভারত সরকার এই কট্টর ইসলামিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার যুদ্ধে ফ্রান্সের পাশে থাকার কড়া বার্তা দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে কট্টর ইসলামিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার যুদ্ধে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর এক নতুন জোট হয়তো দেখতে চলেছে বিশ্ব!