৫ মাস ধরে বন্ধ ট্রেন, কেউ ঘরে বসে কেউ আবার আলু বিক্রি করছেন

0
534

মালদা: করোনার জেরে বিপর্যস্ত দেশ তথা বিশ্ববাসীর জীবন। করোনা এসে আমূল বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে। এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের এক কোটিরও বেশি মানুষ। অনেকেরই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা।সাথে করোনার জন্য চলতে থাকা লকডাউনের ফলে তৈরী হয়েছে মারাত্মক আর্থিক সংকট। আর এই আর্থিক সংকটে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেন, বাসে যারা হকারি করতেন।

করোনার প্রভাবে ব্যবসার পরিবর্তন হয়েছে। মারাত্মক ক্ষতির মুখে ছোট ব্যবসায়ী, ফুটপাথের ব্যবসায়ী এবং হকাররা। করোনার চেইন ব্রেক করতে ধাপে ধাপে চলছে লকডাউন। ফলে ব্যবসা বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। তবে নিচুস্তরের মানুষদের উপর বেশি প্রভাব পড়েছে এই সময়ে। অনেকেই অনেক রকম কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এই মহামারীর প্রভাবে প্রভাব পড়েছে রেলের হকারদের উপর। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসাও বন্ধ হয়ে গেছে। হকাররা কেউ চা বানিয়ে বিক্রি করতেন কেউ বা শুকনো খাবার বিক্রি করতেন, কেউ বিক্রি করতেন ঘুগনি কেউ বা ডিমসেদ্ধ।

কিন্তু মার্চ থেকে ট্রেন বন্ধ থাকায় তাদের রোজগারও বন্ধ পুরোপুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। তাই ব্যবসা পরিবর্তন করে দিয়েছেন তারা। পুরাতন মালদা তুতবাড়ির একজন হকার ট্রেনে, ট্রেনে চা বানিয়ে বিক্রি করতেন। এই অবস্থায় ব্যবসা পরিবর্তন করে আলু বিক্রি করছেন তিনি। আরেকজন হকার তিনি শুকনো খাবার বিক্রি করতেন কিন্তু এখন নিরুপায় হয়ে বাড়িতে বসেই দিন কাটাচ্ছেন।

সঞ্জীব কুমার হালদার নামে ওই হকার বলেন, “৫ মাস ধরে বন্ধ ব্যবসা। অন্য কাজও করতে পারছি না। এর উপর নির্ভর করতেই চলতো সংসার, ছেলে-মেয়েদের, লেখাপড়া। ফলে এই মুহূর্তে খুবই সঙ্গীহীন অবস্থা আমাদের। প্রত্যেক হকারদের ই একই অবস্থা।”

ছোট ব্যবসায়ী, ফুটপাথ ব্যবসায়ী, হকার এদের ব্যবসা সবথেকে ক্ষতি হয়েছে করোনার প্রভাবে। আর বেশিরভাগের সংসারই এই ব্যবসার উপর নির্ভর করেই চলে‌। সরকারের উচিত এই মানুষগুলোর জন্য সঠিক ভাবে ভাবা যাতে তারা তাদের কাজ শুরু করতে পারে বা বিকল্প রোজগারের পথ পাই। না তো করোনা পরবর্তী সময়ে চরম দারিদ্রতা গ্রাস করবে সমাজের একটা বৃহদ অংশকে। আরোও বেশি প্রকট হবে আর্থিক বৈষম্য।