বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রকাশ্যে শাঁখা সিঁদুর ও পৈতা পরা নিষিদ্ধ, ফতোয়া জারি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দীনের

0
772

বঙ্গদেশ ডেস্ক:বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সংখ্যাগুরুদের অত্যাচার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। গতবছর দুর্গাপুজোয় মূর্তি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে যে আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়েছে সেই আঁচ যেন থামছেই না। কিছুদিন আগে ঢাকা ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড বিবৃতি জারি করেছে, এখন থেকে হিন্দুরা নামের পূর্বে শ্রী ও শ্রীমতী ব্যবহার করতে পারবেন না।

হিন্দুদের দমিয়ে রাখার সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকার বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনে এক কথিত সমাবেশ থেকে এধরণের হুমকি-ধমকি দেয় ইসলামী মৌলবাদী সংগঠন ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ( চরমোনাই)’। সর্বসমক্ষে হিন্দু নির্যাতনের হুমকি দিয়েছেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দীন।
https://www.facebook.com/gopalgonj.mukul.1/videos/660018285419441/
মুহাম্মদ নেছার উদ্দীন বলেছেন, কোন‌ও হিন্দুর পরনে ধূতি থাকতে পারবে না, পৈতা গলায় ঝুলবে না, মাথায় সিঁদুর দিয়ে রাস্তায় হাঁটতে দেওয়া হবে না।
তিনি জোর গলায় হুমকি দিয়ে বলেছেন, কোন‌ও হিন্দুদের শাঁখা, সিঁদুর পরলে চরম দুর্ভোগ রয়েছে না, এছাড়া পৈতা পরলে পৈতা খুলে নেয়া হবে, ধুতি খুলে নেয়া হবে, কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। তিনি আরও বলেছেন, কন্ঠ কীভাবে থামিয়ে দিতে হয় মুসলমানরা খুব ভালো করে জানে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার বাদ জুমা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা’র বায়তুল মুকাররম-এ ভারতে হিজাব নিষিদ্ধ,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি,মদের লাইসেন্স দেয়ার পাঁয়তারা ও চট্টগ্রামের বইমেলায় ইসলামী বই বিক্রি নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)। তখনই তিনি সংখ্যালঘু হিন্দুদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন।