খালিস্তান আন্দোলন (১৩): শেষের শুরু! অপারেশন ব্লু স্টারের পটভূমিকা

– চিন্ময়ানন্দ অবধূত

(১২ম পর্বের পর)

পৃথিবীর যে কোনো দেশের শাশুড়িমাতাই বাধ‍্য, অনুগত পুত্রবধূদের একটু বেশি পছন্দ করে থাকেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী পূত্রবধূ কোনও শাশুড়ির কাছেই ঠিক কন‍্যাসমা হয়ে উঠতে পারে না।

তাই ইন্দিরা গান্ধীর প্রিয়পাত্রী ছিলেন রাজীবের স্ত্রী সনিয়া, যিনি তখনও রাজনীতির প্রাঙ্গণ থেকে নিজেকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। অন‍্যদিকে মানেকার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল অপরিসীম, তাই মানেকা, ইন্দিরার ঠিক কাছের মানুষ হয়ে উঠতে পারেননি।

১৯৮০ সালে বিমান দুর্ঘটনার পর মানেকা সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন ইন্দিরা সঞ্জয়ের উত্তরসূরী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন রাজীবকে, যেখানে ইন্দিরা নিজেই মানেকাকে নিজের পার্সোনাল সেক্রেটারি বানানোর জন‍্য অঙ্গীকার করেছিলেন। ইন্দিরার ভয় ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানেকা হয়তো নিজেই একদিন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবেন। অবশ্য ইন্দিরার জীবনীকার পুপুল জয়াকারের বক্তব্য অনুসারে তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টও আড়ালে থেকে ভালোই কলকাঠি নেড়েছিলেন।

রাজীবের রাজনীতিতে প্রবেশের পর মানেকার পাশে ইন্দিরা কর্তৃক কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত আকবর আহমেদ ছাড়া আর কেউ ছিল না। আকবর আহমেদের সহযোগিতায় মানেকা ‘রাষ্ট্রীয় সঞ্জয় মঞ্চ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল তৈরী করেন। ১৯৮২ -র ২৮ -শে মার্চ লক্ষ্মৌতে একটি জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই জনসমাবেশে মানেকা নিজেকে একজন “অসহায় তরুণী বিধবা” বলে পরিচয় দেন যিনি তাঁর “শাশুড়ির অত‍্যাচারে বিপর্যস্ত”। ফলে অচিরেই মানেকার শাশুড়ি  এই “অশ্রদ্ধা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের” কৈফিয়ৎ চেয়ে একটি কড়া চিঠি পাঠান। সেই দিন‌ই মানেকা তিন বছরের শিশুপুত্র বরুণকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

মানেকা গান্ধী, রাষ্ট্রীয় সঞ্জয় মঞ্চের একটি সভায়

১৯৮৪ -এর মে মাসে ভারতে যে উপনির্বাচন হয়েছিল তাতে অনেককটি আসনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয় এবং অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধী লক্ষ্য করেন এর মধ্যে একটি লক্ষ্মৌয়ের কাছে অবস্থিত মালিহাবাদ আসন। সেখানে কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে মানেকার “রাষ্ট্রীয় সঞ্জয় মঞ্চ”। খালিস্তান আন্দোলন দমনে কেন্দ্রীয় সরকার যে অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছিল, তা কংগ্রেসের ভরাডুবির অন‍্যতম কারণ ছিল সন্দেহ নেই।

১৯৮৪ -র উপনির্বাচনে হারের পর কংগ্রেসের অবস্থা। সৌজন্য: ইন্ডিয়া টুডে।

মালিহাবাদের বিপর্যয় ইন্দিরার কাছে একটি অশনিসংকেত ছিল। জয়লাভের পরেই মানেকা ঘোষণা করেন তিনি ১৯৮৫ -এর সাধারণ নির্বাচনে আমেঠি থেকে দাঁড়াবেন। আমেঠি মালিহাবাদের খুব একটা বেশি দূরের পথ নয়। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর আমেঠি আসন থেকে দাঁড়ানোর কথা রাজীব গান্ধীর। সুতরাং খালিস্তানি তান্ডব বন্ধ না করতে পারলে ১৯৮৫ তে আমেঠি থেকে রাজীবের জেতা মুশকিল হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে রাজীবকে কুর্তা পাজামা ছেড়ে আবার পাইলটের ইউনিফর্ম গায়ে ওঠাতে হতে পারে। সুতরাং ইন্দিরা গান্ধীকে একটি পদক্ষেপ নিতে হল।

মানেকা গান্ধীর আমেঠি অভিযান।
১৯৮৪ -র উপনির্বাচনের পর ইন্ডিয়া টুডে তে প্রকাশিত কার্টুন।

আকালি ত্রিমূর্তির মধ্যে দুজন, প্রকাশ সিং বাদল আর গুরচরণ সিং তোহরাকে ডেকে এনে বলা হল, শুধু পঞ্জাবের আবোহার শহরটিকে হরিয়ানার অন্তর্ভুক্ত করতে দিলেই চন্ডীগড় পঞ্জাবকে দিয়ে দেওয়া হবে। আকালিরা যেন “ধর্মযুদ্ধ মোর্চা” তুলে নেন।এর জন খুব তাড়াতাড়ি তিনি একটি “কমিশন” গঠন করতে চলেছেন। আকালি দলেরা জ্ঞানবৃদ্ধরা কমিশনের নামে প্রথমে একটু গাঁইগুঁই করলেও রাজী হয়ে গেলেন, কেননা ভিন্দ্রান‌ওয়ালের হিটলিস্টে তাঁদের‌ও নাম উঠে গিয়েছিল। তাঁরাও চাইছিলেন একটি রফা করে নিজেদের জান ও মান বাঁচাতে।

এইবারের আলোচনার দায়িত্বে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নরসীমা রাও। ভবিষ্যতে যিনি ভারতে মুক্ত অর্থনীতির ভগীরথ বলে বিবেচিত হবেন, সেই পি ভি নরসীমা রাও তখন পরিচিত ছিলেন ইন্দিরার ইয়েস ম‍্যান হিসেবে। এবারের আলোচনায় পাটিয়ালার মহারাজ অমরিন্দর সিং আর অংশগ্রহণ করেননি, কেননা তিনি নিজেই সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন।

এগারোই মে আকালি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সংবিধানের কপি পোড়ানোর জন্য লাগু করা দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়। চারদিন পর প্রকাশ সিং বাদল আর গুরচরণ সিং তোহরা মিলে লোঙ্গোয়ালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তোহরা বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধতে অর্থাৎ ভিন্দ্রান‌ওয়ালের কাছে সরকারের প্রস্তাব উত্থাপিত করতে রাজি হন, কেননা তোহরার মনে একটি ক্ষীণ আশা ছিল কোনওভাবে আকালি – কংগ্রেস কোয়ালিশন সরকার গঠিত হলে (কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার সময় এই বিষয়টিও উঠেছিল) ভিন্দ্রান‌ওয়ালে মুখ্যমন্ত্রী হ‌ওয়ার জন্য তাঁকে সমর্থন করবে।

কিন্তু তোহরা ভিন্দ্রান‌ওয়ালের কাছে হাজির হলে  ভিন্দ্রান‌ওয়ালে এই চুক্তিতে রাজি হতে অস্বীকার করে এবং তোহরাকে সোজাসুজি বলেই দেয় তোহরা নিজে মুখ্যমন্ত্রী হ‌ওয়ার জন্য আনন্দপুর সাহিব রেজল্যুশনের দাবিকে উপেক্ষা করছেন। তোহরা আকাল তখতের থেকে ভিন্দ্রান‌ওয়ালের সরানোর জন্য হুমকি দিলে ভিন্দ্রান‌ওয়ালে সেটা আর গ্রাহ‍্য করল না, কেননা ভিন্দ্রান‌ওয়ালের ভালো করেই জানা ছিল স্বর্ণমন্দিরের কোনও পুরোহিত প্রাণের ভয়ে ভিন্দ্রান‌ওয়ালের বিরুদ্ধে কোন হুকুমনামা বের করবে না।

সুতরাং তোহরা পঞ্জাবের রাজ‍্যপালের সঙ্গে দেখা করে বলতে বাধ্য হন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হ‌ওয়ার আর কোনও আশা নেই‌ ।

একসপ্তাহ পরে লোঙ্গোয়াল পঞ্জাবের থেকে অন‍্য রাজ‍্যে খাদ‍্যশস‍্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিন জুন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় এবং শিখেদের যে কোনও রকম ট‍্যাক্স দিতে নিষেধ করা হয়। স্বর্ণমন্দিরের চারপাশে নিরাপত্তার বলয় কঠোরতর হয়।

৩১ শে মে, সন্ধেবেলা। মীরাটে নিজের বাংলোতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল কুলদীপ সিং ব্রার খুব ব‍্যস্ত, লাগেজ গোছানো হচ্ছে, পরের দিন‌ই ম‍্যানিলায় সপরিবারে ছুটি কাটাতে র‌ওনা দেবেন। হঠাৎ ওয়েস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টার্স থেকে থেকে একটি ফোন আসে, পরের দিন সকাল নটায় চন্ডীগড়ে “আভ‍্যন্তরীণ নিরাপত্তা” সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে তাঁকে হাজির থাকতে হবে।

স্ত্রীকে দিল্লিতে পাঠিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ব্রার নিজে চন্ডীগড়ে র‌ওনা দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টার্ন কম‍্যান্ডের জেনারেল অফিসার কম‍্যান্ডার ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল কৃষ্ণস্বামী সুন্দরজি এবং ওয়েস্টার্ন কম‍্যান্ডের চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রঞ্জিত সিং দয়াল সহ আরও কয়েকজন সিনিয়র অফিসার। সেখানেই কুলদীপ সিংকে জানানো হয় ইন্দিরা গান্ধী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির এবং পঞ্জাবের অনান্য গুরদোয়ারাগুলিকে খালিস্তানি জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত করার একটি পরিকল্পনা করেছেন।

বাম দিক থেকে কৃষ্ণস্বামী সুন্দরজি, রঞ্জিত সিং দয়াল আর কুলদীপ সিং ব্রার

ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের দাঙ্গাপ্রবণ এলাকায় বি এস এফ মোতায়েন করা হয়েছে। মিরাট আর সেকেন্দ্রাবাদ থেকে দুটো ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনকে পঞ্জাবে পাঠানো হয়েছে। স্বর্ণমন্দিরের অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুলদীপ সিংকে। তেসরা জুন থেকে সেনা অভিযান শুরু হবে। এই সেনা অভিযানের কোড নেম দেওয়া হয় “অপারেশন ব্লু স্টার”।

চন্ডীগড়ে যখন অপারেশন ব্লু স্টারের পরিকল্পনা চলছে প্রায় সেই সময়েই ১৯৮৪ -র ১ -লা জুন দুপুর বারোটা চল্লিশ মিনিট থেকে স্বর্ণমন্দির চত্বরের বাইরে খালিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফের গুলিবিনিময় হয় এবং তা চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এগারো জন নিহত হয়। পরের দিন পুরো পঞ্জাব জুড়ে হিংসাত্মক ঘটনায় বারো জন মারা যায়, এদের মধ্যে একজন ছিলেন ওম প্রকাশ বাগ্গার, প্রাক্তন এম এল এ।

২ -রা জুন সন্ধেবেলা দূরদর্শনে প্রথমে সরস্বতী বন্দনা শোনানো হয়। তারপর “সারে জাহাঁ সে আচ্ছা” সঙ্গীতটি প্রচারিত হয়। এরপর ইন্দিরা গান্ধী একটি ভাষণে ঘোষণা করেন সরকার আকালিদের সমস্ত দাবী মেনে নিলেও আকালিরা নতুন নতুন দাবী উত্থাপন করছে, আসলে আকালিদের পরিচালনা করছে খালিস্তানি জঙ্গিরা।

টিভিতে ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণ শেষ হওয়া মাত্রই সেনাবাহিনী স্বর্ণমন্দিরের চারপাশে পজিশন নেয়। ইতিমধ্যে রাত নটা থেকে পঞ্জাবে ছত্রিশ ঘন্টার কার্ফ্যু লাগু করা হয়েছে। পঞ্জাবের সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পঞ্জাবের থেকে সব সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

স্বর্ণমন্দির চত্বরের পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে অপারেশনাল হেডকোয়ার্টার্স বানানো হল।

এদিকে জঙ্গিরাও প্রস্তুতি নিচ্ছিল কয়েক সপ্তাহ ধরেই। আকাল তখতকে কেন্দ্র করে তিনটি সমকেন্দ্রিক বৃত্তে খালিস্তানি জঙ্গিরা নিজেদের সজ্জিত করেছিল প্রত্যাঘাতের জন্য। সবচেয়ে বাইরের বৃত্তটির ব‍্যাসার্ধ ছিল আটশো মিটার এবং এটি তৈরী হয়েছিল স্বর্ণমন্দির চত্বরের চারপাশে সাধারণ মানুষের বাড়ির ছাদে। অন্ততঃ সতেরোটি বাড়ি নিয়ে রচনা করা হয়েছিল এই নিরাপত্তা বলয়। পুলিশ বাধা দেয়নি তার অন‍্যতম কারণ পুলিশের দায়িত্বে থাকা পি এস ভিন্দারের অপদার্থতা। ভিন্দার পরে অজুহাত দিয়েছিলেন তিনি “সাধারণ মানুষকে বিরক্ত” করতে চাননি।

দ্বিতীয় বৃত্ত তৈরি হয়েছিল স্বর্ণমন্দিরের ভিতরে স্বর্ণমন্দিরের প্রাচীর সংলগ্ন বাড়িগুলিতে।

তৃতীয় বৃত্ত গঠিত হয়েছিল স্বর্ণমন্দিরের প্রাঙ্গণের ভিতরে, যার কেন্দ্রে ছিল জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টার্স ‘আকাল তখত’।

এই অপারেশনের সময় ভারতীয় সেনা এবং ইন্টালিজেন্সের হিসেবে দুটো মোক্ষম ভুল হয়েছিল।

প্রথমতঃ অপারেশনের সময়।

দোসরা জুন স্বর্ণমন্দির চত্বরে প্রচুর শিখ তীর্থযাত্রীদের সমাগম হয়েছিল, কেননা এর পরের দিন ছিল গুরু অর্জনের জন্মদিন। ফলে প্রচুর সাধারণ মানুষ, মহিলা ও শিশু ক্রসফায়ারে মারা যান। এদের ভিন্দ্রানওয়ালে স্বর্ণমন্দির চত্বরে আটকে রেখে হিউম্যান শিল্ড হিসেবে ব্যবহার করেছিল।

দ্বিতীয়তঃ ইন্টালিজেন্সের ব্যর্থতা।

এটা ভাবতে কষ্ট হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে স্বর্ণমন্দিরের কোন ম্যাপ ছিল না। এমনকি কয়টা প্রবেশদ্বার, সেটাও ঠিকমতো জানা ছিল না। জঙ্গিদের হাতে কি ধরণের অস্ত্র আছে, ইন্টালিজেন্সে সেই খবরও যোগাড় করে উঠতে পারে নি। এর ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে।

৩ -রা জুন সারাদিন সেনা মন্দির চত্বরের বাইরে পজিশন নিয়ে থাকে। কার্ফ্যু কিছুক্ষণের জন্য তুলে নেওয়া হয় যাতে তীর্থযাত্রীরা ভিতরে গিয়ে গুরু অর্জন সিং এর জন্মোৎসব পালন করতে পারে। এই সুযোগে দুশোরও বেশী জঙ্গি তীর্থযাত্রীদের ছদ্মবেশে পালিয়ে যায়, যাদের মধ্যে অনেকেই ছিল প্রাক্তণ নকশাল। রাতের দিকে আবার কার্ফ্যু জারি করা হয় আর স্বর্ণমন্দির চত্বরে প্রবেশ করার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অপারেশন শুরুর আগে কুলদীপ সিং ঘোষণা করেন, এই লড়াই শিখদের বিরুদ্ধে নয়, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। যদি কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত লেগে থাকে, সে যেন এই লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। তবে কোনও শিখ সৈন্য বা সাধারণ অফিসার, নিজেকে সরিয়ে নেয় নি।

লাউডস্পিকারে বার বার আটকে থাকা তীর্থযাত্রীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হয়, কিন্তু ভিন্দ্রানওয়ালে কর্ণপাত করেনি।

৪ জুন ভোর পৌনে পাঁচটায় প্রথম গুলিবিনিময় শুরু হয় এবং পাঁচ ঘন্টা ধরে তা চলতে থাকে। এইসময় প্রায় একশোরও বেশি সেনা মারা পড়ে। প্রবেশদ্বার যে এতটা সুরক্ষিত ছিল সেটা গুপ্তচরদের ব্যর্থতার ফলে সেনাবাহিনীর অজানা ছিল।

(ক্রমশ)

তথ‍্যসূত্রঃ

1.  Amritsar, Mrs Gandhi’s Final Battle.

2. https://www.nytimes.com/1982/03/31/world/son-s-widow-quits-gandhi-household.html

3. https://www.indiatoday.in/magazine/special-report/story/19840615-amethi-election-in-1985-may-no-longer-be-an-easy-walk-over-for-rajiv-gandhi-803026-1984-06-15

4. https://www.dailyo.in/lite/politics/maneka-gandhi-sonia-gandhi-gandhi-feud-bjp-congress-sanjay-gandhi-emergency-maruti-muslims-indira-gandhi-saas-bahu/story/1/30320.html

5. The Khalistan Conspiracy. GBS Sidhu.

6. Operation Blue Star. The true story.Lt. General K.S. Brar.

7. India, the Siege Within. M. J. Akbar.