“ঘাবরানা নেহী হ্যায়”! লাইভ টিভিতে গৃহবধূর কাছে অপমানিত পাক প্রধানমন্ত্রী

0
608

বঙ্গদেশ ডেস্ক – রবিবার ৪ এপ্রিল, এক পাকিস্তানি নারী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার ‘ক্যাচফ্রেজ’ ‘ঘাবরানা নেহি হ্যায়’ নিয়ে কঠোরভাবে আক্রমণ করেন। দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে জনগণকে মাঝেমধ্যেই এই আশ্বাস বাক্যটি দিয়ে থাকেন ইমরান ‘হ্যাণ্ডসাম’ খান। কয়েকদিন আগে দেশের জনগণের সঙ্গে ইমরানের লাইভ ফোন কল সেশনের সময় একটি অপমানজনক ঘটনা ঘটেছিল।

লাইভ সেশনের ১০ মিনিট নাগাদ, ইসলামাবাদ থেকে আমরিন খায়ুম নামে এক মহিলাকে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী তার অভিযোগ জানাতে বলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানান, “আমি পেশায় গৃহিণী। আমার স্বামী একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকরি করেন। আমি বিভিন্ন পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম সম্পর্কে কথা বলতে চাই। আমাদের জীবন-যাপন আগের থেকে কঠিন হয়েছে। আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমাদের বাচ্চাদের স্কুল ফি প্রদান করা উচিত, নাকি জীবনের জন্যে প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির জন্য অর্থ প্রদান করা উচিত”।

মহিলা জোর দিয়ে বলেছিলেন, “রমজান মাস আসতে চলেছে। তবে, দৈনন্দিন পণ্যের দাম কমছে না। আপনারা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করুন এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। ” তারপরে তিনি যোগ করলেন, “আর আপনি এটি না করতে পারলেও শুরুর দিন থেকে একটাটা বলে আসছেন, ‘আপনোনে ঘাবরানা নেহী হ্যায়’। এবার অন্তত আপনি আমাদের ঘাবরানোর অনুমতি দিন।”

‘ঘাবরানা নাহি হ্যায়’ আর কাজে দিচ্ছে না। মহিলাটি যখন তার আইকনিক ক্যাচফ্রেজটি তার দিকেই ছুঁড়ে মারেন, তখন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী এক মুহুর্তের জন্য বাকরহিত হয়ে যান। তার পুরো উত্তর জুড়ে তিনি বলার চেষ্টা করছিলেন যে, তাঁর প্রশাসন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গভীরভাবে মনোযোগ দিচ্ছে। যদিও তার নিজের উত্তরে বা কন্ঠস্বরে বোঝা যায়, এই কথাগুলিতে তার নিজেরই ভরসা ছিল না।

প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে সমালোচনার হাত থেকে দূরে সরে যাওয়ার অজুহাত হিসাবে ইমরান খান ‘ঘাবরানা নহি হায়’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করে আসছিলেন। আজ তার কথাই লাইভ টিভিতে তার দিকে ফিরিয়ে দেন এই পাকিস্তানি গৃহবধূ।