লাভ জিহাদ পরিকল্পনা ভণ্ডুল, মুসলিম প্রেমিক হত্যা করলো হিন্দু প্রেমিকাকে

0
856

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- গয়না নির্মাতা সংস্থা তানিষ্কের বিতর্কিত লাভ জিহাদ মূলক বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশে এখনো উত্তেজনার আঁচ কমেনি। এরই মাঝে এক মুসলিম মহিলা হিন্দু পরিবারে বিয়ে করে সুখে আছেন এমন বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতেই জুটেছে একের পর এক হুমকি।তারই মধ্যে গত শনিবার হায়দ্রাবাদে মুসলিম প্রেমিকের হাতে খুন হতে হয়েছে এক তরুণীকে।

দ্যা হান্স ইন্ডিয়া রিপোর্ট করেছে, গত শনিবার রাতে হায়দরাবাদের রেইন বাজার পাড়ায় একটি ২৪ বছর বয়সী হিন্দু তরুণীকে তার প্রেমিক সৈয়দ মোস্তফা এবং তার ভাই দ্বারা নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করেছে।

ঘটনাটি তখনই নজরে আসে যখন শহরের পুলিশ টহলদারির সময় রেইন বাজারের একটি হোটেলের কাছাকাছি তরুণীর লাশ দেখতে পায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তরুণীর পিতার নাম রাজ কুমার যিনি মূলত সানগেরেদী জেলার নারায়ণখেদ অঞ্চলের নাগালগিদা মন্ডলের করানগুটি এলাকার বাসিন্দা এবং কয়েক বছর আগে সপরিবারে হায়দ্রাবাদে এসেছেন এবং আসিফনগরের দত্তাত্রেয়নগরে বসবাস শুরু করেছেন।

অপ‌ইন্ডিয়া রিপোর্ট করেছে খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, তরুণী মহাত্মা গান্ধী আইন কলেজ থেকে তার এলএলবি করছিলেন করছে এবং বন্যপ্রাণের রক্ষার জন্য “পিপলস ফর অ্যানিমাল সোসাইটির” একজন সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। এই সোসাইটিতে কাজের সূত্রে সৈয়দ মোস্তফার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়েছিল, মোস্তফা নিজেও একজন স্বেচ্ছাসেবক ছিল। দুজনের মধ্যে আস্তে আস্তে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু গোল বাধে যখন বিষয়টি মোস্তফার পরিবার জেনে যায়। তারা প্রথম থেকেই এই সম্পর্কে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তখন মোস্তফা পরিবারের কথামতো তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে এবং মহিলার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেয়। তরুণী মোস্তফার এই আচরণের কারণ বুঝতে না পেরে তার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে মোস্তফার পরিবারের সদস্য এবং তরুনীর মধ্যে জোর বচসা বাধে।

মোস্তফার ভাই জামিলও এই বচসায় জড়িয়ে পড়ে যা ভোর চারটে অবধি গড়ায়। মোস্তফা ওই তরুণীকে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং তাকে তার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তরুণীর বাড়ির রাস্তাতে সৈয়দ মোস্তফা ও তার ভাই প্রচন্ড ক্ষোভের সঙ্গে তরুণীকে ছুরিকাঘাত করে এবং লাশটি রেইন বাজারের একটি হোটেলের কাছাকাছি ফেলে রেখে চলে যায়।

অভিযুক্তর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে এসসি / এসটি আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। পুলিশ মামলার সম্ভাব্য সকল দিক তদন্ত করে দেখছে।