লাদাখ উত্তেজনার জের, ভারত চীন থেকে কমিয়ে দিল আমদানি, বাড়ল রপ্তানি

0
552

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিবাদের জেরে ভারত চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। ইতিমধ্যে ভারত চীনের সঙ্গে অনেক ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছে এবং চীনা অ্যাপসগুলোকে দেশে নিষিদ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় ব্যবসায়ী আর আম জনতা দিওয়ালিতে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে বেজিংকে বড়সড় ঝটকা দিয়েছিল।

ভারত আবার‌ও চীনকে একটি বিপাকে ফেলেছে। ভারত বিগত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে চীনের থেকে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, ভারত আমদানি কমিয়ে দিয়ে ভারতীয় সামগ্রীর আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে চীনের বাজারে।

ভারতের তরফ থেকে চীনকে ২০২০ এর পূর্ববর্তী সময়ে ১১ মাসে করা মোট রপ্তানি ১৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে মাত্র। এই সময়ে সীমান্ত উত্তেজনা এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেকবার দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে তীর শানিয়েছিল। চীনা মিডিয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বিবাদের জেরেই ভারত চীনের থেকে আমদানি ১৩ শতাংশ হ্রাস করেছে।

উল্টোদিকে চীনা মিডিয়ার দাবি, জিনপিংয়ের সরকার পূর্ব লাদাখের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখায় কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করেনি। কিন্তু দিল্লী অন্যায়ভাবে চীনের থেকে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে আর চীনা অ্যাপ ব্যান করে দিয়েছে। আরেকদিকে, চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস নিজেদের ইমেজ বজায় রাখতে দাবি করেছে যে, করোনা মহামারীর কারণে ভারতে চীনা দ্রব্যের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। আর এই কারণে চীন থেকে ভারতে রপ্তানি কম করা হয়েছে।

গত সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৫৯ বিলিয়ন ডলারের সামগ্রী রপ্তানি করেছে। যেটা গতবারের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ কম। যদিও চলতি বছরের গোড়ার দিকে ভারত চীনের থেকে ১৬.২ শতাংশ সামগ্রী আমদানি করেছে। তবে, সেই তুলনায় ১৩ শতাংশ কম আমদানি চীনের কাছে একটু হলেও শুভ সংবাদ বহন করে এনেছে। অন্যদিকে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি সামগ্রী চীনে রপ্তানি করেছে। এই পরিসংখ্যানে ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে যে, চীন প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কে রাজনীতিকরণের মনোভাব রাখেনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, দিওয়ালিতে চীনা পণ্য বয়কটের ফলাফল চীন ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। ভারত সরকার যদি ধারাবাহিকভাবে একের পর এক দ্রব্য নিষিদ্ধ করে চীনকে কোনঠাসা করতে শুরু করে তাহলে চীনের আগ্রাসী মনোভাব খুব সহজেই প্রশমিত হবে এবং চীন ভারতের বশ্যতা স্বীকার করে নেবে।