প্রথম থ্রিডি প্রিন্টিং করে রকেট ইঞ্জিন বানালো ভারতের ‘স্পেস স্টার্টআপ’

0
552

বঙ্গদেশ ডেস্ক – কোনো কঠিন কাজের বিবরণ দিতে গেলে সাধারণত ‘রকেট সায়েন্স’ এর ঊদাহরণ দেওয়া হয়। রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা রীতিমত কঠিন ব্যাপার, আর তার ‘থ্রিডি প্রিন্টিং’ তো আরও কঠিন বিষয়। রকেটগুলির সফলভাবে কাজ করার জন্য সমস্ত পার্টসগুলির ঠিকঠাকভাবে জোড়া লাগা দরকার। তবে চেন্নাইয়ে অবস্থিত একটি ভারতীয় ‘স্পেস স্টার্টআপ’ এই কঠিন কাজটিই করে দেখিয়েছে।

‘অগ্নিকুল কসমোস’ নামের একটি ভারতীয় কোম্পানি ‘অগ্নিলেট’ নামে তার আধা-ক্রাইওজেনিক রকেট ইঞ্জিনকে সাফল্যের সাথে উৎক্ষেপণ করেছে বলে বিজনেস ইনসাইডার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও CEO শ্রীনাথ রবিচন্দ্রন বলেছেন, “সমগ্র ইঞ্জিন, অগ্নিলেটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটিমাত্র হার্ডওয়্যার দিয়েই তৈরি এবং এটির কোনো অংশই এসেম্বলড নয়”।


সাধারণত রকেট ইঞ্জিনগুলি কয়েক শত ভিন্ন অংশকে পৃথক পৃথকভাবে জোড়া দিয়ে তৈরি করতে হয়। এরমধ্যে ইঞ্জেক্টরগুলির মতো জিনিসও রয়েছে যা ইঞ্জিনে জ্বালানী ইনজেক্ট করে। এছাড়াও রয়েছে রকেট ঠান্ডা রাখা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কুলিং চ্যানেল, ইঞ্জিন যাতে বেশি গরম না হয় এগুলি তা নিশ্চিত করে। তাছাড়া থাকে ইগনাইটার যা প্রকৃতপক্ষে রকেটটিকে মাটি থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে উৎক্ষেপণে সহায়তা করে।

অন্যদিকে, অগ্নিলেট একটি থ্রি-ইন-ওয়ান সমাধান প্রদান করে। এক্ষেত্রে তিনটি মডিউল বা অংশই একক হার্ডওয়ারের মধ্যে রাখা হয়। কোনও জটিল এসেম্বলির দরকার হয় না এবং সমস্ত ব্যবস্থাটিই চারদিনেরও কম সময়েই সম্পূর্ণ করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রকেট ইঞ্জিনটি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার অবধি কক্ষপথ (low earth orbit – এলইও) পর্যন্ত ১০০ কিলোগ্রাম ওজন বহন করতে সক্ষম।