ইসলামিক বাংলাদেশে জিহাদী শক্তিকে হিন্দুদের হুঁশিয়ারি, প্রাণ দিয়ে মন্দির রক্ষা করার ডাক

0
826

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ইসলামিক বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের করুণ অবস্থা সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। প্রায়শই সেখান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কোন না কোন জিহাদী হামলার খবর পাওয়া যায়। বর্তমান ইসলামিক বাংলাদেশে জিহাদীদের সাথে সমানে তাল মিলিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরাও। আওয়ামিলীগ নিজেদেরকে ‘অসাম্প্রদায়িক’ দল বলে দাবী করলেও বাস্তবে চিত্রটি ঠিক উল্টো। 

ইসলামিক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে প্রায় আড়াইশ বছরের প্রাচীণ রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর বিগ্রহ মন্দিরটি অবস্থিত। ১৭০০ সালের শেষের দিকে রাজা বিখন লাল ঠাকুর দেবতা নারায়ণের নামে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। নারায়ণগঞ্জের নামকরণের সাথে এই মন্দিরটি জড়িয়ে আছে। নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি, জাল দলিল তৈরী করে মন্দির ও জমি সহ ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের, হিন্দুদের এই দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছে। সিটি মেয়র ও ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগের প্রভাবশালী নেত্রী হওয়ায় প্রশাসন নীরব। 

তারই প্রতিবাদে গত ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায় একজোট হয়ে দেওভোগ জিউস পুকুর দিঘির পাড়ে একটি গণসমাবেশ আয়োজন করে। এই সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের হাজার হাজার হিন্দু জনতা যোগদান করেন। সমাবেশ থেকে হিন্দু নেতারা এই জিহাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারী দিয়ে ঘোষণা করেন প্রয়োজনে প্রাণ দেওয়া হবে, তবুও মন্দির দখল হতে দেওয়া হবে না। জীবন দিয়ে হলেও নারায়ণের মন্দির রক্ষা করা হবে। এরপরে বিক্ষুব্ধ হিন্দু জনতা একযোগে মিছিল করে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে৷ এর আগেও নারায়ণগঞ্জের হিন্দু জনতা এই জিহাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিল।

কিন্তু প্রশাসন কোনরূপ ব্যবস্থা না নেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের আপামর হিন্দু জনতা আবারও একজোট হয়ে রাস্তায় নেমেছে। তবে বর্তমানে জিহাদী চেতনার ধারক ও বাহক আওয়ামিলীগ সরকার এর জন্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর রুষ্টভাবাপন্ন হয়ে আরও আগ্রাসী হবে কি না কিংবা এই জিহাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।