কাশ্মীরঃ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারে কমেছে হিংসা, পাথর ছোঁড়ার ঘটনা হ্রাস ৮৭.১৩ শতাংশ

0
699

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ২০১২ সালের তুলনায় ২০২০-তে জম্মু ও কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা কমেছে ৮৭.১৩ শতাংশ । জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডাইরেক্টর জেনারেল(মহাপরিচালক – ডিজিপি) দিলবাগ সিং ইকনমিক টাইমসকে বলেছেন যে, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদের আগে পাথর ছোঁড়ার ঘটনার সংখ্যা ছিল ১,৯৯৯ টি। তুলনায়, ২০২০ সালে এই ধরনের ২৫৫ টি ঘটনা ঘটে।

ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেন বর্তমানে “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২১ সালে আমাদের সংকল্প হল জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি এবং স্বাভাবিকতা আরও জোরদার করা”।

বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর, ২০১৯ সালে সংঘটিত ১,৯৯৯ টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনার মধ্যে ১,১৯৩ টিই ঘটেছে পূর্ববর্তী রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে।

কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ৫ ই আগস্ট ২০১৮ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে দিয়েছিল। এই ধারা ৩৭০ পূর্ববর্তী রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে (যা বর্তমানে জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত) এক বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল।

সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, ২০২০ সালের দিকে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ২০১৬ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ অবধি কমে গিয়েছিল। ২০১৬ সালে হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাবাদী বুরহান ওয়ানির হত্যার পর সারা কাশ্মীর জুড়ে হিংস্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।

কাশ্মীরে বিক্ষোভ চলাকালীন, সিকিউরিটি ফোর্সের দিকে পাথর নিক্ষেপ করা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বহুল প্রচলিত ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ কমান্ডার পাথর ছোঁড়ার এই প্রবণতাটিকে “আন্দোলনমূলক সন্ত্রাসবাদ” (agitational terrorism) বলে অভিহিত করেছিলেন। এর কারণ এসব বিক্ষোভ থেকে মূলত সুরক্ষা বাহিনীকেই টার্গেট করা হয়, আর তাঁরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্কোচে প্রায়শই পাথর নিক্ষেপকারীদের থামাতে বন্দুক ব্যবহার করতে পারেননা।