বঙ্গদেশ ডেস্ক:পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দিভাষীদের ভোট একটি অন্যতম বড় ফ্যাক্টর। আর তাই রাজ্যের হিন্দি ভাষীদের সাথে গণসংযোগ করার তৃণমূল ভবনে হিন্দি ভাষীদের সম্বোধন করে একটি সভার আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্র সরকার আর বিজেপিকে একের পর এক তোপ দাগেন। এদিন হিন্দিভাষার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যে আগে দেখা হয় কে মানুষ। হিন্দিতে না কোন ভাষায় কথা বলেন তা দেখা হয় না। ” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ইঙ্গিত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ” আমি হিন্দি পড়তে পারি। আমাকে কি হিন্দি শেখাবে? আমি কান ধরে শিখিয়ে দেবো। উনি গুজরাটি ছাড়া কিছুই জানেন না, টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ দেন।”
এদিন পাঞ্জাবের তথাকথিত কৃষক আন্দোলনকে টেনেও বক্তব্য দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” কাউকে পছন্দ না হলেই জঙ্গী বলে দিচ্ছে। পাঞ্জাবে ওটা কৃষকদের মুভিমেন্ট হচ্ছে। অনুমতি নিয়েই তো মুভমেন্টে গেছে। ২০ লক্ষ লোক উপস্থিত ছিল। তাই একটা দুটো ছোটখাটো ঘটনা ঘটতেই পারে। কেউ মারা গিয়েছে কি, আগুন লাগিয়েছে কি, বাড়িঘর জ্বলেছে কি? এরকম কিছুই হয়নি। ”
তিনি আরও বলেন, ” ওদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হচ্ছে। আমরা ওদের পাশে আছি। রাজস্থানের জাটরা লড়াই করে, আমরা ওদেরও পাশে আছি।” এদিকে তথাকথিত কৃষক আন্দোলনের বাস্তবতা এই যে গণতন্ত্র দিবসের দিন তথাকথিত কৃষক আন্দোলনের নামে লাল কেল্লা দখল করে জাতীয় পতাকা সরিয়ে দিয়ে খালিস্তানী জঙ্গী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের https://www.bangodesh.com/2021/01/who-is-responsible-for-khalistani-flag/ ন্যায় পতাকা ওড়ায় খালিস্তানি জঙ্গীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষক বিক্ষোভের নামে এই দেশদ্রোহী হিংসাত্মক কার্যক্রম https://www.bangodesh.com/2021/01/farmers-protest-pre-planned-and-delhi-police-is-on-action-mood/ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এই আচমকা হিন্দিভাষী প্রেম দেখে নেটিজেনদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিভিন্ন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছেন। সেই সাথে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একটি ভুঁইফোড় সংগঠন ‘বাংলা পক্ষ’ নতুন এক বাঙালি তত্ত্ব নিয়ে মাঠে নেমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে হিন্দিভাষীদের ওপর হামলা করেছে। তারা এমনকি এমনও দাবী তুলেছে যে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে হলে বাংলা ভাষাতেই কথা বলতে হবে, হিন্দি বলা চলবে না। এই বিষয়গুলোর ওপর ভ্রুক্ষেপ না করে হিন্দি ভাষীদের ওপর এরকম আচমকা ভালবাসা দৃশ্যতই ভোটের ময়দানে তৃণমূলের দুশ্চিন্তার চিত্রটি তুলে ধরছে।