রাহুল দ্রাবিড় ও আইপিএল কীভাবে ভারতকে বিদেশের মাটিতে শ্রেষ্ঠ টেস্ট জয় সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে

0
1050

-আনন্দ লক্ষ্মণ

 

এটি খেলাকে নষ্ট করে দিয়েছে। খেলা এখন অনুভূতিশূণ্য, ব্যবসায়িক এবং প্রকৃত ক্রিকেটপ্রেমীদের দুঃস্বপ্ন।”

আমার মত অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর এই মূল্যায়নের সাথে সহমত। তবুও আমি বিদেশে ভারতের টেস্ট বিজয়ের পর মনে করি যে, এই তুচ্ছ ও দুর্বল বস্তু যাকে ক্রিকেটের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটি ব্রিসবেনের জয়ের নেপথ্য কারণও।

আমরা আগে কিছু তথ্য বিবেচনা করে দেখি।

সিরিজের আগে ভারতের দুই মুখ্য খেলোয়াড়ইশান্ত শর্মা ও ভুবনেশ্বর কুমার আহত হয় আইপিএলের জন্য।

একই কারণে তারা প্রথম দুই টেস্টে রোহিত শর্মাকেও হারায়।

তারপর তারা আরও সাতজনকে আইপিএল ব্যতীত নানা চোটের কারণে এবং বিরাট কোহলিকে তাঁর (যথাযোগ্য) পিতৃদায়িত্বের কারণে হারায়।

তবুও ভারতীয় দলের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামার ক্ষমতা অক্ষত ছিল। শুধু খেলার মাঠে নামাই নয় বরং খেলার মাঠে নেমে সবচেয়ে ভয়ংকর বোলিং আক্রমণের মোকাবিলা করে জয়লাভ করে।

ওয়াশিংটন সুন্দর রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে পাওয়ার প্লেতে প্রথম বোলিং করতে নেমে এক ওভারে ৭.৫৩ রান অর্পণ করেন। কল্পনা করুন, আপনাকে হাত পা বেঁধে হাঙরের সামনে ছেড়ে দেওয়া হল। বিশ্বের বৃহত্তম স্লাগফেস্টে একজন স্পিনারকে দিয়ে বোলিং শুরু করানোটা অনেকটা ওইরকম।

এই অভিজ্ঞতা তাঁকে যেকোনও প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে শেখাবে এবং তাঁকে এটি বিশ্বাস করতে শেখাবে যে সে হাসিমুখে সবকিছুর মোকাবিলা করতে সক্ষম।

ঋষভ পন্থকে তাঁর ওজন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে নানা ব্যঙ্গের সম্মুখীন হতে হয়। আন্তর্জাতিক জগতে ঋষভ পন্থর উইকেট রক্ষণের নৈপুণ্যকে তত বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়না। নির্বাচকরা তাঁকে একদিনের আন্তর্জাতিক দল এবং টোয়েন্টিটোয়েন্টি দল থেকে বাদ রাখেন এবং শুধু টেস্ট দলেই তাঁকে সামিল করেন।

পন্থ এই বছরের আইপিএলে ১৪টি ম্যাচে ৩৪৩ রান করেন এবং তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৩.৯৫ যা লীগে তাঁর সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট। কিন্তু সে রিকি পন্টিংয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, যা আইপিএলের পূর্ববর্তী সময়ে অকল্পনীয় ছিল। পন্টিংই তাঁকে অসাবধানী কাজ করতে নিষেধ করেছেন।

শুভমান গিলের ধরণ আলাদা। ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার জন্যই তাঁর জন্ম। তিন বছর বয়স থেকে ক্রিকেট ব্যাট হাতে তোলা, তাঁর বাবার দূরদর্শিতা এবং আত্মত্যাগ খেলোয়াড় জীবনে তাঁকে অনেক সাহায্য করেছে। তিনিই সবচেয়ে তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিশত রান করেন।

তিনি ৫৮টি লিস্ট এ ম্যাচ ও ২৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি লিস্ট এ স্কোয়াডে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেন যখন তাঁর বয়স ২০ এর চেয়ে একটু বেশি।

সর্বদা ধিক্কৃত বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) নিঃসন্দেহে   একটি সঠিক মূল্যায়ন করেছে। ২০১৯ অবধি রাহুল দ্রাবিড়কে ইন্ডিয়া এ এবং অনূর্ধ্ব১৯ এর পরিচালনার দায়িত্বে রাখা অনেকটা ১৯০০ শতকের শুরুতে মেয়েদের সুইস ফিনিশিং বিদ্যালয়ে পাঠানোর সমতুল্য।

রাহুল দ্রাবিড়ের খেলার প্রকৌশল জ্ঞান খুবই ভালো। তাঁকে এমনি এমনি দ্য ওয়ালআক্ষ্যা দেওয়া হয়নি। তবু দলের প্রতি তাঁর অবদান ব্যাটিংয়ে তরুণ ও অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের তালিম দেওয়ার চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি ২০১৭ সালে আইপিএল এর দিল্লি ডেয়ারডেভিল্স দলের পরামর্শদাতার পদ ত্যাগ করেন যখন দেখা যায় যে তাঁর কাজ নীতিসম্মত না হতে পারে। তিনি তরুণদের তালিম দেওয়ার কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।

ক্ষমতা ও খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজের সুবিধা মত কাজ করে বিসিসিআইকে দু মাসের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য করতে পারতেন।

অনেকে বলবেন, খোদ বিসিসিআই এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী কেনই বা ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লীগের হয়ে বিজ্ঞাপন করছেন যেখানে বোর্ড নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য একজনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত।

দ্রাবিড় ১২ মাসে দলের সদস্যদের নিয়ে সাউথ আফ্রিকা,অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড যাত্রা করে যেখানে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম ৬ কোটি টাকা পান, যেখানে আইপিএলে দুমাসে সাড়ে চার কোটি পেতে পারেন। তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর তাঁর নীতির প্রভাব সুস্পষ্ট।

আপনি আইপিএল এ চমকপ্রদ ইনিংস খেলতে পারেন, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দেশ, দৃঢ়তা, সাহস, রীতিনীতি এবং কঠোর অঙ্গীকার।

যা আমাদের চেতেশ্বর পূজারা ও হনুমা বিহারীর কথা ভাবায়।

এদের মধ্যে কাউকেই আইপিএল এর কোনও দলে নেওয়া হয়না।

তাঁরা সাধারণ টেস্ট বিশেষজ্ঞ যারা মুখ্য চুক্তি অনুসারে ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে খেলার জন্য যথাক্রমে ৫ ও ১ কোটি পেয়ে থাকেন।

আইপিএল থেকে বোর্ড অর্থ অর্জন করছে বলেই তাঁদের এই অর্থ বোর্ড দিতে পারে। তারা এই লকডাউনে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত আইপিএল উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করেন যাতে তাঁরা তাঁদের টেস্ট ক্রিকেটে দেওয়া দায়িত্ব নৈপুণ্যের সাথে পালন করতে পারেন।

শুরুর দিকে, পূজারার মধ্যে আইপিএলে ভালো খেলার উৎসাহ ও ইচ্ছে দেখা যেত যেমননিজের ব্যাটিং এর ধরণ পরিবর্তন করা, মিডউইকেটে আক্রমণাত্মক খেলা। কিন্তু পরে তিনি অনুভব করেন, তিনি হয়ত নিজের দক্ষতাকেই বিপন্ন করছেন। যেই ফর্মে খেলে তিনি অভ্যস্ত সেই ফর্মের মূল লক্ষ্য হল পরিকল্পনামাফিক চলা, নিয়ম বজায় রাখা ও শেষ অবধি টিকে থাকা।

পূজারা অস্ট্রেলিয়ান দ্রুতগতির বোলার প্যাট কামিন্সকে সম্মান করেন এবং তাঁকে যারা ব্যঙ্গ করে তাদের উপেক্ষা করেন। নিজে যে বিষয়ে পারদর্শী তা তিনি মনোযোগ সহকারে করেন। তিনি সিরিজে ৯২৮ টি বল খেলেন। অর্থাৎ অষ্ট্রেলিয়ার করা ২২.৬ শতাংশ বলের মোকাবিলা তিনি একাই করেন।

অন্যদিকে বিহারীর জন্য এই সিরিজ আশানুরূপ ছিল না। দ্বিতীয়বার সিডনি ভ্রমণের আগে চারটি ইনিংসে মোটে ৪৯ রান করেন।

গ্রেড২ পর্যায়ের হ্যামস্ট্রিং টিয়ার নিয়ে, তিনি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সাথে ব্যাট করে ১৬১ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বিহারীর ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় সংকল্প তাঁকে আইপিএলের কোনো দলে জায়গা না দিলেও যথাযোগ্য স্থানে তাঁকে মনযোগ দিতে সাহায্য করেছে।

আমি আইপিএল এর উপার্জনের ওপর ২ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে সেই অর্থ টেস্ট বিশেষজ্ঞদের দেওয়ার ভাবনার সমর্থনে রয়েছি। সেইভাবে অনেক ক্রিকেটার প্রকৃত অর্থে পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত থাকবে এবং শুধু আইপিএলে নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকবে না।

মজাদার ব্যাপার হল, এ বছর বিসিসিআই ঘরোয়া রঞ্জি ট্রফি বাতিল করার কথা চিন্তা করছে জৈবসুরক্ষা বলয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে।

পূজারা ও উইকেট রক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা দুজনই কেবল আগের বছর সৌরাষ্ট্র ও বাংলার মধ্যে সংঘটিত রঞ্জি ট্রফির অন্তিম পর্বে খেলেছেন।

জ্বর থাকা সত্ত্বেও, পূজারা ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। এই পদে ব্যাট করতে নামা তাঁর পক্ষে একটু অস্বাভাবিক। তিনি ৬৬ বলে ২৩৭ রান করে প্রথম ইনিংসে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং শেষে ট্রফি জিতে ফেরেন।

সর্বশ্রেষ্ঠ কোনও ক্রিকেটীয় যুদ্ধের গল্পই আক্রমণাত্মক বোলিং এর প্রসঙ্গ ছাড়া অসম্পূর্ণ।

ভারতের ফাস্ট বোলিংয়ের ধনসম্পদ কিছু বছরে উপচে পড়েছে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পুর্নবাসন কর্মসূচিতে আমাদের বিনিয়োগের কারণে।

আমরা মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, যশপ্রীত বুমরাকে হারিয়েছি যাদের প্রথমে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল আইপিএলে চমকপ্রদ ক্রীড়াকৌশল প্রদর্শনের জন্য। তবুও আমরা অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের দিকে ফাস্ট বল নিক্ষেপ করতে পেরেছি। জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন মহম্মদ সিরাজের ছলছল চোখে মৃত বাবার প্রতি সম্মান জ্ঞাপন সকল ভারতীয়ের মন জয় করে নিয়েছে।

সিরাজ আরসিবির নেট বোলার ছিলেন যখন বোলিং কোচ ভারত অরুণ তাঁকে লক্ষ্য করেন এবং যথাসম্ভব সাহায্য করেন।

তিনি ৪৬ টি লিস্ট এ ম্যাচ এবং ৪১ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেন। ভারতীয় দলে প্রতিষ্ঠা লাভ করার আগেই আইপিএল এর উপার্জন থেকে সে তাঁর বাবামাকে হজে পাঠাতে এবং তাঁদের নিজস্ব বাড়িও তৈরি করে দিতে সক্ষম হন।

সিরাজের মতই নবদীপ সাইনি, টি নটরাজন মফস্বল শহরের ধূলিমলিন মাটিতে টেনিস বল ক্রিকেটে প্রথম অভিজ্ঞতা লাভ করে। এই সমস্ত শহরেই বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রিমিয়ার লীগের উদ্ভব হয় যা আইপিএলের মলিন অনুরূপমাত্র। তবে এই উর্বর মফস্বল জন্ম দিয়েছে অসংখ্য বোলারদের যারা টো-ক্রাশার্স বা ইয়র্কার ডেলিভারিতে পটু।

তারা ২০ বছর বয়সের আগে অবধি কোনও দিন লাল ক্রিকেট বল হাতে তোলেনি, সেখানে স্টিভ স্মিথের সাথে খেলার কথা ভাবার কোনো প্রশ্নই আসে না।

শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটিং দক্ষতার কথা বিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল যেখানে সে এক ওভারে ৬ টি ৬ মারার জন্য পরিচিত লাভ করে। তাঁর সর্বোচ্চ ফার্স্ট ক্লাস স্কোর ছিল ৮৭।

২১৩টি ফার্স্ট ক্লাস উইকেট নিয়ে, তাঁর বোলিং রঞ্জি ট্রফিতে সাড়া ফেলেছিল। ২০১৫২০১৬ সালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৮টি উইকেট নিয়ে সে সবার নজর কাড়ে।

এরা সমবেতভাবে এক নতুন ভারতকে চিত্রিত করে যা আইপিএল যুগে গড়ে উঠেছে। এরা নেপথ্যে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে, কাউকে ভয় করতে শেখেনি এবং ভালো জিনিসকে আত্মস্থ করতে শিখেছে।

পুরো সিরিজে এই নির্ভীকতা সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ভারতীয় স্পিনার যুগল অশ্বিন ও জাদেজা নিজেদের ভূমিকা পালন করেছে, লেগ সাইড ফাঁদ সহ টাইট লাইন বোলিং এবং বুক চিতিয়ে ব্যাটিং করেছে।

ইউএইতে ভারতীয় দল জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তাদের আবার একটি বলয়ে এবং কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

নটরাজন নিজের সদ্যজাতকে চোখে দেখেনি পর্যন্ত।

সিরাজ তাঁর বাবাকে শেষবারের মত দেখতে পায়নি।

কেবল উমেশ যাদব চোটের কারণে সঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছে তাঁর প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানাতে পারে।

কোভিড বিধির কারণে তারা পুলে ট্রেনিং করতে পারেনি। ব্রিসবেনে তাদের বিছানা করতে হয়েছে এবং টয়লেট নিজেদেরকে পরিষ্কার করতে হয়েছে। এইসব জিনিসে উচ্চপদে কর্মরত ক্রিকেটারদের কিছু যায় আসে না। যদি শুধু ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের ভরসায় থাকত, তাহলে এদের সবাইকে এখন কায়িক শ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হত।

ভারতীয় ক্রিকেট ও ভারতীয় খেলোয়াড়দের আইপিএল থেকে অর্জিত আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও অর্থনৈতিক বুনিয়াদ ব্রিসবেনে তাদের জয় সুনিশ্চিত করে। এটি ২০১৬২০১৯ সালে হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের তত্ত্বাবধানে আরও উন্নত হয়।

সাহস, দৃঢ়তা, সংকল্প, নির্ভীকতা হল উত্তম বিশেষণ কিন্তু এগুলো ভাগ্যক্রমে আসে না, আসে পরিকল্পনার পর। আইপিএল ও দ্রাবিড় নিজেদের যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে।

লেখক ডাক্তার ও উদ্যোগপতি। মূল লেখাটি স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত। অনুবাদ করেছেন পিয়ালি।