মালদার জনসভায় ইসলামিক বাংলাদেশের শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

0
659

বঙ্গদেশ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসিভা নির্বাচনে বাঙালি-অবাঙালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে দাঁড়াতে চাইছে তৃণমূল। বাংলা ও বাঙালির দল হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণ করার জন্য সর্বরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ভারতীয় যারা পশ্চিমবঙ্গকে ভালবেসে এই রাজ্যেই স্থায়ী হয়েছেন এবং নিজেদেরকে বাংলার মানুষ হিসেবে ভাবতে তারা ভালবাসেন। কিন্তু সেদিকে মোটেও ভ্রুক্ষেপ নেই তৃণমূলের। বাঙালি অবাঙালি বিভাজনের রেখা টেনে ভোট টানার চেষ্টায় মরিয়া তৃণমূল। 

তারই ছাপ দেখা গিয়েছে মালদাতে। বিজেপিকে বিভিন্ন সময়ে বহিরাগত বলে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। বাঙালি অবাঙালি রেশ টানা ছাড়াও এই স্ট্র‍্যাটেজিকে সেট করার জন্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ইসলামিক বাংলাদেশের ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান ব্যবহার করেছে তৃণমূল। সেই একই চিত্র দেখা গেলো মালদাতেও। মালদায় আয়োজিত তৃণমূলের একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলার জন্য মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কোন কোন জায়গায় ‘জয় বাংলা’ বলা উচিত তা নিয়েও বললেন তিনি। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে ‘জয় বাংলা’ বলার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, “কেউ ফোন করলে ফোনে জয় বাংলা বলুন। হ্যালো বলবেন না। ঘুম থেকে সকালে উঠে জয় বাংলা বলবেন।” এর আগে নেতাজী জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারত মাতার শ্লোগানের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী ইসলামিক বাংলাদেশের শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। এতে তৈরী হয়েছিল বিতর্কের। তবে তাতে মোটেও ভ্রুক্ষেপ নেই তৃণমূলের। সেই একই বাঙালি অবাঙালি বিভেদের রেখা টেনে বাংলাদেশের শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ কে তুলে ধরে যাচ্ছে তৃণমূল। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য “জয় বাংলা” মূলত ইসলামিক বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামিলীগ এর দলীয় শ্লোগান যা ইসলামিক বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম তুলেছিলেন। সেই থেকে এই শ্লোগান আওয়ামিলীগের দলীয় শ্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং সেই সাথে তা ইসলামিক বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইসলামিক বাংলাদেশের শ্লোগান জয় বাংলা ব্যবহার করা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইসলামিক বাংলাদেশ।

কিন্তু তারপরেও তৃণমূল ইসলামিক বাংলাদেশের শ্লোগান ব্যবহার করে যাচ্ছে। এমতাবস্থা চলতে থাকলে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটের ওপর বেশ বড় প্রভাব আসতে চলেছে যার পরিণতি তৃণমূলের পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না।