ইতিহাস গড়ার পথে বাঙ্গালা! মায়াপুরে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির

0
610

বঙ্গদেশ ডেস্ক:পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) খুব তাড়াতাড়ি ভক্তদের জন্য উন্মোচিত করে দেওয়া হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দিরের। সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সৌধ হিসেবে পরিচয় পেতে চলেছে মায়াপুরের (Mayapur) বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম (Vedic Planetarium)। ভ্যাটিকানের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল এবং আগ্রার তাজমহল অপেক্ষা আয়তনে বড় হবে এই মন্দির। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৪-র মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে এই মন্দির স্থাপনের কাজ। ২০২২ সালের মধ্যে এই মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনা মহামারী। তাই বছর দুয়েক সময় আরও বাড়ানো হয়েছে।নদিয়ার মায়াপুরের ‘টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম’ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ হতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত, কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরই ছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ।

প্রকৃতপক্ষে, বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম মন্দির তৈরি ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদের স্বপ্ন ছিল। এই মন্দিরটি ইউএস ক্যাপিটল ভবনের নকশা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি। ১৯৭৬-এর জুলাইয়ে শ্রীল প্রভুপাদ মন্দিরের বাইরের কাঠামোর জন্য এটিকেই বেছে নিয়ৈছিলেন। তিনি যখন ওয়াশিংটনে ছিলেন তখন তিনি বিশাখা মাতাজি এবং যদুবরা প্রভুকে এই ভবনের ছবিও তুলতে বলেন। ইস্কন মন্দির হতে চলেছে এর হেড কোয়াটার।

এই সর্ববৃহৎ প্রকল্পের প্রধান হলেন আলফ্রেড ফোর্ড। ইস্কনে যোগদানের পর ১৯৭৫ সালে তিনি নাম পরিবর্তন করে অম্বরীশ দাস নাম রেখেছেন। ইস্কনকে হেড কোয়ার্টার করার জন্য তিনি পরিকাঠামো নির্মাণে ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদান করেছেন।এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ২০১০ সালে। এই মন্দির নির্মাণে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে বলে জানা যায়। জানা যায়, এর প্রতিটি তলায়, ১০ হাজার ভক্ত বসতে পারবেন। একইসঙ্গে প্রার্থনা, গান এবং নাচ করতে পারবেন।

এই মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্য বৈদিক সংস্কৃতি সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা এবং সচেতন করা। আচার্য প্রভুপাদ এই মন্দির তৈরির কল্পনা করেছিলেন যা বৈদিক জ্ঞানের প্রচারে‌ সাহায্য করবে৷এই মন্দিরে দেখা যাবে বিভিন্ন রকম মহাজাগতিক প্রদর্শনী এবং ভার্চুয়াল ভাবে শ্রীকৃষ্ণের দর্শনও করা যাবে। বর্তমানে, প্রতি বছর গড়ে ৭০ লক্ষ পর্যটক আসায় মায়াপুর হেরিটেজ সিটির তকমাও পেয়েছে।