মানুষের মাংসপ্রেম অতি-সাম্প্রতিক, জিনগত প্রজনন-তত্ব ও দৈহিক গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী

0
868

পরীক্ষিত সত্য: মানবকুলের পূর্বপুরুষদের দাঁত, হাড়গোড়, ডিএনএ ও বিষ্ঠাংশ পরীক্ষা করলে জানা যায় যে তারা গাছ-পাতার ওপর  অপরিহার্যভাবে নির্ভরশীল ছিল।

ভাববার প্রশ্ন: তাহলে কি গুটিকয় স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়িক অংশের জন্য আমাদের সবাইকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে?

নৃতত্ত্ববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং অন্যান্য সমস্ত বিজ্ঞানের অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রাগৈতিহাসিক মানুষকে আসলে মূলধারার জনশিক্ষার দ্বারা চিত্রিত করা হয় যে তারা শিকারী এবং মাংসাশী প্রাণী ছিলেন। মানুষ যে মাংসাশী, এটা একটা মিথ্যে জনচেতনা যেটা কিছু স্বার্থ এখনো প্রসারিত করে যাচ্ছে।

প্রশ্নটি জাগতেই পারে, এই ধারণাটি কোথা থেকে এসেছে? অবশ্যই, একটি গরিলাতে পাওয়া  কেনাইন দাঁত ও ধারালো পাথরের সরঞ্জাম (যদিও গোরিলারা নিরামিষাশী ভেগান) , সম্ভবত বহু বছর ধরে ধরে নেওয়া অনুমানের কারণ হতে পারে এটা। তবে তাদের মতে উত্তরটি বেশ স্পষ্ট: বিগ-ফুড বা বৃহৎ খাবার বিপণনসংস্থাগুলি । বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলির মতো বড় খাদ্য সংস্থাগুলিরও প্রচুর পরিমাণে অর্থবল ও রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে, বিশেষত আমেরিকার ফেডারেল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির উপর। ফলস্বরূপ, বর্তমান প্রস্তাবিত খাদ্য গাইডগুলি স্বাস্থ্যকর এবং বিজ্ঞানসম্মত এবং চিরন্তনভাবে ইতিহাসের দ্বারা সমর্থনপ্রাপ্ত, এই চিন্তাভাবনার ভেল্কিতে আক্ষরিক অর্থে আমাদের মগজ-ধোলাই করা হচ্ছে। আমাদের ভুল পথে চালনা করা হলেও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে জীবাশ্মিক অবশেষগুলি থেকে যে তথ্য উঠে আসছে , তাতে দীর্ঘকাল ধরে মানবচেতনায় আবদ্ধ এই অনুমানগুলি ভাঙতে বাধ্য।

প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলির জন্য আমরা জানতে পেরেছি যে প্রাচীন মানুষের বিভিন্ন স্থানে উদ্ভিদ জাতীয় খাবারের ছোট মাইক্রোস্কোপিক জীবাশ্ম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা একটি নিরামিষাশী খাদ্যাভাস নির্দেশ করে। তদুপরি, দাঁত, হাড়, ডিএনএ এবং প্রাচীন মানব মলের অবশেষের বিশ্লেষণগুলি যথেষ্ট প্রমাণ দেয় যে এই সমস্ত লোক বেশিরভাগ গাছপালা খেয়েই বহাল ছিলেন।

এই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাঃ ক্রিস্টিনা ওয়ারিনার, যিনি তাঁর পিএইচডি অর্জন করেন ২০১০ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় (২০১০-২০১২) এবং ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০১২-২০১৪) থেকে তিনি তার পোস্টডক্টোরাল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত করেন।  বর্তমানে তিনি মানব ইতিহাসের বিজ্ঞান ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটে মাইক্রোবায়োম সায়েন্সেসের শীর্ষে।

তাঁর কাজে কিছু আকর্ষণীয় অনুসন্ধান এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে:

“মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য কোনও বিশেষ জিনগত গঠনতাত্ত্বিক বা শারীরবৃত্তীয় অভিযোজন নেই। উল্টো দিকে, গাছের ব্যবহারের জন্য আমাদের অনেকগুলি অভিযোজন রয়েছে ”” (গেম চেঞ্জার্স ডকুমেন্টারি)

তিনি মেডিসিনে নিউট্রিশন সম্পর্কিত ২০১৬ সালের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার উপস্থাপনাটি নিয়ে এই ব্যাপারে আরো গভীরে গিয়েছিলেন। এছাড়াও বেশ কয়েক বছর আগে টেডএক্স আলোচনায় তিনি তিনি প্রাচীন অন্ত্রের মাইক্রো-বায়োমস এবং আরও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে গবেষণা বিশ্লেষণে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছিলেন।

তিনি বলছেন যে আমাদের পাচনতন্ত্রগুলি উদ্ভিদ এবং তন্তুগুলি হজম করার জন্য পরিষ্কারভাবে নির্মিত। মাংস হজম করতে যত প্রক্রিয়াজাতকরণের তন্ত্র লাগে, তার থেকে অনেক বেশি দীর্ঘ যা উদ্ভিদ হজম করতে সাহায্য করে। পশুর মাংস খাওয়ার জন্য আমাদের হজম পদ্ধতির মধ্যে কোনও অভিযোজন নেই।  শুধু মানুষের শারীরবৃত্তির অধ্যয়ন থেকেই এটা পরিষ্কার যে আমরা বংশানুক্রমিক ভাবে উদ্ভিদ খাওয়ার জন্য নির্মিত। (উৎস)

মানুষ নিজেদের শরীরে ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড তৈরী করতে পারে না, এই অভিযোজন আমাদের মধ্যে হয় নি তার কারণ মানুষ চিরকালই তার ভিটামিন সি উদ্ভিদজাত খাবার থেকে পেয়ে এসেছে। মানবজাতির এসএনটিয়াল অ্যামিনো এসিডের স্রোত সেই উদ্ভিত থেকেই।  মাংসের মধ্যে থেকে যারা এসএনটিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড আহরণ করেন, তারা আসলে ঘুরপথে সেই উদ্ভিতীয় অ্যামিনো অ্যাসিড-ই খাচ্ছেন। আবার ভিটামিন বি-১২ এর ও একই কাহন। এটা মাংসতেই পাওয়া গেলেও তা আসলে খাদ্যপশুর মধ্যে আসে  ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে। এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া আগে খালে, বিলে পাওয়া গেলেও এই যুগে দূষণ ও সংক্রমণের ভয়ে আমরা জল ক্লোরিন দ্বারা পরিশোধিত করাতে সেই ব্যাকটেরিয়া থেকে বি-১২ সরাসরি গ্রহণ করতে পারি না। প্রকৃতিতে মুক্ত পশুরা সেটা অনায়াসে পারে। নয়তো খাঁচাবন্দি গৃহপালনেও পশুদের ভিটামিন বি-১২ এর ট্যাবলেট সাপ্লিমেন্ট দিতে হয় বৈকি!

বেশিরভাগ প্রাচীন মানুষ এবং মানুষের মতো প্রাণীরা মূলত নিরামিষাশী ছিল। তাদের কয়েকজন মাংস খেতেন, কিন্তু অনেকে তা চেখেও দ্যাখে নি। উদাহরণস্বরূপ, স্পেনের নিয়ান্ডারথালরা কোনও মাংসই খেতেন না, নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে।

যদিও কয়েকটা প্রাক-মানব প্রজাতি মাংস খেয়ে থাকতেন, তবে এমন কোনও প্রজাতি ছিল না  মাংস যার প্রধান পুষ্টিসাধন । একদল গবেষক আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিকাল অ্যানথ্রপোলজিতে একটি গবেষণা প্রকাশ করে বলছেন :

“আমদের গবেষণা থেকে প্রকাশ পাচ্ছে যে প্রাণীজ প্রোটিনগুলি সামগ্রিকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এটি নিওলিথিক কৃষকদের জন্য বিশেষত প্রযোজ্য। এর অর্থ হ’ল তারা হ’ল মিশ্র অস্তিত্বের কৌশল হিসাবে তাদের খাদ্যতালিকায় প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রোটিনের ভারসাম্য রেখে চলতেন। তবে পাল্লা অনেকটাই ভারী উদ্ভিত প্রোটিনের দিকে ” (উৎস)

বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে রব ডান-এর লেখা  হিউম্যান পূর্বপুরুষরা প্রায় সকল নিরামিষাশী ছিলেন শিরোনামের একটি নিবন্ধে বিবর্তনবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টির আরও বিশদ বিবরণে তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

উটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়নবিদ থুর সেরলিং, যিনি সাম্প্রতিক নতুন গবেষণার একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়েছেন যা দেখায় যে আদি মানুষরা প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন বছর আগে আশ্চর্যজনকভাবে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে ফেলেছিলেন, ফলমূল পাতা-গুল্ম-ভিত্তিক খাবার ছেড়ে ঝুকে পড়েছিলেন ঘাস এবং হোগলা জাতীয় জলতৃনভিত্তিক খাবারের প্রতি। তিনি নিজের লেখাতে একটি দুর্দান্ত সময়রেখা এবং ওভারভিউ দিয়েছেন।

শুধু মাংস কেন? উদাহরণস্বরূপ দুধও নেয়া যেতে পারে। আমাদের গ্রহের বেশিরভাগ মানুষ একটা  কারণে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু। বিশ্বের কিছু অংশে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা জনসংখ্যার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। (উৎস) মানুষ একমাত্র প্রজাতি যারা দুধ পান করার বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও দুধ পান করে এবং অন্য প্রাণীর দুধ পান করে। আমদের কি বড় খাবার বিপণনে বোকা বানানো হয়েছিল ? নয়তো ইদানিং কেন বিশ্বব্যাপী খাদ্য নির্দেশিকাগুলো আরও বেশি উদ্ভিদ-ভিত্তিক হয়ে উঠছে ? এটার সম্ভাব্য কারণ  প্রগতির কারণে জনমানসে পরিবর্তন হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়া এবং ফ্রান্সের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে মাংসের প্রোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি খুব তীব্রভাবে বাড়িয়ে তোলে কিন্তু বাদাম এবং বীজ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন মানুষের হৃদয়ের পক্ষে উপকারী। ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এবং ফ্রান্সের এগ্রো-প্যারিস-টেক এবং ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ডি লা রিচার্চে অ্যাগ্রোনমিক এই গবেষণাতে অংশগ্রহণ করেন। এটি আন্তর্জাতিক মহামারী-সংক্রান্ত বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষকরা দেখাতে পেরেছেন যে লোকেরা প্রচুর পরিমাণে মাংসের প্রোটিন খায়, যা অনেক লোকের দৈনিক রোজনামচার অংশ, তারা মানুষের জনসংখ্যার এমন একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন যাদের  হৃদরোগের (সিভিডি) সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। উল্টোদিকে যারা প্রচুর পরিমাণে বাদাম এবং বীজ থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন, তাদের সিভিডি হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ হ্রাস পায় । এই গবেষণার জন্য ৮১,০০০ অংশগ্রহণকারী বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। লেখকরা জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে তারা এবং তাদের সহকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই সন্দেহ পালন করেছেন যে বাদাম এবং বীজ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন হৃদয় এবং ভাস্কুলার রোগ থেকে রক্ষা করে আর মাংস থেকে, বিশেষত লাল মাংস থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন লোকের জীবনের ঝুঁকি বাড়ায়। তারা সঠিক প্রমাণিত হলেন।

প্রোটিনের স্বল্পসংস্থান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক স্বীকৃত সত্য, এর অতিসংস্থানও কিন্তু ঝুঁকির সাথে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, গড় সর্বজনগ্রাহী সর্বোত্তম পরিমাণে তাদের দৈনিক চাহিদার .  গুন বেশি প্রোটিন গ্রহণ করেন এবং এই প্রোটিনের বেশিরভাগই প্রাণীজাত উত্স থেকে আসে। এটি খারাপ খবর কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন প্রায়শই স্নেহ হিসাবে শরীরে সঞ্চিত হয়ে থাকে। এই সঞ্চিত প্রাণিজাত প্রোটিন আমাদের ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রোগপ্রদাহ এবং ক্যান্সারে ভয়ঙ্কর অবদান রাখে।গার্থ ডেভিস প্রাণিজাত প্রোটিন নিয়ে লিখছেন যে এর সাথে ক্যান্সারের সংযোগ কোনোমতেই কাকতালীয় নয় বরঞ্চ মানবদেহের ভুল খাদ্যাভ্যাসের প্রতিফলন। কিন্তু মজার ব্যাপার এটি কেবল প্রাণীজ প্রোটিন থেকেই হয়ে থাকে, উদ্ভিদজাত প্রোটিন থেকে নয়।

সেল মেটাবলিসম-এ প্রকাশিত একটি ২০১৫ সমীক্ষা উল্লেখ করে:

ইঁদুর এবং মানুষে গ্রোথ হরমোন রিসেপ্টর / আইজিএফ -১ (GHR -IGF -1) এর অভাব বয়স-সম্পর্কিত রোগগুলি সম্ভাবনা হ্রাস করে। প্রোটিনের স্বল্পসংস্থান GHR-IGF -1 কার্যকলাপ হ্রাস করে আর রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে, কিন্তু উদ্ভিদজাত প্রোটিনে GHR-IGF-1  এ কোনো হেরফের হয় না। ৬,৩৮১ টি ৫০-৬৫ বছর বয়সের উচ্চ প্রোটিন গ্রহণের প্রতিবেদনকারী  উত্তরদাতাদের ) মধ্যে সামগ্রিক মৃত্যুর হারে ৭৫% বৃদ্ধি এবং ১৮ বছরের ফলোআপ পিরিয়ডের মধ্যে ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস মৃত্যুর হারে 4 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রোটিনগুলির উৎস উদ্ভিদ-ভিত্তিক হলে এই সমিতিগুলি বিলুপ্ত বা ক্ষুন্ন হয়।

হার্টের সমস্যাগুলির জন্য আরও একটি বড় কারণ হ’ল রক্তের কোলেস্টেরল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা মূলত মাংস, হাঁস-মুরগি এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রাণীর পণ্যগুলিতে পাওয়া যায়, আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নাটকীয়ভাবে প্রভাবিত করে। তবুও যখন লোক উদ্ভিদ-ভিত্তিক আহার-অভ্যেসে পরিবর্তন করে, তাদের রক্তের কোলেস্টেরল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, যেমনটি বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে।

গবেষণা ও অধ্যয়নগুলি আরো নিশ্চিত করে যে উদ্ভিদের খাবারগুলি একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম গঠনে সহায়তা করে। এটি কেবলমাত্র আরও একটি কারণ (অনেকের মধ্যে) কেন বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য পেশাদাররা উদ্ভিদ-ভিত্তিক ডায়েটের বড় সমর্থক হয়ে উঠছেন। উদ্ভিদের খাবারগুলিতে পাওয়া ফাইবার আমাদের অন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ভাল ব্যাকটিরিয়া উন্নীত করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে দুগ্ধ, ডিম এবং মাংস রোগজনিত ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

এটা সব বিশেষজ্ঞই মেনে নিচ্ছেন যে ভবিষ্যতের আহার-অভ্যেস উদ্ভিদীয় খাবারের সাথে নিপুণভাবে জড়িয়ে…