পায়ে হেঁটে বাঙ্গলা থেকে লাদাখ, সিঙ্গুর নিবাসী মিলনের কীর্তি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

বঙ্গদেশ ডেস্ক:হুগলির সিঙ্গুর নিবাসী এক যুবক প্রথম চেষ্টাতেই পায়ে হেঁটে লাদাখ পৌঁছে গিয়েছেন। ৮৩ দিনে এই অসাধ্যসাধন করেছেন তিনি। সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়া গ্ৰামের বাসিন্দা মিলন। হাওড়া ব্রিজ থেকে পায়ে হেঁটে লাদাখের পথে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে খারদুংলা পাস পৌঁছান তিনি। সময় নিয়েছেন ৮৩ দিন। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ৩৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই খারদুংলা পাসটি পৃথিবীর উচ্চতম মোটরগাড়ি চলাচল যোগ্য পাস বলেই পরিচিত। তাই মিলনের এই কীর্তি নজির গড়েছে। কারণ পায়ে হেঁটে লাদাখ পৌঁছনোর এমন নজির তেমন নেই।

মিলন জানান, মোটর সাইকেল কেনার সামর্থ্য নেই পরিবারের। তাই আবদার করলেও, বাবা তা মেটাতে পারেননি। অতঃপর চাকরির নামে সিঙ্গুর থেকে সোজা হাওড়া। তার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজের সামনে থেকে লাদাখের উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন তিনি। একদিন পর ফেসবুকে পোষ্ট করে পায়ে হেঁটে লাদাখ যাওয়ার কথা সকলকে জানান তিনি। অবশেষে দুর্গম রাস্তা পেরিয়ে, ৮৩দিনের মাথায়, ১৫ মে লাদাখের খারদুংলা পাস যখন তিনি পৌঁছেছেন, তখন ঘড়িতে সময় দুপুর ২টো বেজে ৫ মিনিট। লক্ষ‍্যে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বিজয় ধ্বজা হিসেবে পাহাড়ে চড়ে জাতীয় পতাকা পুঁতে দিয়েছেন।

মিলনের বাবা অনিল মাঝি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়েই বলেন, ছেলে মেকানিক‍্যাল ইঞ্জিনিয়ারের ডিপ্লোমা করেছিল। তার পর রানিগঞ্জে কাজ করলেও লকডাউনে কাজ চলে যায়। চাকরি করতে যাচ্ছি বলে ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় পরে সোশ‍্যাল মিডিয়া থেকে জানা যায় লাদাখ যাচ্ছে।মিলনের মা চণ্ডী মাঝি বলেছেন, ‘‘কাজে যাচ্ছি বলে ৬ হাজার টাকা চাইলেও মাত্র ১ হাজার টাকা ওকে দিয়েছিলাম এবং সঙ্গে কিছু খাবার দিয়েছিলাম। আর কিছুই ওর জন‍্য করতে পারিনি। লাদাখ যাওয়ার খবরটা শুনে মিলনের বাবা দু’দিন খায়নি। এখন ছেলে যে স্বপ্ন পূরণ করেছে, তাতে তিনি গর্বিত।