মহাকাশচারীদের জন্য বাথরুম ডিজাইন করতে চান? নাসা আপনাকেই খুঁজছে

0
485

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মহাকাশে কিংবা পৃথিবীতে থাকুন মানুষ মাত্রেই বাথরুম যেতে হবেই। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে তো আর অস্বীকার করা যায় না।
তাই নাসা মহাকাশযানের শৌচাগার বানানোর নকশা কেমন হতে পারে তা জনগনের কাছে জানতে চায়। হতেও তো পারে আপনার ভাবনা বিজ্ঞানীদের ভাবনার থেকে দু-কদম আগে।

নাসা ২০২৪ সালে চাঁদে প্রথম মহিলা মহাকাশচারী পাঠাতে চায় আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে। সেজন্য মোটামুটিভাবে তিনটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ল্যান্ডারের নকশা বানানোর জন্য। কোম্পানিগুলি হলো যথাক্রমে স্পেসএক্স, ব্লু ওরিজিন, ডায়নেটিক্স। কিন্তু ল্যান্ডার যেই বানাক বাথরুম বানানোর কাজটা নাসার হাতেই থাকবে। তাই জনগনের মত শোনার জন্য নাসা ‘লুনার লু চ্যালেঞ্জ এনেছে’। এই প্রকল্পের অধীনে বিজেতাকে দেওয়া হবে নগদ ৩৫ হাজার ডলার।সাথে টেক্সাসে জনসন স্পেস সেন্টারে ঘুরতে যাবার সুযোগ।

যেহেতু চাঁদে মধ্যাকর্ষনশক্তি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তির ১/৬ অংশ তাই মলত্যাগ করা যথেষ্ঠ সমস্যার। আর একটু ভুল চুক হলেই সমস্যা আরো বাড়ে। অ্যাপোলো মিশনে নাসা রাবার দেওয়া মূত্র সংগ্রহ করার থলে বানিয়েছিলো।তা কাজে লাগানোই যায় কিন্তু নাসা চাইছে একটু বেশি সুবিধে দিতে। পৃথিবীতে যখন শৌচাগার ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে তখন মহাকাশচারীদের অযথা কষ্ট দিতে চায় না নাসা।

মোটামুটিভাবে নাসা চায় প্রতিবার মূত্র ত্যাগ করলে শৌচাগার যেন ১ লিটার মূত্র ধরে রাখতে পারে ও ৫০০ গ্রাম মল ধরে রাখতে পারে। এবং সর্বোপরি পদ্ধতিগত ত্রুটি হলেও যেন মলমূত্র চারিদিকে ছড়িয়ে না পড়ে।

নাসার আধিকারিকদের কথায় “চাঁদে গিয়ে মূত্রত্যাগ করা আমাদের লক্ষ্য নয়,কিন্তু মহাকাশচারীরা যেন বাড়িতে থাকার মতো কিছুটা সুযোগ সুবিধে পায় তা নিশ্চিত করতে চায় নাসা।”

তাহলে আর দেরী কেন? অংক কষে লেগে পড়ুন শৌচাগার এর ডিজাইন তৈরিতে।