প্রায়শ্চিত্ত ছাড়া গতি নেই

0
2895

-শ্রী সুমন দেবরায়

 

কলকাতা  লন্ডন হওয়ার পথে কতদূর অগ্রসর হল কেউ বলতে পারবেন? অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যেতে পারে বোধহয় । যেমন ধরুন জীবনদর্শনের বা বিচারধারার প্রেক্ষিতে। আরে না না, জীবনদর্শন মানেই কি ঋষি বিশ্বামিত্র বা যাজ্ঞবল্ক্যের চিন্তাধারা? একদম নয়। উচ্চমার্গের চিন্তাধারা থেকে মাটির উপরে এসে দাড়াই চলুন। বিশেষ করে আমরা  অর্থাৎ মানুষেরা সবাই যখন বর্তমানে মাটিতেই নিয়েছি আশ্রয় ,সম্বল শুধুমাত্র মায়ের আঁচল। মাটিতে নেমে এলে আমরা দেখব একজন প্রোথিতযশা রাজনৈতিক ব্যক্তি কলকাতা মহানগরীর মধ্যে ‘মিনি পাকিস্তান’ খুঁজে পাচ্ছেন। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন না। একটি নির্দিষ্ট জীবনদর্শনের প্রতিফলন ঘটছে কিন্ত এই ‘মিনি পাকিস্তান’ আবিস্কারের মধ্যে। এই আবিস্কার কখনোই অপু-দুর্গার দেশ আবিষ্কার নয়। একটি বিশেষ  জীবনচর্চার ফল এই ‘মিনি পাকিস্তান’। কি অদ্ভুত দেখুন, এনার লন্ডনের এক ভাইজান যিনি  আবার লন্ডনের শহরের দায়িত্বপ্রাপ্তও ছিলেন ,তিনি একই জীবনদর্শনের শরিক হিসেবে ইংল্যান্ডের ভেতরেই ‘মিনি পাকিস্তান ‘ জাতীয় সত্ত্বার সমর্থনে আইনি ভূমিকা পালন করেছেন। তাহলে কি এটা বললে ভুল বলা হবে যে একটি বিশেষ ভাবধারা যা একসময় পাকিস্তানের জন্ম দিয়েছিল তাই কলকাতা আর লন্ডনের যোগসূত্র হচ্ছে বা কলকাতাকে লন্ডন হওয়ার দিকে অনেকাংশেই এগিয়ে নিয়ে চলেছে। যেভাবেই হোক, কলকাতাকে লন্ডন হতে হবে তো।

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন ,

দাও দাও মোদের গৌরব দাও…..

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী গুরুদেবের সেই প্রার্থনাকে স্মরণ করেছেন। স্মরণ করে প্রার্থনা করেছেন এক গৌরবময় ভবিষ্যতের। কবিগুরু বলেননি যে বিশ্বভারতীকে অক্সফোর্ড বানাতে হবে, প্রধানমন্ত্রীও বলছেন না যে ভারতকে আমেরিকার মতই হতে হবে। সমগ্র বিশ্ব আর ভারতের মেলবন্ধন ঘটবে এই শিক্ষাঙ্গনে, তাই কবি নাম দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাঁচার চেষ্টা নয়, আবার তাৎক্ষণিক আবেদনপূর্ণ লক্ষ্য স্থির করেও  সহজ পথ খুঁজে এগিয়ে চলার চেষ্টাও নয়। গুরুদেব বলেছেন:

আমাদের দেশবাসীর ‘ভূমৈব সুখং’ এই ঋষিবাক্য ভুলে গেছে। ভূমৈব সুখং- তাই জ্ঞানতপস্বী মানব দু:সহ ক্লেশ স্বীকার করেও উত্তর-মেরুর দিকে অভিযানে বার হচ্ছে , আফ্রিকার অভ্যন্তরপ্রদেশে দুর্গম পথে যাত্রা করছে, প্রাণ হাতে করে সত্যের সন্ধানে ধাবিত হচ্ছে । তাই কর্ম জ্ঞান ও ভাবের সাধনপথের পথিকেরা দুঃখের পথ অতিবাহন করতে নিস্ক্রান্ত হয়েছে; তারা জেনেছেন যে, ভূমৈব সুখং – দুঃখের পথেই মানুষের সুখ। আজ আমরা সে কথা ভুলেছি, তাই অত্যন্ত ক্ষুদ্র লক্ষ্য ও অকিঞ্চিৎকর জীবনযাত্রার মধ্যে আত্মাকে প্রচ্ছন্ন করে দিয়ে দেশের প্রায় সকল লোকেরই কাল কাটছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীও গৌরব অর্জন করবার জন্য কোনো তথাকথিত আকর্ষণীয় পথের সন্ধান প্রদান করেন নি। কবিগুরুর পরিবেশবান্ধব চিন্তাধারার সাথে সাযুজ্য বোঝাতে তিনি  আন্তর্জাতিক পরিবেশ রক্ষার প্রেক্ষাপটে ভারতের আন্তরিকভাবে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের এই সুপ্রাচীন সভ্যতা প্রকৃতিকে আরাধনা করতে শেখায়। তাই তো নিতান্ত প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলেও পুজার্চনা করা হয় কারণ প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন জীবনচর্চার অঙ্গ। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার নিপুণ মিশেলে, শ্রদ্ধানুভূতি আর প্রযুক্তির সঠিক বন্ধনে, কোনো সস্তা স্লোগাননির্ভর না হয়ে, ভারতবর্ষ  পরিবেশ সহায়ক পথের সন্ধান দিতে পারে বিশ্বকে । কিন্ত সে পথ তো সহজসাধ্য নয়। প্রয়োজন সুচিন্তিত, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং তার দ্রুত এবং নিখুঁত রূপায়ণ। সৌরশক্তির প্রয়োগ যদি ব্যাপক এবং গভীরভাবে করা যায়, তা পরিবেশ-বান্ধব এক ভারত তথা পৃথিবী গড়ে তোলার কাজে এতটাই অগ্রসর হবে যা চিন্তার অতীত। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই সেই পথে পরিকল্পিত উপায়ে এগিয়ে চলেছে। কিন্ত শুধু কেন্দ্রীয় সরকার কি এই বিপুল রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম যদি না ইতিবাচক রূপান্তরের ভাবনা রাজ্য স্তরেও অনুরণিত না হয় ? পরিবেশ সংক্রান্ত ভাবনা চিন্তা এবং সে অনুযায়ী কাজ তখনই পূর্ণাঙ্গ সাফল্যের দিকে যখন তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বা আমলাতন্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জন-আন্দোলনের রূপ নিতে সক্ষম হয়। সেটা একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কষ্টসাধ্য পদ্ধতি। সস্তার স্লোগানে বা প্রতিশ্রুতিতে তা সম্ভব নয়।

এই রে, আবার শুরু করল জ্ঞান দেওয়া। এসব কথা আমাদের এই বাঙলার জন্য নয়। আরে বাঙলার মাটি হচ্ছে দুর্জয় ঘাটি। এখানে ওসব ভাবনা চিন্তার দরকার নেই। আমাদের ‘তিনি’ সকালে উঠে যদি বলেন যে রক্ত দিয়ে বক্রেশ্বরের আদলে আমরা ঘরের টালি বেচেই শিল্পের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করব, তাহলে সেটাই  যথেষ্ট । ওসব লম্বাচওড়া ভাবনা আর ঘামঝরানো কাজ তারাই করবে যাদের বুদ্ধিশুদ্ধি কম। আমাদের  এখানে ‘ তিনি ‘ পটলকেও আলু বললে তা আলুই হয়ে যায়। ‘তাঁর’ স্পর্শে যে কর্মচারীদের দাবীদাওয়াও ঘেউ ঘেউ হয়ে যায়।

রবীন্দ্রনাথের কথা বলে আমাদের বোঝাতে এসেছে যতসব উড়ে আসা লোক।  তোরা কি বুঝিস রে আমাদের রবি ঠাকুরকে? আমাদের ‘তিনি’ রবীন্দ্রনাথেরও উত্তরণ ঘটিয়েছেন। তোরা বলে বেড়াচ্ছিস যে রবীন্দ্রনাথ নাকি গুজরাটের লোকেদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন, বিশ্বভারতীর জন্যও সাহায্য নিয়েছেন নাকি ওসব লোকজনের থেকে। আরে,তখন ‘তিনি ‘ থাকলে এসব কিছুর দরকারই হত না। দুধ, ঘুঁটে আর ছবি বেচেই আমাদের ‘তিনি সব পয়সা তুলে দিতেন, বিশ্বভারতী সে পয়সাতেই হয়ে যেত। কোনো ‘বাইরের লোকের‘ পয়সা লাগতই না।

তোরা সারাদিন বিবেকানন্দ বিবেকানন্দ করিস, কি বুঝিস রে তোরা তখন বিবেকানন্দ নাকি মাদ্রাজের লোকেদের থেকে পয়সা নিয়ে আমেরিকা গেছিলেন। আমাদের ‘তিনি’ থাকলেই ময়দানেই সারা বিশ্বের সব ধর্মের লোককে হাজির করে ফেলতেন আর ওই দত্তবাড়ির ছেলে নরেন্দ্রনাথ সেখানে জোরদার বলতেন, তবে ওসব হিন্দুধর্ম টর্ম প্রচার নরেন্দ্রনাথ করতেন না, উনি শুধু ‘তেনার’ ধর্মই প্রচার করতেন। আসলে তোরা তো মর্ম বুঝলি না, ‘তাঁর’ মুখ থেকে যা বের হয়, তা সভাসমিতিতেই হোক বা প্রশাসনিক মিটিং এ, সবই আসলে ধর্মের বাণী।  তোরা খুব চিল্লামিল্লি করিস, হাসাহাসি করিস কলকাতাকে লন্ডন বানানো নিয়ে, স্বয়ং মহানায়ক উত্তমকুমার তাঁর ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ছবিতে বলেন নি যে সাহেবদের নকল করাই আমাদের ধর্ম? উত্তমকুমার নেচেকুঁদে বলেছিলেন বলে ভাল লেগেছিল, আর আমাদের ‘তিনি’ যখন সেই ধর্ম পালন করার ব্রত নিলেন লন্ডনকে কলকাতা বানানোর কথা বলে, তখনই তোদের যত হিহি হাহা শুরু হল। ‘তেনার’ মহিমা তোরা কি বুঝিস রে?

এবার একটু ‘তেনার’ দুনিয়া থেকে সাধারণের জায়গাতে নেমে দেখা যাক। আচ্ছা সবার নিশ্চয়ই জানা আছে যে National Health Service বা NHS এর কথা? অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ এর মত এই NHSও ইংল্যান্ডের একটা গর্ব। কিন্ত সাম্প্রতিক চিত্র কি খুব উজ্জ্বল ? সরকার অর্থের সংস্থান বাড়িয়ে চলেছে কিন্ত NHS এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা, বিশেষ করে জরুরীকালীন পরিষেবার প্রশ্নে, প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্যই মৃত্যুহার তুলনামূলক ভাবে বেশি এই NHS এর রোগীদের মধ্যে। সরকারী অর্থের সঠিক ব্যবহারের পরিবর্তে সামগ্রিক অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে, এমনকি বিভিন্ন ধরনের systemic fraud ও ঘটে চলেছে এই মর্মে রিপোর্টও বেরিয়েছে। NHS নিশ্চিত ভাবেই একটা সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে। ওদিকে সাগরের অপর দিকের এক বৃহৎ শক্তির দেশে প্রচলিত Affordable Care Act যা Obamacare নামেই বিপুল জনপ্রিয়, তার সাফল্য কি প্রশ্নাতীত? তাতো নয়। অজস্র অসুবিধার মধ্য দিয়ে এই স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাটিকে যেতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত Premium এর বোঝা লাগু হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে, অনেক ক্ষেত্রেই আবার অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আইনটির আসল উদ্দেশ্যই ব্যহত করছে।  বিশাল মাপের উন্নত দেশ হলেও একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে।

আলোচনার নির্যাস এটাই যে কোন বদলে সর্বসাধারণের জন্য সরকারী উদ্যোগে চালু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যার ভিত্তি পুরোপুরি Public Funding হোক বা Insurance System হোক, অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। একটি বিস্তৃত এবং গভীর রাজনৈতিক-প্রশাসনিক অনুশীলন এবং বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গড়ে তোলার সস্তা রাজনৈতিক লাভ আর সংকীর্ণ বিরোধিতার মানসিকতা যখন চালিত করে কোনো একটি রাজ্যের রাজনৈতিক প্রশাসনকে, তখন সেই স্বাস্থ্য পরিষেবার রূপায়ণে লাভবান আর যেই হোক, রাজ্যের সাধারণ মানুষ হতে পারে না। চল্লিশ শতাংশ দায়ভার বহন অস্বীকার করে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের মাথায় নেওয়া যে কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশাসনিক রাজনীতি, সেটা সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্যনীতির ইতিহাস আর তুলনামূলক বিশ্লেষণে জলের মত পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্ত দুর্ভাগ্য এই রাজ্যের মানুষের। বিরোধিতার নাগপাশ থেকে রাজ্যের মানুষ আর মুক্ত হতে পারছে না শত চেষ্টা সত্ত্বেও। নিজেদের প্রতিবাদী বলতে বড়ই ভাল লাগে, কিন্ত কি উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ তা জিজ্ঞেস করলে মাথা চুলকোনো ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।  ঘুরে ফিরে সেই বাঙলার মাটি দুর্জয় ঘাটি।

ডিসেম্বর মাসের সর্বভারতীয় জি এস টি আদায় হয়েছে ১.১৫লাখ কোটি । এটা রেকর্ড আদায়, জি এস টি চালু হওয়ার পর থেকে। আগের দু মাসেই আদায় একলক্ষ কোটি অতিক্রম করেছে। কিন্ত এ মাসের আদায় একটা বিশেষ আশার আলো বহন করছে। গত মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯.৭% এবং গত বছরের এই মাসের বিচারে বৃদ্ধির হার ১২%। অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যে অতিমারীর মধ্যেও আশানুরূপ অগ্রগতির স্বাক্ষর রেখেছে তা  বোঝাতে এই তথ্যই যথেষ্ট। উল্লেখযোগ্য যে এই ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের জি এস টি আদায় ও বৃদ্ধি পেয়েছে ১০% হারে। জি এস টি’র মতো কর ব্যবস্থার একটি ব্যাপক সংস্কার  কার্যকরী হয়ে এই জায়গাতে পৌছতে অগুনতি বাধা বিপত্তি পেরোতে হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের রাজ্যের তথা ভারতের প্রগতিশীল বিদ্বজনেরা শুধুই নিরাশার বাণী শুনিয়ে গেছেন। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী অসম্ভব দৃঢ়তা দেখিয়ে সংস্কার চালু করেছেন এবং এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সরকারের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের সাফল্যের পেছনে রয়েছে Systemic Changes এবং Targeted Approach towards Plugging the Loopholes. সেটা দীর্ঘ অনুশীলন আর প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।

চটজলদি সাফল্য আশা করা একটি মানসিক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাজ্যে বিশেষ করে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে সমগ্র ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে ভাবার এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং অনাবশ্যক কেন্দ্র বিরোধিতা। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি আসতে পারে রাজ্যের মানুষের কঠোর প্রায়শ্চিত্তের মধ্য দিয়ে। সময় বলবে এই প্রায়শ্চিত্ত করতে মানুষ রাজী আছেন কিনা।

‘তেনার’ লোকজন কিন্ত এসব গায়েই মাখেন না। তোরা কি বুঝিস সে আমাদের ‘ তার ‘ মহিমা। তোরা তো কদিন আগে ‘তিনি’ কাকে তুইতোকারী করেছিল বলে ছি ছি করছিলি। তোরা কি বুঝিস রে। ঠাকুর যেমন আধ্যাত্মিক ভাবের ঘোরে তার আরাধ্যা ‘মা’ কে তুই বলতেন, আমাদের ‘তিনি’ও রাজনৈতিক ভাবের ঘোরেই প্রধানমন্ত্রীকেও তুইতোকারী করে থাকেন।

আপনারা সবাই দেখছেন তো। দেখতে থাকুন। বুঝতে থাকুন।

মতামত লেখকের, বঙ্গদেশের নয়।