মদত জোগাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

0
448

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ফের একবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাওসাহেব দানভে অভিযোগ করেছেন যে, চলমান কৃষক বিক্ষোভের নেপথ্যে রয়েছে চীন এবং পাকিস্তানের উস্কানি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় ১৪ দিন ধরে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করছেন। এর জেরে ব্যাঘাত ঘটেছে রাজধানীর জনজীবনে। বারংবার চেষ্টা করেও প্রতিবাদী কৃষকদের বাগ মানাতে পারেনি কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফের এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছেন।

রাওসাহেব দানভে এদিন অভিযোগ করেছেন যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বিরোধী বিক্ষোভের সময়ও পিছন থেকে এভাবেই কলকাঠি নাড়িয়েছিল পাকিস্তান এবং চীন। তবে সেই অপচেষ্টায় চীন এবং পাকিস্তান সফল হতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তান ও চীন কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে মাথায় ঢুকিয়েছে এই নয়া আইনের জেরে তাদের বিপুল পরিমাণ ফসল ও অর্থ লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।

এই বিষয়ে রাওসাহেব বলেছেন, ‘এটা কখনোই কৃষকদের বিক্ষোভ প্রদর্শন নয়। এর পেছনে রয়েছে চীন এবং পাকিস্তান। এর আগে এ দেশের মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিল তারা। তাদের বোঝানো হয়েছিল যে, এনআরসি ও সিএএ-র জেরে মুসলিমদের ৬ মাসের মধ্যে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তাহলে এখন কি দেশ মুসলিম শূন্য?’

এরপর তিনি বলেন, ‘আগেরবার সফল হয়নি পাকিস্তান ও চীন। তাই এবার তারা কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে বলেছে যে এই নয়া আইন তাদের লোকসানের মুখে দাঁড় করাবে।’ এদিকে বুধবার ফের কেন্দ্রের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ পাশাপাশি আরও বড়সড় আন্দোলনের ডাক দেওয়ার বার্তা দিয়েছে তারা৷ কৃষকদের সাফ বার্তা, এই নয়া কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্ঘু বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, নয়া কৃষি বিলে যে বিষয়গুলি নিয়ে কৃষকদের আপত্তির কারণ রয়েছে সেই ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা দিতে তারা প্রস্তুত৷ যেখানে ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে৷ তবে তাতেও বরফ গলেনি কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে।