পাকিস্তানের অধঃপতন অব্যাহত, সম্ভাবনা অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া ঘোষণার!

0
533

বঙ্গদেশ ডেস্ক – পাকিস্তানের বাচ্চাখান চৌকে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল ১১-দলীয় জোটের সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (পিডিএম) নেতাদের দ্বারা। তাদের দাবী পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফেরাতে তারা এই আন্দোলন শুরু করেছেন। তারা আরও বলেছেন যে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের ভুল নীতি দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে ক্রমশ ঠেলে দিয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদ পত্র ‘দ্যা ডন’ পিডিএমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে, তারা যে সংগ্রাম শুরু করেছিল সেটা “২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট চুরি করে দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া অবধি অব্যাহত থাকবে”।

দ্যা ডনের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা আবদুল ওয়েসী, পাখতুনখোয়া মিলি আওয়ামী পার্টির সিনেটর উসমান কাক্কার, বালুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মঙ্গালের আগা হাসান, ন্যাশনাল পার্টির খায়র জান বালুচ, আওয়ামী জাতীয় পার্টির রাশেদ খান নাসার, ওয়ালি মোহাম্মদ প্রমুখ সহ পিপিপি এবং পিএমএল-এনের আবদুল ওয়াহাব অটাল এই নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রেখেছিলেন।

বিরোধী জোট এছাড়াও খুজদার, গওয়াদার ও হাবের মত কিছু এলাকাতেও প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল, যেখানে স্থানীয় নেতারা জনগণের সামনে বক্তব্য রেখেছিলেন।

তারা ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার ও অন্যান্য নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলা হয়েছে যে তাদের ভুল নীতির ফলে দেশটি “দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছে”, টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

যারা জনগণকে ১০০ কোটি কর্মসংস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা উল্টে তাদের কাছ থেকে চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে, এভাবে আত্মহত্যা করতে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়া এবং এক্সট্রাজুডিশিয়াল অত্যাচার সত্ত্বেও জনগণ তাদের সংগ্রামকে অব্যাহত রাখবে এর শেষ না দেখা পর্যন্ত, নেতারা আরও বলেছেন।

পিডিএম ১৬ ই অক্টোবর থেকে পেশোয়ার, গুজরানওয়ালা, করাচি, কোয়েটা এবং মুলতানে এই জাতীয় পাঁচটি সমাবেশ করেছে।