কৃষক আন্দোলনকে জাঠ আন্দোলন করার ডাক দিলেন কৃষক নেতা টিকায়েত !

0
534

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- দিল্লির রাস্তায় তথাকথিত ছদ্মবেশী দেশদ্রোহীর দল কৃষকের ভেক ধরে রাজধানীর কাছে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বাড়িয়েই চলেছে। এবং তথাকথিত ‘কৃষক’ নেতা রাকেশ টিকায়েত এবং তার ভাই নরেশ টিকায়েত কৃষকদের গাজীপুর সীমান্তে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য সমানে প্ররোচিত করে চলেছেন।

তথাকথিত কৃষকদের বিক্ষোভের সমর্থন ক্রমাগত কমতে থাকে কারণ বেশিরভাগ সংস্থাগুলি এই সমাবেশকে বিদায় জানিয়েছে, যখন দিল্লির রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে দাঙ্গা শুরু করে। মোদী সরকার কৃষকদের উস্কানি দেওয়ার জন্য যোগেন্দ্র যাদব এবং রাকেশ টিকায়েত সহ অভিযুক্ত কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাকী প্রতিবাদীদের সীমান্ত অঞ্চল খালি করার জন্য সতর্ক করেছে।

বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনও আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যরাতের মধ্যে সীমান্ত খালি করার জন্য একটি আলটিমেটাম দিয়েছিল। রাজ্যে কৃষি বিক্ষোভের সমাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ইউপি সরকার তার সমস্ত ডিএম এবং এসএসপিকে কঠোর নির্দেশও দিয়েছিল। গাজীপুরে বিক্ষোভের জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটার পর পরে, রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন যে তারা আত্মসমর্পণ করবেন না এবং এমনকি প্রয়োজনে আরও কৃষককে প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে। সহমর্মিতা আদায় করার জন্য তিনি ন্যাশনাল টেলিভিশনে কাঁদতে শুরু করেন এবং একজন সহকর্মী বিক্ষোভকারীকে এক চড় মারেন। পাশাপাশি তিনি নয়া কৃষি আইন বাতিল করার জন্য জোর দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত কমিটি ২৬ শে জানুয়ারি দিল্লিতে সংঘটিত সংঘর্ষের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য তিনি বলেছেন, “কোন‌ও আত্মসমর্পণ হবে না। বিজেপি আলাদা পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। লাল কেল্লায় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কৃষকদের লিস্ট জনসমক্ষে প্রকাশ হওয়া উচিত।”

কৃষক বিক্ষোভ হিসাবে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন একটি নির্দিষ্ট জাতিভিত্তিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে কারণ কৃষক নেতারা এখন বিক্ষোভকারীদের নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচিত করার অভিযোগে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রকেশ টিকায়েত এখন সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদকে সমর্থন করার জন্য পশ্চিম ইউপি থেকে কৃষকদের গাজীপুরে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

টিকায়েতের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পা দিয়ে কয়েক জন অনুগামী ইউপির উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েছে। তারা রাকেশ টিকাইতের সমর্থনে গাজীপুর সীমান্তে আসতে চলেছে।

তার ভাই নরেশ টিকায়েত, বিজিইউর প্রধান যিনি এর আগে গাজীপুর সীমান্ত খালি করার বিষয়ে একমত হয়েছিলেন, ভবিষ্যতের কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নিতে মুজফফরনগরে একটি ‘মহাপঞ্চায়েত’ ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, নরেশ পশ্চিম ইউপির অন্যতম জাট সংগঠন জাঠ বলিয়ান খাপ পঞ্চায়েতের নেতা।

সূত্রের খবর, রাকেশ টিকাইতকে সমর্থন করার জন্য রাষ্ট্রীয় জাঠ মহাসংঘ এখন গাজীপুরেও পৌঁছে গিয়েছে। রোহিত জখর নামের একজন জাঠ নেতা বলেছেন, “এটি আমাদের কৃষক গোষ্ঠীর মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াই। কাজেই, হাজার হাজার কৃষক এখানে সমবেত হবেন।” হরিয়ানায় , টিকাইতের সমর্থক এবং কয়েকজন জাট নেতা প্রতিবাদে জিন্দ-চণ্ডীগড় সড়ক অবরোধ করেছেন।

অন্যদিকে, ২৬ শে জানুয়ারী ট্র্যাক্টর মার্চের মাধ্যমে হিংসা ও দাঙ্গায় প্ররোচিত করার জন্য দিল্লি পুলিশ ৩০ টিরও বেশি ‘কৃষক’ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। রাকেশ টিকায়েত, যোগেন্দ্র যাদব এবং দর্শন পালের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য রাস্তায় জনতাদের হিংসা সৃষ্টিতে প্ররোচিত করার জন্য এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।