‘কোনওভাবেই রেলের বেসরকারিকরণ হবে না’ আশ্বস্ত রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের

0
619

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- সংসদে রেলের আর্থিক অনুদানের দাবী সংক্রান্ত একটি বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছিলেন রেলমন্ত্রী। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, যে গত দু’বছরে রেল দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়নি। শেষ মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রেল যাত্রী পরিবহণ সুরক্ষায় বিশেষ নজর দিচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারী ও বেসরকারি সংস্থা যদি একত্রে কাজ করতে শুরু করে, তাহলে দেশে উন্নতির গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে ও কর্মসংস্থানও বাড়বে। পীযূষ গোয়েল বলেছেন, রেলের বেসরকারিকরণ কোনওভাবেই করা হবে না কারণ ভারতীয় রেল প্রত্যেক ভারতীয়র সম্পদ। আর ভবিষ্যতে তেমনটাই থাকবে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যে রেল চিরকাল ভারত সরকারের হাতেই থাকবে।

২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে রেলের জন্য বরাদ্দ ছিল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে মোদী সরকার সেই বিনিয়োগ বাড়িয়ে ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। গত বছর অক্টোবর মাসে বেশকিছু ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রেল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ১২০টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া-মুম্বই, দিল্লি-হাওড়া, চেন্নাই-মুম্বই, মুম্বই-দিল্লি, দিল্লি-চেন্নাই, দিল্লি-গুয়াহাটি, চেন্নাই-হাওড়া রুট। এই রুটগুলিকে আবার ১২টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি রুট রয়েছে হাওড়া ক্লাস্টারে।

এই সব রুটে ট্রেন চালানোর জন্য অনলাইনে আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশ মিলিয়ে এলএনটি, ভেল, আইআরটিসি-সহ ১৫টি সংস্থার টেন্ডার খোলা হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে‌ তুলোধোনা করেছেন নানান বিরোধী পক্ষ। তাদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থা হাতে ট্রেন পেলে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়ানো হবে, এর ফলে নাজেহাল অবস্থা হবে যাত্রীদের। কিন্তু রেলের দাবী, বেসরকারি ট্রেন চললে পরিষেবা উন্নত হবে এবং বিনিয়োগ‌ও বাড়বে।