বাঙালি পরিচয়ের গর্ব যেন উন্নাসিকতা না হয়ে দাঁড়ায়

0
1353

বেশ কিছুদিন আগে বঙ্গদেশ পত্রিকাতেই একখানি প্রবন্ধ পড়েছিলাম, শাশ্বতী সরকারের, ষণ্মুখ ও দিকগজের  লেখা নাগরিক সংশোধনী বিলের ওপর। ছত্রে ছত্রে বাঙালি প্রাদেশিকতার ইঙ্গিত ও বাঙালি জাতি হিসেবে কতখানি উন্নত তা ব্যক্ত করেছেন ত্রয়ী লেখক। জাতীয়তাবাদী বাঙালির কালজয়ী দিনগুলো তাঁরা প্রাদেশিকতার মোড়কে উপস্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই লেখাটি কেন দেশের অন্য প্রদেশের সাথে বাংলার তুলনা করেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা উচিৎ।

মহাপুরুষরা কি খালি বাঙালিদের?

নাগরিক সংশোধনী বিলের ওপর বাঙালির অধিকার নিয়ে প্রবন্ধ শুরু হলেও একস্থানে তাঁরা লেখেন যে তাঁদের প্রবন্ধের মূল বক্তব্য হল “তুলনামূলক ভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করার ব্যাপারে বাঙালি হিন্দুদের অবদান অনেক কম আলোচিত হয়”! কে অস্বীকার করে যে দেশকে স্বাধীন করার ব্যাপারে বাঙালি হিন্দুদের অবদান অনেক? আন্দামানের সেলুলার জেলে যাঁরাই গেছেন তাঁরাই দেখেছেন কতজন বাঙালি হিন্দু সেখানে কারারুদ্ধ ছিলেন। নেতাজি সুভাষ, ঋষি অরবিন্দ, ক্ষুদিরাম, বিপিনচন্দ্র পাল, বাঘা যতিন, রাসবিহারি, স্বামী বিবেকানন্দ, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রফুল্ল চাকী-এনাদের সকলেরই জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে দেশের লোক জ্ঞাত আছেন। বর্তমানের গণযোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা এনাদের বীরত্বের কথা সুদূরপ্রসারিত । ঠিক যেমন ভাবে আমরা বীর সাভারকরের বা ভগৎ সিংএর কথা জানি । বলা বাহুল্য যে এনারা কেউই প্রাদেশিকতার জন্য জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেননি। সকলেই বৃহত্তর দেশের সার্থে এগিয়ে এসেছিলেন। বিপিন চন্দ্র পাল ও রাসবিহারী বসু স্বাধীণতার আন্দোলনে সারা দেশ জুড়ে তাঁদের অবদান রেখে গেছেন, এমনকি জাপানে গিয়েও রাসবিহারী বসু দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। দক্ষিণ ভারত ও পাঞ্জাবের স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও অবদান অপরিসীম। স্বামী বিবেকানন্দের বাণী বহু দেশীয় ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও যে তাঁর আদর্শে প্রভাবিত তা তাঁর বহু ভাষণেই প্রমাণিত । 

 

কেন এত বিপুল পরিমানে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী হয়েছিলেন? 

 বৃটিশ শাসন শুরু হয়েছিল বাংলার মাটিতেই, পরবর্তী কালে রাজধানীও কলকাতাতেই স্থাপিত হয়, তাই শোষণও এখানেই শুরু হয় প্রথম। একের পর এক অত্যাচারের ও শোষণের কারণেই সম্ভবতঃ বৃটিশ বিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠে। বাঙালি হিন্দু বিপ্লবী সংখ্যায় বেশি ছিল । যদিও ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বাঙালি হিন্দুর আত্মত্যাগের সংখ্যা অন্যন্য বিদ্রোহের তুলনায় কম ছিল । এতদূর অবধি মোটামুটি সঠিক মূল্যায়ণ করেছেন ত্রয়ী লেখক। 

ব্যবসায়ীদের স্বাধীনতা সংগ্রামী সহযোগ

তার পরেই শুরু হল কট্টর সমালোচনা, ওড়িয়া, অহমিয়া, মাড়োয়ারি, সিন্ধ্রি বা গুজরাতিরা কেন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেনি? কেন বিভ্রান্ত করছেন ত্রয়ী লেখক নিজের পাঠকদের? ওড়িয়া বালক বাজি রাউত মাত্র ১২ বছর বয়সে আত্মত্যাগ করে বৃটিশ পুলিশের সামনে! এছাড়াও ছিলেন সুরেন্দ্র সাঁই, জয়ি রাজগুরু, লক্ষণ নায়েক, ধরনিধর , দিবাকর পরিদা, রঘু মোহান্তি, বক্সি জগবন্ধু, আরো কত কে! গুজরাতের বিখ্যাত ৩ স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম তো সর্বজনবিদিত , মোহন দাস গান্ধী, বল্লভ ভাই পাটেল এবং তাঁর অগ্রজ বিঠ্ঠলভাই পাটেল। এছাড়াও উমাশঙ্কর যোশী, নরহরি পারেখ, রবিশঙ্কর ব্যাস, মোহনলাল পান্ডেও উল্লেখযোগ্য। এনারা সবাই গান্ধীর নেতৃত্বে স্বাধীণতা সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছিলেন।

মারোয়ারি, গুজরাতি, সিন্ধ্রি জাতিরা মূলত ব্যবসায়ী গোষ্ঠিভূক্ত । তাঁরা অনেকেই সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত না থাকলেও অর্থসাহায্য করেছেন বিপ্লবীদের। গান্ধীকে অর্থসাহায্য করতেন ঘনশ্যামদাস বিড়লা। ঘনশ্যামদাস বিড়লা কি শুধুই পুঁজিপতি ছিলেন? তিনি  ‘হরিজন সেবক সঙ্ঘের দায়িত্বশীল সভাপতি যেমন ছিলেন তেমনি কলকাতার বস্তিগুলির উন্নয়নও করেছিলেন। ঘনশ্যামদাসের অন্যতম কৃতিত্ব ছিল সুতো এবং পাট শিল্পক্ষেত্রে ব্রিটিশদের একচ্ছত্র আধিপত্য ভেঙে দেওয়া। ঘনশ্যামদাস বিড়লা যে শুধু গান্ধী এবং কংগ্রেসের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তা নয়, লালা লাজপত রায়, মদনমোহন মালব্য এবং হিন্দু মহাসভারও পৃষ্ঠপোষকতা করতেন৷ তাঁরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী করতেও চেয়েছিলেন৷ আমদাবাদের অন্যতম মিল-মালিক অম্বালাল সারাভাইও গান্ধীকে অর্থসাহায্য করতেন। ১৯৩৬ সালে বিশ্বভারতীর আর্থিক সংকট হলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে গোপনে ৬০ হাজার টাকা অনুদান করেন ঘনশ্যামদাস বিড়লা।

“রডা অস্ত্র ষড়যন্ত্র” এর নাম শুনেছেন? রডা কোম্পানির কেরানি শ্রীশচন্দ্র মিত্র বেশ কিছু পিস্তল অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের জন্য সরিয়ে রেখেছিলেন। বৃটিশ পুলিশ সারা শহর জুড়ে তল্লাশি, ধরপাকড় করেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু কোথায় ছিল অস্ত্রগুলি? ঘনশ্যামদাস বিড়লা, ওঙ্কারমল সরাফ, প্রভুদয়াল হিম্মতসিংকা প্রমুখ মারওয়াড়ি তরুণদের হেফাজতে ওই পিস্তল গুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অনুশীলন সমিতির সাথেও কলকাতার মারওয়াড়ি তরুণরা সশস্ত্র আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেসব কি জানেন ত্রয়ী লেখক?  “অনন্ত সিংহ রাজপুত হলেও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন বাংলায় বসবাস সূত্রে বাঙ্গালী হয়ে গেছিলেন” তাই অনন্ত সিংহ বাঙালি, আর ঘনশ্যামদাস বিড়লা যিনি প্রাকস্বাধীণতার আমলে বাংলাতে হিন্দুস্তান মোটর্স, কেসোরাম জুট মিল, কাপড়ের মিল, ইত্যাদি স্থাপন করেছিলেন তিনি রয়ে গেলেন মারোয়ারি! “গুজরাতে কৃষক বিপ্লবের কোন প্রভাব জনসাধারনের মধ্যে পড়েনি”, তাই গুজরাতিরা বাঙালি থেকে অধম!

উত্তর-পূর্ব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা

“উত্তরপূর্ব ভারত থেকে একটাও উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী জন্ম নেন নি”! তাহলে বলি শুনুন – ১৯৪৪ সালের এপ্রিলে এক তরুণ মণিপুরি অ্যাক্টিভিস্ট এবং তাঁর কয়েক জন সতীর্থ অধীর আগ্রহে মায়ানমারের সীমান্ত থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজকে স্বাগত জানাতে। তিনি ছিলেন মেইরেমবাম কোইরেং সিং ৷ শাশ্বতী সরকার, ষণ্মুখ ও দিকগজ কি তাঁর নাম জানেন? ১৪ এপ্রিল, ১৯৪৪, মোইরাঙের কিছু স্থানীয় মানুষ, কোইরেং সিং ও তাঁর সাথীদের একটি ছোট্ট দল এবং জাপানি মাউন্টেন গান রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ইতোর সামনে মণিপুরের প্রাচীন শাসনকেন্দ্র মোইরাং কাঙ্গলায় তিরঙ্গা উড়িয়ে দিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্নেল শওকত আলি মালিক৷ ত্রয়ী লেখক কি মণিরাম দেওয়ানের নাম বা কনকলতা বড়ুয়া, জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালামুকুন্দ কাকতির নাম শোনেনি? এই মণিরাম দেওয়ান সিপাহী বিদ্রোহের কথা জানতে পেরে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আরম্ভ করার জন্য কলকাতা থেকে একটি পত্র রাজা কন্দর্পেশ্বরকে প্রেরণ করেন। কিন্তু পত্রটি বৃটিশ পুলিশকর্মী হরনাথ দারোগার হাতে গিয়ে পৌছায়। এই হরনাথ কিন্তু বাঙালি ছিলেন। এর ফলে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা প্রমাণিত হয়। মণিরামেরর ও পিয়লি বরুয়ার ফাঁসি হয় জোরহাটে। মণিরাম দেওয়ানের অন্য সহযোগি বাহাদুর গাওনবুরা, দ্যুতিরাম বড়ুয়া, মধু মল্লিককে আন্দামান জেলে যাবজ্জীবন কারাবাসও করতে হয়! এছাড়াও গোমধর কোনয়ার, রূপচাঁদ কোন য়ার, পিয়লি বরফুকন, গদাধর সিংহকেও বৃটিশের দমননীতির জন্য মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে ১৮২৮-৩০ সালে। এছাড়াও কুশল কানোয়ার, মনিপুরের সেনাপতি থেঙ্গল ও তাঁর ভাই, বর্মা প্রদেশের বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী বৃটিশ দের বিরুদ্ধে শোচ্চার হয়েছিলেন এবং স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বলিদানও দিয়েছিলেন। খাশী পাহাড়ের রাজা তিরথ সিংহের নাম শুনেছেন? নাঃ মনে হয় ত্রয়ী লেখক শোনেন নি! নাহলে এইরকম হযবরল লিখতেন না। 

“এখানে বলে রাখা দরকার — আসাম ও উত্তরপূর্বের লোকেরা সেই 1947 সাল থেকেই তাদের রাজ্যে বাঙালি উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে ‘অশোভন’ ভাবে বিরোধিতা করে গেছে” – সবাই নাকি বাঙালিকে বিরোধিতা করে! কেন বিরোধিতা করে একটুও ভেবে দেখেছে কি ত্রয়ী লেখক? আসামে প্রচুর মণিপুরি, মিজো, নাগা, কর্বি, বরো সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে, যদিও তাদের সংখ্যা বাঙালি হিন্দু তুলনায় নগণ্য, তবুও তাদের প্রতি অহোমিয়াদের বিরূপভাব নেই কিন্তু বাঙালিদের প্রতি আছে, কেন ভাবুন তো! শুধু কি সংস্কৃতি লোপাট হবার ভয়ে? নাকি অনেক ফ্যাক্টর কাজ করেছিল ? পার্টিশনের সময় কুচবিহারকে বাংলা কেড়ে নিল আসাম থেকে, রাজবংশী ভাষা প্রায় শেষের পথে বর্তমানে। বরো ভাষীরাও তো কুচ বিহারের সাথে বঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছিল , তাদের ভাষাও তো লুপ্ত হবার পথে! অহোমিয়ারা দেখলো যেখানে বাঙালি বেশি সেখানে তাদের ভাষা, সংস্কৃতির কদর হয়না। রাগ তো হবেই।

শুধু কি ভাষা আর সংস্কৃতির লুপ্ত হবার ভয় ছিল অহোমিয়াদের? চা বাগানের মালিকানা সব কলকাতায় ছিল এককালে, দার্জিলিং আর ডুয়ার্স যেখানে ২৫% চা উৎপাদন করত , সেখানে আসাম টি উৎপাদিত হত ৫৬%! এর ফলে শ্রমিক আন্দোলন হয় বহুবার, তাতে তিক্ততা বাড়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। এর আগে ব্রিটিশরা যখন আসাম অধিগ্রহণ করে তখন বঙ্গের সাথে আসাম প্রদেশ জুড়ে দেয়। আসামে সরকারি কাজের জন্য স্থানীয় কর্মদক্ষ লোক না পাওয়া গেলে বাঙালি কেরানি আনয়ন করে ব্রিটিশ সরকার, বাঙালির কর্মদক্ষতার মান অহোমিয়াদের তুলনায় উৎকৃষ্ট হওয়ায় বাঙালি সরকারি চাকুরিতে বহাল হত বেশি। তারা সেখানে অধিক উপার্জনের খ্যাতিরে দলে দলে যোগদান করে বাঙলা ভাষাকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করে। এতে আসামের স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ বাঙালি হলে অধিবাসিদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আসামের বঙালি খেদাও অভিযানে সাধারন অহোমিয়াদের থেকেও বেশি উৎসাহ সেখানকার মুসলমানদের মধ্যে ছিল, তার ওপর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় ছিল যা বলাই বাহুল্য । আর এই রাজনৈতিক প্রশ্রয়দাতারা ছিল ব্রিটিশ শাসক , জাতীয় কংগ্রেস ও আসাম কংগ্রেস সরকার। শ্রীহট্ট জেলা আসামের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়াস করেছিল শ্রীহট্ট কংগ্রেস রাজনেতা আব্দুল মতিন চৌধুরি, যাতে আসামের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মুসলমান হতে পারে। এই আব্দুল মতিন চৌধুরিই প্রথমবার বলে বাঙালীকে আসামে থাকতে হলে অহোমিয়া হয়ে থাকতে হবে! কিন্তু তারও আগে আরো এক মুসলমান আব্দুল হামিদ চৌধুরি ১৯২৭ সালের ৫ই অক্টোবর আসামে বাংলা ভাষার দাবি করে প্রতিষ্ঠার দাবি করেছিল , যেটা গৃহীত হয় আসাম পরিষদ সভায়। আগুনে ঘি ঢালতে একে একে এগিয়ে আসে মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, মতিউর রহমান মিয়া, মহম্মদ সাদুল্লা প্রমুখরা। তারপর তো সিলেটের বঙ্গভুক্তির জন্য ভোটের সময় জিন্নার নেতৃত্বে আসামের মুসলিম লীগ গণভোট কমিটির সাথে বোঝাপড়া করে যাতে মূলধন দিয়েছিল বাংলার কসাই সুরাবর্দি! The choice is between kufristan & Islamistan! 

টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং এর দ্বিতীয় সংস্করণ হব না

ত্রয়ী লেখকদের লেখায় কোথায় যেন গুজরাতিদের ওপর একটা ক্ষোভ আছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির না মহাত্মা গান্ধীর জন্য তা এই লেখা পড়লে জানা যায়না। ভারতবর্ষের একটি বিশেষ অঙ্গ আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তার প্রতি বাঙালির নিবিড় ভালবাসা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের একটি মাত্র আন্তর্জাতিক পরিচয় এবং সেটা হল আমরা সবাই ভারতীয়। কারণ বাঙালি বলে তো নিজেদের বাংলাদেশিরাও পরিচয় দেয়। তাই প্রাদেশিকতার আড়ালে দেশের অন্য প্রদেশের লোকদের প্রতি অবজ্ঞা জানালে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং এর দ্বিতীয় সংস্করণ লাগে ! 

sources: 

1. The Marwaris: From Jagat Seth to the Birlas- Thomas A Timberg

2. Brushes with History – K K Birla

3. বাংলা বিভাজনের রাজনীতি অর্থনীতি : সুনীতিকুমার ঘোষ

4. আসামে ভাষা আন্দোলন বাঙালিপ্রসঙ্গ – সুকুমার বিশ্বাস

5. Assamese Women in Indian Independence Movement: With a Special Emphasis on Kanaklata Barua – Guptajit Pathak