বঙ্গদেশ ডেস্ক: রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জম্মুতে রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদেরকে চিহ্নিত করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন স্পর্শকাতর তথ্য, যা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য একইসাথে হুমকিস্বরূপ ও দুশ্চিন্তার। এই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পেছনে আন্তর্জাতিক কোন সংঘবদ্ধ শক্তির ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
বলা হয়ে থাকে যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা মায়ানমারে “নির্যাতন” এর শিকার হয়ে দেশ ছেড়েছে। দেশ ছেড়ে দেশান্তরী হয়ে তারা ভারত সহ বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশ করছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে উঠে আসছে ভীতিকর সব তথ্য। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের অনেক পূর্ব থেকেই ভারতে এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা অনুপ্রবেশ শুরু করে। এই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের কেউ দশ বছর, কেউ বিশ বছর, কেউ বা ত্রিশ বছর আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাই তদন্তকারীরা খুব সহজেই বুঝতে পারছে যে একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে ভারতে পাঠানো হয়েছে।
যেহেতু মায়ানমার থেকে বিতাড়নের অনেক পূর্বেই এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে, তাই ভোট প্রদান ছাড়াও আরও বিবিধ সরকারি সুযোগ সুবিধা তারা ভোগ করছে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে। এই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কাছে ভোটার কার্ড সহ, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ডকুমেন্টস রয়েছে।
জম্মুতে চিহ্নিত হওয়া এই রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৬০০০ বলা হলেও বাস্তবে মূল সংখ্যা ৩০০০০। এই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদেরকে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা বানিয়ে দেওয়া NGO র বিরুদ্ধে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এ রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা মায়ানমার থেকে বিতাড়নের অনেক আগেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। এরপর এই NGO টি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদেরকে ১০ টি রাজ্য পার করে জম্মুতে নিয়ে যায় এবং তাদের পুনর্বাসন করা শুরু করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই যে, এই রোহিঙ্গাদেরকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া NGO টি সৌদি আরব ও পাকিস্তান থেকে বিপুল অর্থ অনুদান পেয়ে থাকে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। জম্মুর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত, ব্যপক জন্মহার থাকা এই রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদেরকে একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুতে ঢোকানো হয়েছে। কারণ এদের জন্মহার বেশি বলে অচিরেই হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতে পরিণত করা সম্ভব হতো।