‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতেই পারে ব্রিটেন’, আজব যুক্তি শশী থারুরের

0
710

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন ও সংবাদ মাধ‌্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত। ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নয়াদিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ মেনে নেওয়া হবে না। কিন্তু এ বিষয়ে আজব যুক্তি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তাঁর বক্তব্য, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার একশোবার অধিকার রয়েছে ব্রিটেনের’।

এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এটাকে সামান্য বিষয় হিসেবেই ভাবা উচিত। দু’টি গণতন্ত্রের মধ্যে এমনটা হয়েই থাকে। যেমন ভারতে বসে আমরা প্যালেস্টাইন নিয়ে আলোচনা করতে পারি বা করেছি। ঠিক তেমনই অন্য দেশ চাইলে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও আলোচনা চলতে পারে। একইভাবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরও সেই সমান অধিকার আছে। তবে আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে এক্ষেত্রে দোষ দিচ্ছি না। তারা নিজেদের বক্তব্য পেশ করতেই পারে। যদিও গণতন্ত্রে নিজের মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।”

উল্লেখ্য, গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দিল্লির তথাকথিত কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়। লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপি গার্চ সিংহের আবেদনের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে এই বিতর্কটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনলাইনে ওই আবেদনের সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই পার্লামেন্টে বিতর্কের পক্ষে লক্ষাধিক ব্রিটিশ সায় দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিতর্কে ভারত সরকারের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমানায় আন্দোলনরত তথাকথিত সুবিধাবাদী কৃষকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনে লেবার পার্টি, লিবারাল ডেমোক্র্যাট এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির একাধিক সদস্য। তাঁরা বলছেন, আন্দোলন দমনে ভারত সরকার যে ধরনের পদক্ষেপ করেছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের উপরেও ভারত সরকারের ‘কড়াকড়ি’ নিয়ে সমালোচনা হয় ওই অধিবেশনে। এরপর‌ই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো নিয়ে ব্রিটেনকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছে ভারত।

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় নীল ছবির তারকা মিয়া খালিফা, পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থানবার্গ থেকে পপস্টার রিহানা তথাকথিত কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেছিলেন। যদিও পরে দেখা যায় এই টুইটের জন্য রিহানা থেকে গ্রেটা থানবার্গ মোটা অংকের টাকা পেয়েছেন। তাই আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, ব্রিটেন নিজেদের ইমেজ বজায় রাখতে ভারতকে শ্রীখণ্ডী খাড়া করছে।