‘ক্ষমা করে দে’, সুশান্তের স্মৃতিচারণা করে খোলা চিঠি লিখলেন দিদি শ্বেতা

0
616

বঙ্গদেশ ডেস্ক: বাড়ির ছোট ছেলে সুশান্ত। চারজন দিদির আদরের একমাত্র ছোটভাই তিনি। আর পাঁচটা বড়ির ছোটছেলের মতই বড় হয়েছেন চার দিদির আদরে, আহ্লাদে। তবে এই আদরের ভাই-ই যে সবকিছু ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। ভাইয়ের বিয়োগ মেনে নেওয়া সহজ নয়। এদিন সুশান্তের জন্য একটি আবেগঘন খোলা চিঠি লেখেন তাঁর দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি।

ভাইকে শেষবারের মত দেখতে পাননি শ্বেতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন তিনি। করোনা অতিমারির দৌলতে সব আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হওয়ার বহু কাঠখড় পুড়িয়ে বুধবার পৌঁছেছেন পাটনায়৷ চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আমার লক্ষ্মী সোনা, আমি জানি তুই অনেকটা কষ্টের মধ্যে ছিলি৷ তুই এক যোদ্ধার মত লড়েছিস প্রতিটা পরিস্থিতির সাথে। তুই এখন আর আমাদের পাশে শারিরীকভাবে নেই। ক্ষমা করে দে সোনা, তোকে কত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে! ইসস যদি আমি তোর থেকে সব যন্ত্রণাগুলো নিয়ে আমার সব আনন্দগুলো তোকে দিতে পারতাম! তোর উজ্জ্বল দুটো চোখ এ দুনিয়াকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। তোর ভুবনভোলানো হাসিতে প্রকাশ পেয়েছে হৃদয়ের পবিত্রতা। তোকে সবাই এভাবেই ভালোবাসবে বাবু।

চিঠিতে সুশান্তের ফ্যানদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, ‘এটা পরীক্ষার সময়। কিন্তু জীবনে যখনই ভালোবাসা এবং ঘৃণার মধ্যে বেছে নেওয়ার সময় এসে উপস্থিত হবে, দয়া করে উদারতা, সহনশীলতা কে ক্রোধের চেয়ে এগিয়ে রাখো, স্বার্থপরতাকে ভুলে নিঃস্বার্থ হয়ে ওঠো৷ নিজের পাশাপাশি অন্যদেরকে ক্ষমা করো। মনের দরজায় খিল দিও না।’

সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সুশান্তের বাবা ছেলের অবসাদের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। এবার দিদির চিঠিতে স্পষ্ট হল যে অবসাদ সত্যিই আস্তে আস্তে গ্রাস করছিল, তিলে তিলে মেরে ফেলছিল সুশান্তকে।

শ্বেতা এর আগেও নিজের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন যে কীভাবে তার পাঁচ বছরের ছোট্ট ছেলে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। তিনি লিখেছিলেন ‘আমি যখন নির্বানকে বললাম যে মামা আর নেই, ও পরপর তিনবার বলে গেল কিন্তু মা তোমার মধ্যেই তো মামা বেঁচে রয়েছে৷ যখন পাঁচ বছরের একটি বাচ্চা এরকম কথা বলে তখনই মন শক্ত করার প্রয়োজন টের পাই। সবাইকে মন শক্ত করতে হবে, বিশেষত সুশান্তের অনুরাগীদের। সুশান্ত আজীবন আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে, আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে ওর আত্মা কষ্ট পায়।’