বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ, বন্ধ করে দেওয়া হল প্রদর্শনী

0
481

বঙ্গদেশ ডেস্ক:২৭ মার্চ,রবিবার যাদবপুরের পালবাজার এলাকার সংস্কৃতি চক্র প্রেক্ষাগৃহে ‘দ্য বাংলাদেশ ফাইল্‌স’ প্রদর্শিত হ‌ওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আচমকা বাতিল হয়ে যায় ওই প্রদর্শনী। কর্তৃপক্ষের ‘বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা’ নিয়ে প্রবল আপত্তি থাকায় এই প্রদর্শনী বাতিল হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছে আয়োজক সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’। প্রদর্শনী বাতিলের তীব্র প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে আয়োজক সংস্থা,‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’। সংস্কৃতি চক্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রদর্শনীর জন্য সঠিক তথ্য জমা দেয়নি ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’।

সংস্থার তরফে মোহিত বাবু অভিযোগ করেছেন, ’৭১-এর বাংলাদেশে ‘বাঙ্গালী হিন্দুদের গণহত্যা’ ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীরা লুকিয়ে রাখতে চান। তাই এই প্রদর্শনী বাতিল করা হয়েছে। এই প্রদর্শনী বাতিলের প্রতিবাদে যাদবপুর পালবাজারের মোড়ে বিকেল ৫টায় সমবেত হয়েছেন তিনি ও তাঁর সংস্থার সদস্যরা। সেখানেই তাঁরা প্রদর্শনীর চিত্র তুলে ধরবেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাক বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের দৌরাত্ম্যে ‘বাঙ্গলী হিন্দুদের উপর বিভীষিকাময় অত্যাচার’-এর ঘটনা নিয়েই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’ সংস্থার তরফে। বাংলাদেশ থেকে আসা বেশি সংখ্যক উদ্বাস্তু মানুষের বাস যেহেতু যাদবপুর, তাই প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন সেখানেই করা হয়েছিল বলে জানান আয়োজকরা। পাশাপাশিই, আয়োজকদের বক্তব্য, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে কোনও রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই। তবে, এই প্রদর্শনীর জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কিন্তু অনুমতি পাওয়ার পরে হঠাৎই সংস্কৃত চক্রের তরফে জানানো হয়, প্রেক্ষাগৃহে ওই প্রদর্শনী কোনোভাবেই করা যাবে না।

এর পরপরই ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’ সংস্থার অন্যতম কর্তা মোহিত রায় একটি প্রেস বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইসলামি মৌলবাদ সমর্থক বামপন্থী সংস্থা সংস্কৃতি চক্র শেষ মুহূর্তে তাদের সভাগৃহ ব্যবহারের অনুমতি প্রত্যাহার করেছে। তাদের আপত্তি বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা নিয়ে। তারা অনুমতি দিয়েও পরে পুলিশের অনুমতি নেওয়ায় অজুহাত তোলে। আমরা কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টার ও গরফা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারা কোনও আপত্তি করেনি।’’

সংস্কৃতি চক্রের কর্তা প্রদীপ দত্ত এই বিষয়ে বলেছেন, আবেদনপত্রে বলা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রদর্শনী হবে। কিন্তু পরে অনুষ্ঠানের পোস্টারে দেখলাম, বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা নিয়ে প্রদর্শনী। তাই আমরা জানিয়েছিলাম, পুলিশের থেকে অনুমতি নিতে। পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে গিয়েও মুক্তিযুদ্ধের প্রদর্শনী বলে দাবি জানিয়েছিল ওরা। তাই পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা নিয়ে প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া যাবে না।