বাংলাদেশের অভিশপ্ত হিন্দু (৩): সেকাল একাল, হিন্দু নির্যাতনের ধারাবাহিকতা

0
2051

– সুতীর্থা (সম্পাদিকা, ‘আমাগো একখান দ্যাশ আসিলো’)

 

অপমানে হতে হবে সবার সমান…

মুজিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ মহলে প্রায়ই বলতেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের সামনে তিনটি পথ খোলা আছে।
১) স্বেচ্ছায় মুসলমান হয়ে যাওয়া
২) খুন হয়ে যাওয়া
৩) প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়া!

কিন্তু খলজি বাঘের পিঠে চেপে শেষমেষ তিনি কি পেলেন? সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় মুজিবের মূর্তি ভাঙা হয়েছে কারণ মূর্তি নাকি অ-ইসলামিক! একদিন তিনিই  মুসলমানরা মেনে নেবে না এই অজুহাতে, পাক বাহিনী কর্তৃক ধ্বংসপ্রাপ্ত রমনা কালীবাড়ির পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছিলেন। সেদিন যারা মা কালীর মূর্তিকে মেনে নেয় নি, আজ তারা মুজিবের মুর্তিকেও মানছে না। কথায় আছে, ‘Justice delayed but delivered’. দাড়ি টুপি খৎনায় সাচ্চা মুসলমান আসগর আলী কি পেয়েছিলো? খান সেনারা তাকে বিনা কারণে গুলি করে হত্যা করে।

১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে অসংখ্য হিন্দু নারী ধর্ষণের ঘটনায় ব্যথিত মেদিনীপুরের সফিয়া বেগম লিখেছিলেন, “যে গুণ্ডারা নারীর মর্যাদা রক্ষা করিতে জানে না, স্বজাতি হইয়াও যে তারা একদিন আমাদের সতীত্ব নষ্ট করিবে না, তাহা কে বলিতে পারে?”

বিধাতার মারের বৃত্ত তখনই সম্পূর্ণ হতে দেখি যখন মুসলিম লীগের নেতা মৃধার দুজন মেয়েকে খানসেনারা তুলে নিয়ে গেলে, বুড়িবিবি তার কট্টর ভারত বিদ্বেষী ছেলেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন,”কথা কস না ক্যান? মুখে রাও নাই ক্যান? পাকিস্তান বানাইছিলি না? তহন হিন্দু মাইয়াদের উপর জুলুম অইলে কইতিস অমন দু’একডা অয়। অহন দ্যাখ আল্লার ইনসাফ আছে কি না। চোখ খুইল্যা দ্যাখ। আহ, আমার সােনার বুবুগাে আমি খডে পামু?” পূর্বে বুড়িবিবির পাকিস্তান ভক্ত পুত্র মৃধা যখন দহলিজের সম্মুখস্থ বাগান দখল করে নেয় তখন তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, প্রতিবেশী বিজয় বসুর সম্পত্তি সে কী করে পেয়ে গেল? উত্তর আসে, “হেরা হিন্দুস্তান যাওয়ার অক্তে দিয়ে গ্যাছেগা।” বিজয় দিবসের পর বিজয় বসু কি নিজের ভিটেমাটিতে ফিরতে পেরেছিলেন? আমরা জানি না, তার উত্তরপুরুষ ‘ব্লাড ট্রেটর’ হয়েছে, না রক্ত ঋণ মনে রেখেছে। কিন্তু, বিজয়ের সমসাময়িক মৃধাকেও সম্বল খুইয়ে একই সরলরেখায় দাঁড়াতে হয়েছিলো। এই জন্মেই।

তবুও বৃত্তটা সম্পূর্ণ হয় নি। ওদেশে কে আট আনার সাচ্চা মুসলমান, কে দশ আনার সাচ্চা মুসলমান, কে ষোল আনার সাচ্চা মুসলমান, এই নিয়ে বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। বোতলের দৈত্যকে মুক্ত করলে, তার হাত থেকে মালিকেরও রেহাই নেই। “সমস্ত নদীকে গ্রাস করেও সমুদ্রের তৃষ্ণা মেটে না”, বোধিসত্ত্ব বলেছিলেন। যারা মুখে স্বীকার না করলেও মনে মনে জানে স্বাধীনতার জন্যে ভারতের সাহায্য নিতে হয়েছিল, যাদের আত্মপরিচয়ের সংকটের দরুণ ইতিহাস চর্চায় ১৯৭১ এ ‘কমা’ এবং আরেকটু পিছিয়ে ১৯৫২ তে ‘ফুলস্টপ’ হয়, যারা আরবদের চোখে খাঁটি মুসলমান নয়, তাদের মনে হীনমন্যতা আসা স্বাভাবিক। সাথে অবধারিত ভাবে আসে ‘কারা সহী মুসলমান’ তা প্রমাণের ব্যাকুলতাও! পশ্চিম পাকিস্তানি মুসলমানরা মনে করতো, পূর্ব পাকিস্তানি মুসলমানরা হিন্দুদের সংস্পর্শে থেকে কাফের হয়ে যাচ্ছে, তাদের শোধরাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পর পাঁচ দশক ধরে যাবতীয় কাফেরত্ব ঘুচিয়ে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে ‘পাকিস্তানের থেকেও বড় মাপের পাকিস্তান’।

প্রাক স্বাধীনতাকালে কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যতীত সাধারণ মুসলমানদের মনোভাব ছিলো অত্যন্ত স্পষ্ট। একদা গ্রাম্য গৃহস্থ বাড়ির দাওয়ায় বসে যখন মৌলানা বলেন, “স্বাধীন হওয়ার জন্যে মারামারি কাটাকাটি। হেন্দুরা এরে বােমা মারতেছে,ওরে বােমা মারতেছে। ক্ষুদিরামের কথা শুনেছি।” জবাবে ধনু শেখ তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেছিল, “বােকার দল স্বরাজ কইরা মরুক, আমরা এর মধ্যে নাই। দেশ তাে মুসলমানের। দিল্লির সিংহাসনে কি কোনাে হেন্দু ছিল ? ছিলাম আমরা। হেন্দুরা দেশ স্বাধীন কইরা দিব। আমরা গদিতে বসব। এদের চোখের সামনে গরু কাইট্টা খাব। হেন্দুরাও পেসাদ পাইব।” সব চরিত্র যে নিছক কাল্পনিক নয়, অবিভক্ত বাঙ্গালায় অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবীদের তালিকায় তৎকালীন সংখ্যাগুরুদের (প্রায় ৫৬% মুসলমান) শূন্যসম অংশীদারিত্ব দেখলে বোধগম্য হয়। অন্তে অখণ্ড হিন্দুস্তানের গদিতে অন্তত সরাসরি তারা বসতে পারলেন না। দুই খণ্ডে মুসলমানের দেশ পেলেন।

বরাবরই শিক্ষাদীক্ষায় অগ্রসর হিন্দু জাতি দেশবিভাগের পর যখন পূর্ব পাকিস্তানে ২২%, তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ভাবত, “হিন্দুর গােলামি করতে হবে। মুসলমান, হিন্দুর গােলামি করবে সেটা কি হয়?” বিগত সাত দশকে মেরেকেটে সাফ করে বর্তমানে মাত্র ৮%। তখনও ভাবে, “অল্প কিছু নিয়ােগ দিলে বিষয়টা মানা যেতাে, তাই বলে প্রশাসনের বড় পােস্টে এতাে হিন্দু কমকর্তা! ইন্ডিয়ার ইশারায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামীলীগ এসব করছে। গােপালগঞ্জ থেকে সব নমাে-চাঁড়ালগুলােকে ধরে এনে চেয়ারে বসিয়েছে।”

মুসলমান পরিবারে জন্মেও লেখক উজান কৌরাগ (ছদ্মনাম) তার আব্বা চাচাদের সংকীর্ণ মানসিকতার কথা জানাতে কুন্ঠাবোধ করেন নি। এজন্য তার ধন্যবাদ প্রাপ্য। এপার বাংলায় দ্বিতীয় সংখ্যাগুরুদের ‘গ্রোথ রেট’ কমার বদলে বেড়ে গেছে, দুই কমিউনিটির মধ্যে TFR এর ব্যাপক ফারাক, ধূলিয়ান-খাগড়াগড় মডেল, পাঠ্যপুস্তকে রংধনু, হোসেন শাহ কৃষ্ণের অবতার এইসব উপাদান প্রথম সংখ্যাগুরুদের ‘দেশের মধ্যে আরেকটা দেশ’ এর আশংকা তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশে চরম কোণঠাসা হিন্দু কোন ইনডেক্সে এমন অগ্রসর যে তারা, ‘দেশের মধ্যে আরেকটা দেশ’ বানিয়ে ফেলবে? কারণ, গাঙ্গেয় অববাহিকার মৃত্তিকাকে মরুভূমির বালুকণা দিয়ে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপিত করা যাচ্ছে না।

কোন মুসলিম নামধারী শিল্পী কপালে টিপ পরে রবীন্দ্র সংগীত গাইলে, তুমুল গালাগাল। অন্যতম সামাজিক সংস্থা কিশোর কুমার দাসের বিদ্যানন্দের গায়ে কেমন ‘হিন্দুয়ানীর টক টক গন্ধ’! এই ৮% “মালাউন” রা স্রেফ শিক্ষা-সংস্কৃতির জোরে তৌহিদী জনতাকে এত ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে! এই নিরাপত্তাহীনতার জেরেই পৃথক মুসলমানের দেশ চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু, কর্তা মরেও মরেন নি। ইন্ডিয়া পৃথক হয়েও হয় নি। অতঃপর, কর্তার ভূতের মত বাংলাদেশিরা সবখানে ‘ইন্ডিয়ার ভুত’ দেখে।

বোধ করি এইসব কারণেই মুক্তিযুদ্ধে, ভারতীয় অবদানের লেশমাত্র স্মৃতির আভাষ যেন বাংলাদেশের বাতাসে না থাকে, তেমন বন্দোবস্তই করা হয়েছিলো। ঢাকার রমনা মাঠে তাজুদ্দিন নির্মিত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামাঙ্কিত স্মারক মঞ্চটি ভাঙার আদেশ দিয়েছিলো মুজিব প্রশাসন। সেই ইন্দিরা গান্ধী যিনি মূলত মুজিবের অনুরোধেই ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যকে মুক্তি দেন। বাংলাদেশে অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ থাকলেও, – যে সব ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মবলিদান দিলেন, তাদের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয় নি। বরং,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তি ফৌজ যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার জোয়ান জীবন দিয়েছে সেই সব শত্রু সেনা সবাই ঢুকে গেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে।

এই কাজটি পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে অতি সহজভাবেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে গেল। তাজউদ্দিন প্রচন্ড বাধা দিয়েছিলেন। এভাবে বাংলাদেশের শত্রু পাকিস্তানি সেনাদের সবাইকে নূতন রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে নেওয়া হল। সাধারণত বিদ্রোহী সেনাদের কোর্ট মার্শাল হয়, অপছন্দের সেনাদের ছাঁটাই করা হয়; সেখানে শত্রু সেনাদের জাতীয় বাহিনীতে নিয়ােগের কথা ভাবাও অসম্ভব৷ কিন্তু বাংলাদেশে মুজিবের ইচ্ছায় তাই হল। শুধু সেনাবাহিনীতেই নয়, পাকিস্তান ফেরত সব বিভাগে সর্বস্তরে পাক সরকারের বাংলাভাষী কর্মচারীরা নিয়োগ পেয়েছেন।

কোন গল্প, উপন্যাস, সাহিত্যে ভারতীয় মিত্রতার ইতিহাসের লেশমাত্র থাকলে রচয়িতাকে ‘ভারতের দালাল’ দাগিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রচলিত স্রোতের বিরুদ্ধে গতিশীল কলম যে কোন দেশে কমই থাকে। ওদেশের পাঠ্যপুস্তকে, ভারতীয় মিত্রবাহিনী বদলে গেছে শুধু ‘মিত্রবাহিনী’তে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী হয়েছে শুধু ‘হানাদার বাহিনী’। ফলে কওমী একতার আতরগন্ধী পথে অগণিত ধর্ষিত নারীর ছিন্ন যৌনাঙ্গ, রক্তাক্ত নিতম্ব, খুবলে নেওয়া স্তনের আঁশটে গন্ধ ছাপিয়ে ইয়াহিয়া-টিক্কা-আয়ুব খানের জাতি হয়ে গেছে তাদের নব্য ‘ওয়ালিদ’, তাদের অনুকরণীয়।

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট খেলার সময় স্রেফ ভারত বিদ্বেষ থেকে পাকিস্তানের সমর্থনে গলা ফাটানো প্রজন্মকে দেখলে একাত্তরের বীরাঙ্গনারা সম্ভবত থুতু দিতেন। না বাঙ্গালী, না মুসলমান। বাংলাদেশী যবনদের ‘প্রাইমারি আইডেন্টিটি’ কি, সেটা তারা নিজেরাই জানে না। বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায় শেষ। এবার খলজি বাঘকে হাই প্রোটিন ডায়েট জোগানো বাংলাদেশী ‘মডারেট’ যারা, দুনিয়ার হিংস্রতম মতবাদকে ‘হোয়াটএবাউট্রি’র মায়াময় ন্যারেটিভ মুড়ে বাঘের হাত থেকে বেঁচে যাবে ভাবছে, তাদের পালা। নৃত্যরত পায়রাদের ধান খুঁটে খাওয়া যে উপভােগ করে, আবার শিকারির হাতে পায়রাগুলাের জবাই হওয়াও নীরবে দাঁড়িয়ে দেখে; তারপর মৃত পায়রাগুলো নৃত্য করতে করতে কি ভুল করেছিল সেই বিষয়ে ভাবতে থাকে, সে একজন ‘মডারেট’ মুসলমান। কওমী জননী যে কালসর্পদের বাটিভরে দুধ খাওয়াচ্ছেন খুব শীঘ্র তারাই তার আঁচলে গোফ বিহীন দাড়ি মুছে বলবে ‘নারী নেতৃত্ব হারাম।’

খলজি বাঘের থাবা কি শুধু ওপার বাংলা দেখবে? একেবারেই না। এপার বাংলার জনগণও দেখবে। সম্প্রতি কম্যান্ডো সিনেমার টিজার বাংলাদেশে রিলিজ হতেই নায়ক দেব যেমন দেখলেন, তার ‘দাঙ্গা হিন্দুরা করে না। দাঙ্গা মুসলমানরা করে না। দাঙ্গা করে দাঙ্গাবাজরা’ ছাপা টিশার্টের দু’আনাও মূল্য না দিয়ে, ইসলাম অবমাননার দায়ে টিজারটি সামাজিক মাধ্যম থেকে তুলে নিতে বাধ্য করা হলো। বাংলাদেশের কুখ্যাত রাজাকার সাঈদীর মুক্তির দাবিতে খোদ কলকাতায় মিছিল হলে যারা দিনারের দায়ে সামান্যতম নিন্দে করতেও দ্বিধা থরথর হন, সেই বাম প্রগতিশীলরাও দেখবে।

‘ইউ ফিলদি অ্যানিমল্‌স্‌! ব্লাডি মুসলিম্‌স্‌! ব্রাইট ও প্রমিসিং ডাক্তারদের খাঁড়া হাতে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরেছ! কখনও বরিশালের দাঙ্গায়, কখনও নোয়াখালিতে! তাদের একমাত্র অপরাধ—তারা হিন্দু ছিল! বাংলাদেশের মাটি ভাসিয়ে দিয়েছ কতগুলো নিরপরাধ ইয়ং, ব্রাইট ছেলের রক্তে! তোমাদের কখনও ভালো হতে পারে? কোনওদিন হবে না! বাংলাদেশ ইজ আ কার্সড ল্যান্ড! আর তার জন্য দায়ী তোমরা। ইয়েস, ইউ। ওনলি ইউ! ইউ মুসলিমস্‌! কী করতে বাকি রেখেছে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা! ধর্মের ঝান্ডা তুলে বাংলাদেশকে মুসলিম প্রধান দেশ ঘোষণা করতে চেয়েছ! জানো? জানো কী করেছ তোমরা? কী করে ভাবলে এ দায়ভার থেকে তোমরা রক্ষা পাবে? ইউ আর কার্সড্‌! এই রক্তের দাম তোমরাও বংশানুক্রমে শোধ করবে! রক্ষা পাবে না! কেউ পার পাবে না! কেউ না!’

ভারত বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘শঙ্খচিল’ সিনেমাটা দেখেছেন? লেখিকা সায়ন্তনী পুততুন্ডুর মূল উপন্যাসে এই কথা গুলোও আছে। কিন্তু, সিনেমাতে নেই। আপনাকে জানতে দেওয়া হয় না। পাছে আপনি জয় বাংলার আফিম ভুলে, শঙ্খচিল উপন্যাসের সুদীপ্তর মত বলে ওঠেন, ‘তোমরা কেউ ছাড় পাবে না। কেউ না। নট আ সিঙ্গেল ওয়ান।’

(সমাপ্ত।)

তথ্যসূত্র:-

১. দুই সৈনিক, শওকত ওসমান

২. প্রবর্তক, সম্পাদকীয়, ভাদ্র, ১৩৫৩

৩. জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, হুমায়ুন আহমেদ

৪. মধ্যাহ্ন, হুমায়ুন আহমেদ

৫. সাইমুম,উজান কৌরাগ

৬. বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের অন্তরালে শেখ মুজিব, কালিদাস বৈদ্য

৭. শঙ্খচিল, সায়ন্তনী পুততুন্ডু

৮. ভাঙা মঠ, সালাম আজাদ।