শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব 

0
582

  –  গৌতম চন্দ্র

 

রচিলেন বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, মহাভারত
পরাশর, বেদব্যাস, বিশ্বামিত্র, বশিষ্ঠ
সমৃদ্ধ জ্ঞানভাণ্ডার উন্মোচিত করলেন
ভারত ভূমির মুনি শ্রেষ্ঠ।

 

মীমাংসা সূত্র ও জৈমিনী সূত্র
ঋষি জৈমিনীর অবদান
গৌতম ঋষির ধর্মসূত্র
পৃথিবীর প্রাচীনতম আইন সংকলন।

 

জীবক, চরক ও শুশ্রুত,
পূর্বসূরী ধন্বন্তরী ও দিবদশাকে নমি
বিশ্বকে প্রদান করলেন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি।

 

দ্বিতীয় ভাস্কর, আর্যভট্ট, ব্রহ্মগুপ্ত, কণাদ
চিন্তায় ছিলেন অগ্রগামী
আধুনিক পদার্থ, গণিত ও প্রকৃতি বিদ্যায়
জগৎকে পথ দেখাল ভারতভূমি।

 

মহাভারতের সন্দীপনি মুনি
বর্ণিলেন চৌদ্দ বিদ্যা ও চৌষট্টি কলা
চাণক্য শেখালেন প্রতিরক্ষা কৌশল,
অর্থনৈতিক জননীতি ও রাষ্ট্রচালনা।

 

বরাহমিহিরের বৃহৎ সংহিতায়
কোনো বিদ্যা বাদ নাই
তাঁর পঞ্চসিদ্ধান্তিকায়, ও ভৃগু সংহিতায়
জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষবিদ্যার চর্চা হয়।

 

পাণিনি, শুদ্রক, ভবভূতি, বিশাখদত্ত, বিলহন
শঙ্করাচার্যের উপদেশ সহস্রি, কপিলের সাংখ্য দর্শন
রাজতরঙ্গিনী প্রমাণ দিল
ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক- কলহণ।

 

বাল্মীকির রামায়ণ, বাণভট্টের কাদম্বরী,
মেঘদূতম, কুমারসম্ভবম দিলেন কালিদাস,
বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়, বঙ্কিমের বন্দেমাতরম,
রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি ও ভারতবিধাতা আজ ইতিহাস।

 

শিক্ষায় ভারত ছিল বিশ্বগুরু
সারা জগৎ নিয়েছিল দীক্ষা
স্বাবলম্বী ভারতের লক্ষে চর্চিত হোক
সনাতন ভারতীয় সংস্কৃতি আধারিত শিক্ষা।

 

লেখক খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক ও অধ্যাপক।