ট্রুডো’র বিরোধ সত্ত্বেও কানাডায় চীন বিরোধী নিন্দাপ্রস্তাব, উইঘুরদের গণহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ

0
595

বঙ্গদেশ ডেস্ক – একদিকে কানাডার প্রেসিডেন্ট ট্রুডো ভারতে কৃষক আন্দোলনের নামে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রচ্ছন্নভাবে সমর্থন দিচ্ছেন, অন্যদিকে ভারতের কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষাও করছেন। তাঁর দুনৌকায় পা রেখে চলার এই স্বভাব নতুন নয়। গত সোমবার ২২ শে ফেব্রুয়ারি কানাডার সংসদ একটি ‘নন-বাইণ্ডিং’ প্রস্তাব পাস করেছে। সদস্যদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, চীন তার মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে এবং হয়তো বা গণহত্যাও করছে। চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই ব্যবস্থা।

ট্রুডোর ক্যাবিনেট ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকায় গণহত্যার বিষয়টি কানাডার সংসদে ২৬৬-০ ‘র একতরফা ভোটে পাশ হয়ে যায়। এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি।

“দশ লক্ষেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলিমরা বিভিন্ন শিবিরে রয়েছেন। আমরা সেই অভিজ্ঞতার সাক্ষী এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে যে বক্তব্যগুলি শুনেছি, তা ভয়াবহ” কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ইরিন ও’টুল ভোটাভুটির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বারবার চাইনিজ প্রতিক্রিয়াকে গণহত্যা হিসাবে অভিহিত করতে অস্বীকার করেছেন। জিনজিয়াং অঞ্চলে চীন কমপক্ষে দশ মিলিয়ন উইঘুর মুসলিম নাগরিককে বন্দী করেছে। বিগত এক বছরে উইঘুর মহিলাদের গণ ধর্ষণ ও জোর করে নাসবন্ধি করার বিষয়টিও সামনে এসেছে। বিবিসি নিউজ আগেই তাদের একটি স্পেশাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল।

প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ দিনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, চীন, জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে “গণহত্যা চালিয়েছে ও মানবতাবিরোধী অপরাধ” করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ দিনগুলিতে তৎকালীন সেক্রেটারি অফ স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে এই গণহত্যা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা চাইনিজ পার্টি ও রাষ্ট্র দ্বারা উইঘুরদের ধ্বংস করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার উপর নজর রাখছি।”