ইসলামিক মৌলবাদী আক্রমণে নিহত দলিত হিন্দু নেতা

0
425

১) বহ্নিমান সাম্প্রদায়িক ঘৃণাবশতঃ নিহত হলেন দলিত হিন্দু নেতা শ্রী রামালিঙ্গম। রাজনৈতিকভাবে উনি পরিচিত ছিলেন পিএমকে (পাত্তালি মাক্কাল কাচ্চি) র অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে। ৫ই ফেব্রুয়ারী উনি নিহত হন কিছু ধর্মান্ধ মুসলিম ব্যক্তি দ্বারা। সংবাদসূত্রে প্রকাশ, প্রথমে ওনার হাত পায়ে কোপানো হয়েছে, তারপর একটি হাত কেটে ফেলে তাঁকে বারংবার কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে – কেন? এর মূল কারণ হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে হল PFI নামক এক ইসলামিক সংগঠনকে যারা দলিত হিন্দুদের ভুলভাল বুঝিয়ে ধৰ্মপরিবর্তন করতে গিয়েছিল তাঁর গ্রামে। এহেন কাজে শ্রী রামালিঙ্গম বাধা দেন বলে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

গ্রামবাসীদের যখন ধৰ্মপরিবর্তন করার প্রয়াস করা হচ্ছিল তখন একটি ভিডিও নেওয়া হয়, দেখা যায় যে রামালিঙ্গম ওই কট্টরপন্থীদের বাধা দিচ্ছিলেন । পরের দিনই তাকে হত্যা করা হয়। এই ভিডিওটি বহুলপ্রচারিত হবার পর তীব্র সমালোচিত হয় তামিলনাডু সরকার এবং পরের দিনই কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি যথা মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, নিজাম আলী কে গ্রেপ্তার করা হয়।

====================

২) স্মৃতি সতত দুর্বল হলেও তীব্র আঘাত ভুলে যাওয়া একপ্রকার অসম্বব। কি করে ভোলা যাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর বাণী যেখানে উনি বলেছিলেন যে সমগ্র রাজ্যের দেবী সরস্বতীর পূজা করতে কোথাও কোনদিন বাধা দেওয়া হয়নি। স্মরণে অবশ্যই আছে, ২০১৭ তে হাওড়ার তেহট্ট হাইস্কুলে পূজার অধিকারের জন্য সংগ্রামরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের সেই লাঠিচার্জের কথা।

কথা মনে করিয়ে দিতে হবে না! আবার মিথ্যা প্রমানিত হল মুখ্যন্ত্রীর বয়ান! হাবরার চৈতন্য কমার্স কলেজের সরস্বতী পূজা চলাকালীন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে লন্ডভণ্ড হল পূজা মণ্ডপ । কয়েকজন মত্ত ছাত্র কলেজের পুজো প্রাঙ্গনে ভাঙচুর করে ও পুজোর যাবতীয় উপাচার তছনছ করে দেয়। মত্ত অবস্থায় কলেজে প্রবেশ এবং তারপর ভাঙচুর করে কী দেখাতে চাইলো এই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা? সব রাগ কেন হিন্দু পার্বণের ওপরেই আসে? ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার দায়িত্ব শুধুমাত্র হিন্দুদের?

====================

৩) গত ৮ই ফেব্রুয়ারীতে প্রখ্যাত দৈনিক দ্য হিন্দু একটি সংবাদ পেশ করে। সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাফেল দিল চলাকালীন শ্রী অনিল আম্বানিকে ৩০০০০ কোটি টাকা নিজের হাতে দেন। এও বলা হয় যে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী মনোহর পারিক্কর নাকি এই সওদা করার বিপক্ষে ছিলেন । যে চিঠির ছবি তারা দেখায় সেটি ছিল আংশিক । এই অর্ধসত্য তথ্য প্রকাশিত হতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে এর বিরোধিতা করা হয়, শ্রী মনোহর পারিক্কর ও আপত্তি জানান । এর পরেই ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল এস পি বি সিংহ জানান রক্ষামন্ত্রক যেখানে এই প্রতিরক্ষা লেনদেনের সময় সর্বপ্রকার সমর্থন করেন সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারিক্কর কিভাবে সওদা করার বিপক্ষে থাকতে পারেন? 

====================

৪) অবশেষে, লাদাখ অঞ্চলকে পৃথক বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। লে এবং কার্গিল জেলা নিয়ে এই বিভাগ গঠিত হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন ।প্রায় ৮৭ হাজার স্কোয়ার কিমি জুড়ে লাদাখ ডিভিশনে দুইটি জেলা- লাদাখ ও লে। গোটা এলাকার জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৮৪ হাজার যার ৩৯% বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, ৪৬% মুসলিম এবং ১২% হিন্দু। লে-ই সবচেয়ে বড় শহর যেখানকার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সংবাদ সূত্রে প্রকাশ, সমস্ত ডিভিশনাল কমিশনারের সদর দপ্তর ও ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের দপ্তর-সহ সব প্রশাসনিক দপ্তরই লে-তে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও কার্গিলের মুসলিম প্রধান জনতা এর বিরোধিতা করছে। তারা পাকাপাকি ভাবে সব দপ্তর লে-তে করার বিরোধী। তারা চাইছে ছমাস লে-তে ও ছমাস কার্গিলে প্রশাসনিক দপ্তর রেখে কাজ চালাতে হবে। এই প্রসঙ্গে মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী মালিক জানিয়েছেন, নবগঠিত ডিভিশন যাতে ন্যায়বিচার পায় তা সুনিশ্চিত করতে সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।