রাহুল গান্ধী বিপাকে

0
257

জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি ও আগামী প্রধানমন্ত্রী পদের প্রত্যাশী শ্রী রাহুল গান্ধীকে এবার বিপাকে ফেলেছে এক ১৪ বছরের কন্যা।দুবাইতে ভারতীয় বংশোদ্ভুত জনগণের সামনে এই বালিকার এই প্রশ্নে “কংগ্রেসের বিগত কয়েক দশকের দেশ শাসন যখন দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে পারেনি, এখন কি করে পারবে?”  রাহুল গান্ধী স্বভাবসিদ্ধচালে এড়িয়ে যেতে চাইলে অপ্রস্তুত আয়োজকগন ওই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুণাবলী রাহুল গান্ধীকে অপ্রস্তুত করে দেয় । দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী যদি সামান্য প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ হন, দেশ কিভাবে চালাবেন, এই ভাবনার উদ্রেক হতেই পারে! রাহুল গান্ধী বিচক্ষণতার নিদর্শন কেবলমাত্র টুইটারের আড়ালেই দেন কেন?

==============

পাকিস্তানের এক ১০১ বছর বর্ষীয় বৃদ্ধা হিন্দু মহিলা এবার ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন।দীর্ঘ ১২ বৎসরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে যমুনা মাই, ভারতে যোধপুরে তাঁর পরিবারের সাথে মিলিত হবেন । পাকিস্তানে তাঁদের প্রতিনিয়ত যে অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয় সে ব্যাপারে বারংবার ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানান তাঁরা।এই নিপীড়নের কাহিনী শোনান যমুনা মাইয়ের ছেলেরা।বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তাঁদের উপর নিপীড়নের মাত্রা বাড়তেই থাকে। ২০০০ সনে তাঁর ছেলেরা ধার্মিক নিপীড়নের ভিত্তিতে ভারতে চলে আসেন। সম্প্রতি মোদি সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের দ্বারা যমুনা মাইয়ের মত অনেকেই লাভবান হবেন বলে আশা করা যায় ।ইসলামিক রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বিশ্ববিদিত। একমাত্র মোদি সরকার ছাড়া আর কেউ না উপলবদ্ধি করেছে না কোন ও পদক্ষেপ নিয়েছে।

==============

এনডিটিভির একটি আলোচনা সভায় উত্তর প্রদেশের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রি শ্রী অখিলেশ যাদব এবং বরিষ্ঠ পত্রকার শ্রী রবীশকুমারের কথোপকথনের মাধ্যমে কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।অখিলেশ যাদবের একটি দম্ভোক্তি করে বসেন সভাতে।তিনি বলেন যে দিল্লীর এক সাংবাদিক তাঁকে আওরঙ্গজেবের সাথে তুলনা করেছিলেন, তাই তিনি তাঁকে দ্বিগুণ মুল্য দিয়ে ওই প্রতিবেদনটি ছাপাতে বারন করেছিলেন। শুধু তাই না, অখিলেশ যাদব বলেন তাঁর ইচ্ছে করেছিল ওই পত্রকার কে আওরঙ্গজেবের মতন তলোয়ারের এক কোপে হত্যা করতে! ভাবুন, এর পরেও কিন্তু প্রচার মাধ্যম এই হত্যার হুমকিতে নিশ্চুপ! কেন? মুক্তমনস্ক মানুষেরা কি হারিয়ে গেছেন নাকি?

==============

গত ১৩ই এপ্রিল, দ্য হিন্দু পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় উড়িষ্যাতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য যে হেলীপ্যাড তৈরি করা হয়েছে তার জন্য ১০০০ র ও বেশী গাছ নির্মূল করা হয়েছে।এই খবরটি তৎক্ষণাৎ দ্য বায়র, স্ক্রোল, লজিক্যাল ইন্ডিয়ান নিজেদের পত্রিকায় আরো কিছু মুখোরোচক মশলা মিশিয়ে পরিবেশন করে।কিন্তু আজকের দিনে যে সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না তা মনে রাখা দরকার ।টাইমস ওফ ইন্ডিয়ার ভুবনেশ্বরের এক প্রতিনিধি একটি ভিডিও টুইট করে হেলীপ্যাড গঠনের কিছু পূর্বের ঘটনা তুলে ধরেন এবং তাতে স্পষ্ট দেখা যায় ওই নির্দিষ্ট স্থানে আগাছা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদই শুধু পরিষ্কার করার জন্য ছাঁটা হয়েছে। কেন এই মিথ্যে সংবাদ প্রচারিত হল? কারন মোদিবিরোধী প্রচারে নেমেছেন শ্রী নবীন পট্টনায়ক, উড়িষার মুখ্যমন্ত্রী।তবে কি উড়িষাতে মোদির সাম্প্রতিক সভায় জনগণের সমর্থনের হিসেব দেখে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়ক?