বাংলায় বেকারত্ব কমার দাবি করে টুইট, যুবদিবসে যুবাদের ক্ষোভের মুখে মমতা!

0
371

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সরকারি চাকরির পরীক্ষা, নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। ১২ই আগস্ট আন্তর্জাতিক যুবদিবসে সেই বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে টুইট করে রাজ্যের যুবাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে শুরু করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। একাধিক ক্ষেত্রে হাজার হাজার পদে শূন্যপদে এখনও নিয়োগ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এ রাজ্যে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা। সরকারি চাকরি তো দুর অস্ত, বেসরকারি চাকরি পেতেও হাজারে হাজারে যুবক-যুবতী পাড়ি দিচ্ছেন অন্য রাজ্যে।

রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব যুব দিবসে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার কমানো নিয়ে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটে তিনি লেখেন, ‘যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। যেখানে ভারতে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ (২৪%) সেখানে বাংলায় বেকারত্বের হার কমে হয়েছে ৪০%। বাংলার ছাত্র ও যুবরা পরিশ্রমী, মেধাবী, দক্ষ৷ অতীতে ওরা একাধিকবার দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, এরপরেও দেবে।’

একইসঙ্গে টুইটে কর্মসাথী প্রকল্পের সম্পর্কেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীকে স্বল্পসুদে ঋণ ও ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন টুইটে চিড়ে ভেজেনি। তাঁর টুইটেই একাধিক অভিযোগ জানিয়ে পাল্টা টুইট করতে থাকেন বাংলার যুবক-যুবতীরা। জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী সুশান্ত চক্রবর্তী আন এইডেড মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এভাবে আমাদের জীবন নষ্ট করলেন কেন?’ মনীশ দে নামক এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘গ্রামপঞ্চায়েত জীবিকাসেবকদের ৪০ মাস ধরে কোনও বেতন দেওয়া হয়নি।’ ১৩৩ জন মৃত্তিকা পরীক্ষকের ৭ মাস ধরে কর্মচ্যুত থাকার ঘটনাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানান উদ্দীপ্ত সরকার নামের এক ব্যক্তি।