‘Peace’-র বদলে হেটস্পিচ, কেন্দ্রীয় সরকারের নিশানায় জাকির নায়েকের চ্যানেল

0
496

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- মোদী সরকারের স্ক্যানারে এবার বক্তা জাকির নায়ক। কড়া নজরদারি চলছে জাকির নায়েকের কার্যকলাপের ওপর। ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে জাকির, এমনটাই খবর রয়েছে গোয়েন্দা দফতরের কাছে। তবে শোনা গেছে, উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য সেখানেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার প্রকাশ্য সভা।বিতর্কিত এই ধর্মপ্রচারক সম্পর্কে বিশেষ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জাকির নায়েকের পিস টিভি চ্যানেল, মোবাইল অ্যাপ ও ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, জাকির নায়েক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অল্পবয়সী যুবকদের মধ্যে ভারত বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে জাকির নায়েকের। এছাড়াও তিনি একাধিক জিহাদি সংগঠনের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন বলে খবর।

উল্লেখ্য, খালিদ সাইফি, প্রাথমিকভাবে দিল্লি দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সে জাকির নায়েকের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দেখা করেছিল বলে খবর।পুলিশ আশাবাদী যে খালিদ সাইফির মোবাইল নম্বর তল্লাশি চালালে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গোয়েন্দা দফতরের বক্তব্য, “টাকার বিষয়ে তথ্য পেতে মোবাইল ফোনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সাইফির সূত্র ধরেই জাকির নায়েক অবধি পৌঁছাতে পারবে পুলিশ”।

খালিদ সাইফির পাসপোর্ট চেক করে ইতিমধ্যেই বিদেশে একাধিকবার যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। হিংসা ছড়ানোর আর্থিক রসদ জোগাতে জাকির নায়েক সহ অনেকের সঙ্গেই সাইফি দেখা করেছে বলে সূত্রের খবর। ২০১৮ সালের ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেণ্ডারস অ্যাক্ট অনুযায়ী, যেসব অর্থনৈতিক অপরাধীরা ভারতীয় নিয়মবিধিকে লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যেতেই পারে।

সম্প্রতি ইউ টিউব চ্যানেলে ডা. জাকির নায়েক বলেছেন, “ভারতে ৪০ শতাংশ মুসলিম বাস করে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই শক্তি আরও বাড়ানো যেতে পারে।” এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর পর দিল্লিতে এনআইএ, আইবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র দফতরের অফিসে এক ক্লোজডোর বৈঠকে বসে। ইংরেজি দৈনিক ডিএনএ-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে এ ধরনের বিদ্বেষ মূলক ভিডিও পোস্ট করার ফলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কীভাবে বিনষ্ট হতে পারে। আর সেই কারণেই পিস টিভি, পিস টিভি মোবাইল অ্যাপ ও ইউটিউব চ্যালের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

জি নিউজ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পিস টিভি অ‌্যাপ ইংরেজি, বাংলা, উর্দু ও চিনা ভাষায় গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় ও প্রায় এক লাখ ডাউনলোড করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন ডা. জাকির নায়েক। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের। তাছাড়া নানা সময়ে তার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলার অভিযোগ রয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মানতে নারাজ ডা. জাকির নায়েক।