স্কুলের ফি দিতে মোবাইল চুরি ইন্দোরের কিশোরী

0
485

বঙ্গদেশ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু৷ কাজ হারিয়েছেন অনেকে৷ বহু মানুষ অভাবের তাড়নায় ভুগছেন৷ ফলে অবস্থা যে কতটা সঙ্গীন হয়ে গিয়েছে, তার আভাস মিলল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের একটি ঘটনায়৷ সেখানে স্কুলের ফি জমা দেওয়ার জন্য বছর ষোলোর এক কিশোরী মোবাইল চুরি করতে বাধ্য হল৷

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র৷ যদিও এই ঘটনা পুলিশের কাছে যায়নি৷ কারণ, যাঁর মোবাইল চুরি গিয়েছিল৷ তিনি অত্যন্ত সহৃদয়৷ তাই পুলিশে অভিযোগ করার বদলে ওই ব্যক্তি মেয়েটির স্কুলের ফি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে দিয়েছেন৷

জানা গিয়েছে যে মেয়েটি একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৭১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে৷ তাই সে পড়াশোনা চালাতে অনেক বেশি আগ্রহী ছিল৷ কিন্তু টাকার যোগাড় না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মেয়েটি মোবাইল চুরি করে৷ যে ব্যক্তির মোবাইল চুরি করেছিল, তাঁর নাম ধীরজ দুবে৷

তিনি জানিয়েছেন, অগস্টের ২ তারিখ তাঁর মোবাইল চুরি যায়৷ তিনি দ্বারকাপুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ কিন্তু ওই ব্যক্তি একজন বেসরকারি গোয়েন্দা৷ তাই তিনি নিজেই তদন্ত শুরু করেন আলাদা ভাবে৷ তখন তিনি ওই মেয়েটির সন্ধান পান৷ বিশদে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে মেয়েটির বাবা অসুস্থ৷

মাসে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ অনেক৷ তাই মেয়েটি স্কুলের ফি যোগাড় করতে পারছিল না৷ ধীরজ বলেন, ‘‘আমি যখন তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন সে আমার দিকে তাকাতেই পারছিল না৷ আমি তার বাবার কাছে যেতে চাওয়ায় সে কান্নায় ভেঙে পড়ে৷’’

পরে জানায় মোবাইলটি সে আড়াই হাজার টাকায় কারও কাছে বন্ধক রেখেছে৷ ওই টাকা থেকে ১৬০০ টাকা সে স্কুলের ফি দিয়েছে৷ সেই রসিদও ধীরজকে দেখায় মেয়েটি৷ মেয়েটি জানায়, সে চাকরি করে ওই মোবাইল ছাড়িয়ে এনে ধীরজকে ফিরিয়ে দেবে ভেবেছিল৷

এই কথা শোনার পর ধীরজ আড়াই হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল ছাড়িয়ে নিয়ে আসে৷ মেয়েটিকে বাকি স্কুল ফিও দিয়ে দেয়৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তে আরও অনেকে মেয়েটির শিক্ষায় সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন৷