বঙ্গদেশ ডেস্ক:মহান দেশপ্রেমিক নেতাজীর রহস্য মৃত্যু নিয়ে আজও ইতিহাসবিদদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। অনেক ইতিহাসবিদ এবং রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজী মারা গেছেন। কিছু কিছু ইতিহাসবিদ অবশ্য মনে করেন, নেতাজী দেশে ফিরে এসে ছদ্মবেশ ধারণ করে ছিলেন। নেতাজীর এই রহস্যের ওপর একটি পলিটিক্যাল থ্রিলার বানিয়েছে এমএ লক্ষ্মী প্রসাদ ফিল্মস। ছবিটির নাম “সন্ন্যাসী দেশনায়ক”(Sannyasi Deshonayok)।গত ৪ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে “সন্ন্যাসী দেশনায়ক”।
“সন্ন্যাসী দেশনায়ক” ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুমা ভদ্র, শাওন দে, নরেন্দ্র কানজিয়া ও অভিরুপ চৌধুরীর মতো দক্ষ কলাকুশলীরা ।
মূল কাহিনীতে দেখা গিয়েছে এক ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কয়েকজন ছাত্র নেতাজীর অন্তর্ধান নিয়ে তথ্যচিত্র বানানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করে। সেইসময় তাদের সঙ্গে কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঘটতে শুরু থাকে। একজন সন্ন্যাসীর খোঁজ তারা পায় যিনি উত্তর ভারতে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। কখনও ফ্ল্যাশব্যাক কখনও বা বর্তমানে, নেতাজীর ওপর তাদের এর খোঁজ নিয়েই এই ছবি চলতে থাকে।
সন্ন্যাসী দেশনায়ক (Sannyasi Deshonayok) ছবিটির প্রযোজক দিনেশ প্রসাদ ও বিবেক রায়, ছবিটি পরিচালনা করেছেন অম্লানকুসুম ঘোষ (Amlan Kusum Ghosh) এবং সহকারি পরিচালকের ভুমিকায় রয়েছেন দেবব্রত দত্ত। পরিচালক অম্লানকুসুম ঘোষ বলেছেন, তিনি ছবিটির কাজ ২০১৬ সাল থেকে শুরু করেন, দীর্ঘ বারো-তেরো বছর রিসার্চে অযোধ্যা, নৈমিষ অরণ্য, ফৈজাবাদ অঞ্চলে ২০০৬ সাল থেকে বার বার ঘুরে দেখে এসেছেন। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনুসরণ করেছেন, তাতে ওই জায়গাগুলোয় যে গুমনামী বাবা ছিলেন তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে কিন্তু তিনি নেতাজী কি না তার উত্তর আজও অজানা। প্রযোজক এবং পরিচালক সিনেমাটির সফলতার বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।