দীপ্তাস্য যশ
আগের পর্বসমূহ – [১] – [২] – [৩] – [৪] – [৫] – [৬] – [৭] – [৮] – [৯] – [১০] – [১১] – [১২] – [১৩] – [১৪] – [১৫] – [১৬] – [১৭] – [১৮] – [১৯] – [২০] – [২১] – [২২] – [২৩] – [২৪] – [২৫] – [২৬] – [২৭] – [২৮] – [২৯] – [৩০]
একত্রিশ
শিবানী দাওয়াতে এসে দীনবন্ধুকে দেখতে পেল না। কোথায় যে গেল লোকটা, কে জানে! যবে থেকে মেয়েটা মারা গেছে, মানুষটা কখন যে কোথায় থাকে কোন হদিশ পাওয়া যায় না। যখন তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এর আগে একদিন সারা রাত বাড়ি ফেরেনি। কোথায় যায়, তাও কিছু বলে না। জিজ্ঞেস করলেও কিছুই বলে না। শূন্য দৃষ্টিতে সারাদিন চেয়ে থাকে। একদিন গৌর বলল, রাতের বেলায় নাকি খালপাড়ে বসে থাকতে দেখেছিল। কে জানে আজ কোথায় গেছে। তারও আর এখানে ভালো লাগে না। কিন্তু মানুষটাকে এই অবস্থায় ছেড়ে যাওয়াও তো চলে না। খাওয়াদাওয়া তো প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। জোর করে খেতে বসালে দু’মুঠো ভাত মুখে দিল কি দিল না— উঠে পড়ে। অসুস্থ না হয়ে পড়ে মানুষটা। আর যাবেই বা কোথায়। বাপ–মা সেই কবেই মারা গেছে। দাদাদের সংসারে তার ঠাঁই নেই— সেকথা ভালোই জানে শিবানী।
দীপ্তাস্য যশের বড় গল্প “অগ্নি কুঠার” এবং উপন্যাস “আগুন লাগার পরেও” সংকলিত হয়ে “আগুন লাগার পরেও” শিরোনামে বই হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে বইচই থেকে। ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ থেকে থেকে বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইচই ওয়েবসাইট এবং তাদের কলেজস্ট্রীটের বিপণী থেকে।